Header Ads

এ.কে ৪৭ চালানোর প্ৰশিক্ষণ যাদের আছে তারাই ধলায়ে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেঃ হিমন্ত

৫০- ৬০ বছর আগে থেকে তারা সেখানে আছে, অসমীয়া ভাষা-সংস্কৃতি গ্ৰহণ করেছে, শুদ্ধ বাংলাও বলতে পারেন নাঃ হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা 

গুয়াহাটিঃ উজান অসমের তিনসুকিয়া জেলার অরুণাচল প্ৰদেশ সীমান্তবৰ্তী শদিয়া-ধলাই ৯ কিলোমিটাৰ দীৰ্ঘ সেতুর কাছে, চৌখোওয়া ঘাট থানার অন্তৰ্গত বিসনিমূখ খেরবাড়ি এলাকার দারিদ্ৰ পীড়িত অনগ্ৰসর অঞ্চল আলফার অঘোষিত ঘাটি ককোপাথার অঞ্চল বেশি দূরে নয়। এই অঞ্চলের মিশ্ৰ জনগোষ্ঠীর বাস। প্ৰায় ৫০-৬০ বছর ধরে বাঙালি সহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। হত দরিদ্ৰ কৃষিজীবি বাঙালি পরিবারগুলি অসমীয়া ভাষা-সংস্কৃতি সাদরে গ্ৰহণ করেছে। বাঙালি জনগোষ্ঠীর মানুষগুলি সরকারী দাক্ষিণ্য ছাড়াই কোনও ভাবে জীবন নিৰ্বাহ করে।আলফার জঙ্গিরা মাঝে মাঝে এসে ঐ এলাকার ক্ষুদ্ৰ ব্যবসায়ীদের কাছে জোর করে অৰ্থ আদায় করে। ঐ অঞ্চলের প্ৰায় অধিকাংশ টিন-বাঁশের কাঁচা বাড়ি, পথ-ঘাট নেই, বিদ্যুৎ নেই, অধিকাংশের বাড়িতে টিভি সেটও নেই। থানা পুলিশের সক্ৰিয়তা নেই। ঐ এলাকার এই দূৰ্দশাগ্ৰস্থ ছবির কথা তৃণমূল কংগ্ৰেসের নেতারা নানা ভাবে তুলে ধরে সুনিশ্চিত নিরাপত্তা দাবি জানিয়েছেন। গত ১ নভেম্বর এই গ্ৰামের কৃষিজীবি পরিবারের ৩ সদস্য শ্যামলাল বিশ্বাস, অবিনাশ বিশ্বাস এবং অনন্ত বিশ্বাস ছাড়াও ধনঞ্জয় নমঃশূদ্ৰ এবং সুবল দাসকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সন্দেহজনক আলফা জঙ্গিরা অত্যাধুনিক এ.কে ৪৭ বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যা করে। ওখান থেকে কোনও রকমে সহদেব নামে এক যুবক ভাগ্যক্ৰমে বেঁচে ফেরেন। সে বারবার জানিয়েছে, বন্দুকধারি যুবকরা নিজেদের মধ্যে অসমীয়া ভাষায় এবং তাদের সঙ্গে হিন্দী ভাষা দিয়ে কথা বলছিলো। তৃণমূল নেতারা অভিযোগ করেছে, জঙ্গিরা বাঙালিদের টাৰ্গেট করবে সেই খবর গোয়েন্দা বিভাগের হাতে ছিলো। কিন্তু সরকার কোনও ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেনি। রাজ্যের এডিজিপি পল্লব ভট্টাচাৰ্য একই  কথা বলেন। তিনি শুধু বলেন, নিৰ্দিষ্ট ভাবে কোথায় হামলা হ'বে তা বলা হয়নি। সাধারণ ইনফরমেশন ছিলো। তৃণমূল কংগ্ৰেসের অসম রাজ্যের ভারপ্ৰাপ্ত সভাপতি গোপীনাথ দাস আজ তাদের অভিজ্ঞতার কথা জানান। ভারপ্ৰাপ্ত দাস বলেন, রাষ্ট্ৰপতির কাছে নিহত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গিয়ে বিচার চাওয়া হবে। রাষ্ট্ৰপতির অনুমোদন এখনও পাওয়া যায়নি। বলেন, একমাত্ৰ রাজ্য তৃণমূলের সদস্যরা সৰ্বপ্ৰথম ঐ গ্ৰামে গিয়ে বিস্তারিত জেনে কেন্দ্ৰীয় নেতৃত্বকে অবগত করে। অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা আজ খেরবাড়ি গ্ৰামে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্ৰতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, এই ঘটনাই যারা প্ৰশিক্ষিত এ.কে. ৪৭ চালানোর মতো ট্ৰেনিং আছে সেই সংগঠনের জঙ্গিরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, এক দুষ্টচক্ৰ অসমীয়া জাতিকে দুৰ্বল করতে চাইছে। নিজেদের মধ্যে কাজিয়া করে সমাজকে ভাঙতে চাইছে। নিহত বিশ্বাস পরিবারের প্ৰসঙ্গ তুলে ধরে হিমন্ত বলেন, ওরা ৫০-৬০ বছর আগে থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করছে, ১৯৭১ বহু বছর আগে থেকে তারা সেখানে আছে। অসমীয়া ভাষা-সংস্কৃতি গ্ৰহণ করেছে। শুদ্ধ ভাবে বাংলাও বলতে পারেন না। অত্যন্ত গরিব পরিবারের সদস্যদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হল। বিধায়ক শিলাদিত্যের প্ৰসঙ্গে বলেন, শুধু শিলাদিত্য কেন যেই এই প্ৰরোচনামূলক মন্তব্য দিয়েছেন তাদের সবারই বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা উচিত। দীৰ্ঘ ৪৫ দিন ধরে টিভির টকশোগুলিতে যে যা খুশি মন্তব্য করলেন, যারা প্ৰরোচনামূলক মন্তব্য করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা উচিত। পূত্তমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা গতকাল গভীর রাতে ডিব্ৰুগড় শহরের রাস্তা-ঘাটে নিৰ্মাণ কাজের খবর নেন। ডিব্ৰুগড় মেডিকেল কলেজের উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.