Header Ads

আতশবাজি ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে ভবিষ্যত প্ৰজন্মে

নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, গুয়াহাটিঃ কালীপুজো এবং দীপাবলি হচ্ছে আলোর উৎসব। সর্ষের তেল আর সলতে দিয়ে মাটির প্ৰদীপ জ্বালালে সেই আলো সকলের মনকে প্ৰফুল্ল করে তোলে। চারদিকে এক শান্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আবার সেই শান্ত পরিবেশই নষ্ট হয় যখন আতশবাজীর শব্দ চারদিকে ভেসে ওঠে। আলোর উৎসব পরিণত হয়ে প্ৰদূষণের পরিবেশে। বায়ু এবং শব্দ দূষণ আমাদের জীবকূলের জন্য ক্ষতিকারক। আমাদের প্ৰত্যেকেরই চারপাশের পরিবেশ দূষণ নিয়ে সচেতন হতে হবে। এখন না হলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। তখন বিশুদ্ধ প্ৰকৃতিকে রক্ষা করা আমাদের নিয়ন্ত্ৰণের বাইরে চলে যাবে। পটাকা,বাজি ফাটানোর পর যে সব বিষাক্ত গ্যাস নিৰ্গত হয় তা হল- কাৰ্বণ ডাই অক্সাইড, কাৰ্বণ মনোক্সাইড, কেডমিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, নাইট্ৰিক অক্সাইড। এই সব বিষাক্ত পদাৰ্থ আমাদের চারপাশের বায়ুকে দূষিত করে, সেই বায়ুই আমরা নিশ্বাস-প্ৰশ্বাসের সঙ্গে সেবন করি। এর ফলে শ্বাসকষ্ট হয়। নানা ধারনের রোগের সৃষ্টি হয়। পুরনো কোনও রোগ শরীরে থাকলে তা আরও বেড়ে যায়। হাপানি রোগ হতে পারে। শ্বাসপ্ৰশ্বাসের নলীতে সংক্ৰমণ ঘটে ব্ৰংকাইটিস, এমফাইসেমার মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে। দূষিত বায়ু নিশ্বাসের সঙ্গে শরীরের ভেতরে গেলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। শব্দ দূষণে শ্ৰবণ শক্তি কমে যায়। কানের পৰ্দা ফেটে যায়। কখনও কখনও কানের ভেতর ভো ভো শব্দের সৃষ্টি হয়। পোষ্য জীব জন্তুর মধ্যে অযথা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। মায়ের গৰ্ভে থাকা সন্তানের ক্ষতি করে। বাজি পোড়ানোর সময় একটু অন্যমনস্ক হলে হাত পুড়ে যাওয়া, কিংবা আগুন লেগে দুৰ্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। এই সব কারণে ১২৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ সৃষ্টিকারী আতশবাজি না ফাটানোই ভালো, এমনটাই মতামত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মাটির প্ৰদীপ জ্বালিয়ে দেওয়ালিকে আনন্দঘন করে তোলার পরামৰ্শ দিচ্ছেন বৌদ্ধিকমহল।

1 টি মন্তব্য:

  1. পৃথিবীতে আতশবাজি সবচেয়ে বেশী ব্যবহার হয় ২৫ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারী

    উত্তরমুছুন

Blogger দ্বারা পরিচালিত.