Header Ads

মন কি বাত অনুষ্ঠান সম্পূৰ্ণ অরাজনৈতিক- মোদি


 ফাইল ছবি
নয়াদিল্লিঃ ১৯৯৮ সালে বিজেপির দলের হয়ে কাজের সূত্ৰে নরেন্দ্ৰ মোদি হিমাচলপ্ৰদেশে গিয়েছিলেন। তখন মে মাসের ঠান্ডা বিকেলে হিমাচলের পাহাড়ি এলাকা দিয়ে অন্য একটা জায়গায় যাচ্ছিলেন। সেখানে রাস্তার কিনারে একটি ধাবায় তিনি চা জল খাবারের জন্য দাঁড়ান। ধাবায় সেসময় একজনই মাত্ৰ ব্যক্তি চা বিক্ৰি করছিলেন। ওই ব্যক্তি চা দেওয়ার আগে তাঁর জন্য একটি লাড্ডু নিয়ে এসে বলেন চা খাওয়ার আগে এটা খান। তখন মোদি জিজ্ঞেস করেন কিসের জন্য এই লাড্ডু? তখন ওই ব্যক্তি মোদির কাছে রেডিও নিয়ে আসেন রেডিওতে তখন প্ৰধানমন্ত্ৰী অটল বিহারি বাজপেয়ী দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছিলেন। ওই দিনটা সেদিন ছিল যেদিন ভারত সফলভাবে পরমাণু বোমা ফাটায়। রবিবার প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি তাঁর নিয়মিত রেডিও অনুষ্ঠান মন কি বাত-এর ৫০তম এপিসোডে দেশবাসীকে সৰ্বপ্ৰথমে একথা বলেন। অনেকেই জানতে চেয়েছেন মন কি বাত অনুষ্ঠানের ধারণা কিভাবে এলো? তাই তিনি এদিন দেশবাসীর কাছে একথা শেয়ার করেন বলে জানান। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর মন কি বাত অনুষ্ঠানের যাত্ৰা শুরু হয়। তারপর তিনি আরও বলেন- মন কি বাত কোনও রাজনৈতিক প্ল্যাটফৰ্ম নয়। এটি সরকারের প্ৰচার প্ৰসারেরও মঞ্চ নয়। সম্পূৰ্ণ সমাজের জন্য। উচ্চাকাঙ্খী ভারত, উচ্চাভিলাষী ভারতকে তুলে ধরার জন্য। তিনি বলেন- সাধারণ মানুষ তাঁদের নিজেদের চিন্তাভাবনা, আকাঙ্খা, প্ৰশ্ন এই মাধ্যমের সাহায্যে তুলে ধরতে পারেন। মন কি বাত অনুষ্ঠানকে সম্পূৰ্ণ অরাজনৈতিক দাবি করে মোদি বলেন- ‘যখন মন কি বাত শুরু হয় তখনই আমি স্থির করেছিলাম যে এটিকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা হবে। তাই আমার মন কি বাতে কখনও রাজনীতি বা সরকারের প্ৰচার প্ৰসারের মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হয়নি।’ এদিন খানিকটা আবেগের সুরেই মোদি বলেন- ‘মোদি আসবে-যাবে, কিন্তু এ দেশ তার সংহতি ও স্থায়িত্ব কখনও ক্ষুণ্ণ হতে দেবে না। আমাদের সম্বৃদ্ধি-সংস্কৃতি সবসময় অক্ষুণ্ণ থাকবে।’ এদিন তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের কৰ্তারপুর কোরিডর দিয়ে গুরু নানকের পবিত্ৰ স্থান দৰ্শন করার জন্য ব্যবস্থা করে দেবে ভারত সরকার। ২৩ নভেম্বর গুরু নানকের জন্মজয়ন্তি গেল। ২০১৯ সালে গুরু নানকের জন্মজয়ন্তি পালন করবে সারা দেশ। এদিন যুব সমাজ সম্পৰ্কে তিনি বলেন, যুব সমাজ দেশকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে পারে। বৰ্তমানের যুব সমাজের স্বপ্ন বড়, তাদের সঙ্গে খোলাখুলিভাবে কথা বলা উচিত। এদিন দেশবাসীকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, তিনি যেখানেই থাকেন দেশের স্বাৰ্থ সংক্ৰান্ত বিষয় নিয়ে তাঁর কাছে পাঠানো চিঠি পত্ৰগুলো তিনি পড়ার চেষ্টা করেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.