Header Ads

বিভিন্ন বাঙালি সংগঠনের সঙ্গে আলোচনাপন্থী আলফা নেতাদের বৈঠক

অনুপ চেতিয়ারা ডিটেনশন ক্যাম্পে যাবেন, বাঙালি বন্দীদের প্ৰকৃত সমস্যা যাচাই করবে

গুয়াহাটিঃ আলোচনাপন্থী আলফা নেতা অনুপ চেতিয়া, আলফার প্ৰাক্তন সভাপতি অরবিন্দ রাজখোয়া প্ৰমুখ নেতারা অসমের বাঙালিদের জটিল সমস্যা ‘ডি' ভোটার, ডিটেনশন ক্যাম্প এবং এন আর সি উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বাঙালি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে বসেছিলেন। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুপ চেতিয়ারা রাজ্যের ডিটেনশন ক্যাম্পগুলিতে গিয়ে বন্দী হিন্দু-মুসলিম সংখ্যালঘু মানুষদের প্ৰকৃত অভিযোগ এবং তথ্যগুলি যাচাই করে দেখবেন, প্ৰকৃত ভারতীয় নাগরিকদের ডিটেনশন ক্যাম্পে ভরে নাগরিকত্বের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে কিনা। এছাড়াও রাজ্যের ১ লক্ষ ২৫ হাজার ‘ডি' ভোটারের মামলাগুলি যাচাই করে দেখে সরকারী প্ৰশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্ৰহণের দাবি জানাবে। নতুন সংগঠন ‘ভয়েস অফ বেঙ্গলি অফ অসম', বঙ্গবাসী অসমীয়া সমাজ, সারা অসম বাঙালি ঐক্যমঞ্চ, বেঙ্গলি ইউনাইটেড ফোরাম অফ অসমের প্ৰতিনিধিরা প্ৰাক্তন আলফা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এই বৈঠকের প্ৰধান উদ্দেশ্য রাজ্যে অসমীয়া বাঙালির মধ্যে সম্প্ৰীতি রক্ষা করা। ভয়েস অফ বেঙ্গলি অফ অসমের পক্ষে পাৰ্থ রায় আজ এ খবর দিয়ে জানান, আলোচনাপন্থী  আলফা নেতার শীৰ্ঘ্ৰই ডিটেনশন ক্যাম্পে যাবেন এবং ‘ডি' ভোটার নিয়ে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। জাতীয় নাগরিকপঞ্জীতে নাম অন্তৰ্ভুক্তির ক্ষেত্ৰে এন এস কে সেবা কেন্দ্ৰগুলি সহযোগিতা করছে না। প্ৰকৃত ভারতীয় নথিপত্ৰ থাকা সত্বেও হয়রানি করা হচ্ছে। এই ধরণের বহু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সেই অভিযোগগুলিও খতিয়ে দেখবে সালফা নেতারা। পাৰ্থ জানান গত ১২ নভেম্বরের বৈঠক ফলপ্ৰসূ হয়েছে। 
রাজ্যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর দাবি আপত্তির দাখিলের ক্ষেত্ৰে প্ৰকৃত ভারতীয় নাগরিকদেরও নানাভাবে হয়রানি করার প্ৰেক্ষিতে প্ৰকৃত ভারতীয় নাগরিকদের কাছে প্ৰকৃত নথিপত্ৰ থাকলেও এন এস কে সেবা কেন্দ্ৰগুলিতে যাচ্ছে না। তালিকায় বাদ পরা ৪০ লক্ষ ৭ হাজার ৭০৭ জনের মধ্যে মাত্ৰ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার নথিভুক্ত হয়েছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল দিল্লী থেকে ফিরে এন আর সি কেন্দ্ৰগুলিতে গিয়ে বেশি করে আপত্তি জানাবার আহবান জানিয়েছেন। নাগরিক অধিকার সুরক্ষা সমিতির উপদেষ্টা তথা গৌহাটি হাইকোৰ্টে বিশিষ্ট আইনজীবি হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, মুখ্যমন্ত্ৰী এই ধরণের আবেদন জানাতে পারেন না। অৰ্থমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা আজ বলেছেন, ‘‘সংবাদ মাধ্যম নাগরিকত্ব বিল নিয়ে বেশি হৈ-চৈ করছে। কিন্তু জাতীয় নাগরিকপঞ্জীতে দাবি আপত্তির ক্ষেত্ৰে কারও কোনও মাথা ব্যথা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এখন পৰ্যন্ত মাত্ৰ ৯০০ জন মানুষে আপত্তি জানিয়েছে। বাদ পরা ৪০ লক্ষ মানুষের মধ্যে এক বৃহৎ সংখ্যক অবৈধ মানুষের নাম নাগরিকপঞ্জীতে অন্তৰ্ভুক্ত হয়ে যাবে। হাইলাকান্দি সহ কয়েকটি জেলায় মাত্ৰ ৫ শতাংশ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। সেখানে কেন আপত্তি জানানো হচ্ছে না। আগামী ১৫ ডিসেম্বর দাবি আপত্তি জানাবার শেষ দিন।”  এই স্বল্প সময়ের মধ্যে প্ৰায় ৩৭ লক্ষ মানুষের নাম এন আর সি ছুট হয়ে থাকবে। রাজ্যে এক ভয়ংঙ্কর আইন শৃংঙ্খলার পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বলে বিভিন্ন মহলের মধ্যে আশংঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। এন আর সিতে নাম অন্তৰ্ভুক্ত না হওয়ায় হতাশগ্ৰস্থ হয়ে মানুষ আত্মহত্যা করছে। কোকরাঝাড় জেলার শ্ৰীরামপুরে সুরেন্দ্ৰ বৰ্মনের আত্মহত্যার পর পুনরায় গতকাল শোণিতপুর জেলায় ঠেলামারা এলাকায় মান্নাস আলি নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। এই পৰ্যন্ত আত্মহত্যার সংখ্যা ১৭ জন ছাড়িয়ে গেল। সরকারের দিক থেকে কোনও প্ৰতিক্ৰিয়াও নেই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.