Header Ads

অসম বনধের মিশ্ৰ প্ৰভাব গোটা রাজ্যে


নয়াঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ তিনসুকিয়ায় নরহত্যার প্ৰতিবাদে সারা অসম বাঙালি যুব ফেডারেশনের ডাকা শনিবার অসম বনধের মিশ্ৰ প্ৰভাব পড়েছে গোটা রাজ্যে। তবে বরাক উপত্যকা শিলচর-করিমগঞ্জে বনধের সৰ্বাত্মক প্ৰভাব পড়েছে। কংগ্ৰেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থকে আটক করেছে পুলিস। তিনি ছাড়াও আরও বহু বিজেপি সমৰ্থককে আটক করেছে পুলিস। তিনসুকিয়ায় নরহত্যার ঘটনার আগে বিধায়ক শিলাদিত্যকে উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য তাঁকে গ্ৰেফতারের দাবি জানিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন দল সংগঠন। তাঁর বিরুদ্ধে দিসপুর সহ একাধিক থানায় এজাহার দাখিলে করেছে বিভিন্ন জন। বাংলাভাষীদের তিরিশটি সংগঠনের যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক সুকুমার বিশ্বাসকে গ্ৰেফতারের দাবি উঠেছে। এদিকে ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকায় গুয়াহাটির কালাপাহাড়, লালগণেশ, মালিগাঁও এলাকায় বনধের প্ৰভাব দেখা গেছে। এইসব এলাকায় সকাল থেকেই দোকানপাট, বাজারহাট সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। স্কুল কলেজ অফিস সব বন্ধ ছিলমহানগরের বাকী এলাকাগুলিতে বন্ধের মিশ্র প্ৰভাব দেখা গেছে। সরকারি বেসরকারী বাস চললেও বেসারকারী বাসের সংখ্যা কম ছিল। ফলে বাসস্ট্যান্ডে লোকের ভিড় ছিল চোখে পরার মতো। সামাগুড়ি, দলগাঁও, ডিব্ৰুগড়, হোজাই, ধুবড়ি, গৌরীপুর এই সব এলাকায় বনধের প্ৰভাব পড়েছে। শ্ৰীরামপুর এলাকায় বনধের ফলে শতাধিক গাড়ি আটকে পড়েছে। ওদালগুড়িতে টায়ার জ্বালিয়ে বনধের সমৰ্থনে প্ৰতিবাদ করা হয়েছে। লামডিং-এ রেলপথ অবরোধ করেন বনধের সমৰ্থকরা।  ৩৬ টি বাঙালি সংগঠনের ডাকা ২৪ ঘন্টা বনধে পরে ১২ ঘন্টায় হ্ৰাস করার প্ৰাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে শিবসাগর সহ কিছু কিছু জায়গায় বনধের বিরুদ্ধে মানুষকে প্ৰতিবাদ করতে দেখা গেছে। এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে তিনসুকিয়ায় নরহত্যার ঘটনার পর শুক্ৰবার রাত ১২টা নাগাদ খেরবাড়িতে নিহত ওই পাঁচ বাঙালির চিতা পর পর একসঙ্গে জ্বলে। সে সময় হাতে গোনা কয়েকজন পুলিস কৰ্মী ছাড়া আর কোনও সরকারি নেতাদের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তবে শনিবার সকালে রাজ্যের তিন মন্ত্ৰী কেশব মহন্ত, তপন গগৈ এবং পরিমল শুক্লবৈদ্য নিহতের পরিবার এবং সংবাদ মাধ্যমে দুটো কথা বলে চলে গেছেন। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। শনিবার কৃষক নেতা অখিল গগৈয়ের নেতৃত্বে সোনাপুরের দিসাং রিসোৰ্টে ৬০টি সংগঠন জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার সংকল্পে একটি সভার আয়োজন করে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.