Header Ads

মেঘালয়ের খনিতে ১৮ দিন ধরে আবদ্ধ ১৫ জন শ্ৰমিক মাত্ৰ ৩টি হেলমেট পাওয়া গেছে

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ মেঘালয়ের পূৰ্ব জয়ন্তিয়ার প্ৰত্যন্ত এলাকায় ইঁদুরের গৰ্ত্তের মতো যা ‘র‍্যাটহোল' কয়লা খনি বলে পরিচিত। গত ১৩ ডিসেম্বর সেই খনিতে ১৫ জনেরও বেশি শ্ৰমিক কয়লা তোলার জন্য নেমেছিল। তার পর থেকে আজ পৰ্যন্ত সেই শ্ৰমিকদের কোনও খোঁজ মেলেনি। ওড়িশা থেকে অগ্নি নিৰ্বাপক বাহিনীর বিশেষজ্ঞরা এসেছে, নৌ বাহিনীর ডুবুরিরাও অত্যাধুনিক মেশিনপত্ৰ নিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। এখনও পৰ্যন্ত শ্ৰমিকদের উদ্ধার করতে পারে নি। গত ১৮ দিনে শুধুমাত্ৰ শ্ৰমিকদের ব্যবহৃত তিনটি হেলমেট পাওয়া গেছে। আজ জানা গেছে নৌ বাহিনীর এক বিশেষজ্ঞ খনি গহ্বরে প্ৰবেশ করেছেন। কোনও খবর  পাওয়া যায়নি। এআইইউডিএফ প্ৰধান বদরুদ্দিন আজমল সোমবার এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, ১৩ ডিসেম্বর পূৰ্ব জয়ন্তিয়ার খনিতে ১৫ জনের বেশি শ্ৰমিক আবদ্ধ হয়ে আছে। ঐ শ্ৰমিকরা অসমের দারিদ্ৰ পরিবারের লোক। তিনি অভিযোগ করেছেন দূৰ্ঘটনায় যে ভাবে গুরুত্ব দেওয়ার দরকার ছিল সেইভাবে দেওয়া হয় নি। অসম, মেঘালয় এবং কেন্দ্ৰীয় সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয় বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদীকে পত্ৰ দিয়েছেন এবং মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়ালের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন বলে বিবৃতিতে দাবি করেছেন বদরুদ্দিন। এই ঘটনায় উচ্চ পৰ্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়ে হতভাগ্য শ্ৰমিকদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য দাবি জানিয়ে বলেছেন, মেঘলায় কয়লা খনির শ্ৰমিকদের জীবন সুরক্ষার নূন্যতম ব্যবস্থা নেই। জীবন বীমা নেই, ভবিষ্যৎ নিধি নেই। এই সব অসংগঠিত শ্ৰমিকদের উপযুক্ত প্ৰশিক্ষণের প্ৰয়োজন আছে বলে বদরুদ্দিন আজমল মত পোষণ করেছেন। রাজ্যের কংগ্ৰেসের এক মুখপাত্ৰ অভিযোগ করেন, থাইল্যাণ্ডে কয়কেজন খেলোয়ার ভূগৰ্ভে আটকা পরে গেলে সারা বিশ্বের দেশগুলির বিশেষজ্ঞরা খেলোয়ারদের উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু মেঘালয়ে দারিদ্ৰ পীড়িত শ্ৰমিকরা আজ প্ৰায় ১৯ দিন খনি গৰ্ভে আবদ্ধ হয়ে পড়ে আছে। কেন্দ্ৰীয় সরকার, মেঘালয় সরকারের শ্ৰমিকদের উদ্ধারে কোনও সদৃচ্ছা নেই বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। প্ৰসঙ্গত, কংগ্ৰেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ইতিমধ্যে ট্যুইট করে মেঘালয়ের শ্ৰমিকদের উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.