Header Ads

৫ ও ৯ ডিসেম্বর দুই পৰ্যায়ে পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনের দিন ঘোষণা করা হল, নিৰ্বাচন আচরণ বিধি লাগু

দুই সন্তানের বেশি অভিভাবকদের নিৰ্বাচনে প্ৰতিদ্বন্দ্বিতা করার উপর নিষেধাজ্ঞা, প্ৰার্থীর বাড়িতে শৌচালয় থাকা আবশ্যক

অমল গুপ্তঃ গুয়াহাটি
জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নবায়নের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার জাতীয় দায়িত্ব পালন করছে। প্ৰায় ৫০ হাজার কৰ্মচারী এই কাজে নিয়োজিত।এই সময়ের মধ্যে অসমে পঞ্চায়েত নিৰ্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনের দিন ঘোষণা সম্ভব হয়নি।এখন জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর দাবি আপত্তি দাখিলের সময়ের মধ্যেই আগামী ৫ ও ৯ ডিসেম্বর দুই পৰ্যায়ে পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনের দিন ঘোষণা করা হল। নিৰ্বাচনী বিজ্ঞপ্তি জারি করা দিন থেকেই নিৰ্বাচন আচরণ বিধি চালু হয়ে গেল বলে ঘোষণা করেছেন রাজ্য নিৰ্বাচন কমিশানার এইচ এন বরা। তিনি আজ কাৰ্যালয়ে সাংবাদিক সন্মেলনে জানান, এই নিৰ্বাচন পরিচালনা করার জন্য ১ লক্ষ ৫৬ হাজার কৰ্মচারীর প্ৰয়োজন পড়বে। এই নিৰ্বাচনের জন্য ব্যয় হবে দেড় শো কোটি টাকা। ই.ভি.এম নয় ব্যালট পেপারে ভোট গ্ৰহণ করা হবে। মোট ভোটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ২১.৪৯ শতাংশ। কমিশনার বরা জানান, ডিসেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ  কলেজেগুলির পরীক্ষাগুলি ১৫ ডিসেম্বরের পরে অনুষ্ঠিত করার জন্য শিক্ষা বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। রাজ্যের ৪২০ টি জেলা পরিষদ, 2,১৯৯ আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য 2,১৯৯ গাঁও পঞ্চায়েত সভাপতি এবং ২১,৯৯০ গাঁও পঞ্চায়েত সদস্যকে নিৰ্বাচন করা হবে। বিধানসভায় পঞ্চায়েত বিধি সংশোধনী অনুযায়ী প্ৰতিদ্বন্দ্বী প্ৰাৰ্থীদের জন্য নূন্যতম যোগ্যতাও থাকতে হবে। দুটির বেশি সন্তানের অভিভাবকদের পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনে প্ৰতিদ্বন্দ্বিতা করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, আইনটি বিধানসভায় পাশ হয়েছে ২০১৮ র ১৯ মাৰ্চ, তার আগে জন্ম গ্ৰহণ করা দুই বা ততোধিক সন্তানের অভিভাবকদের ক্ষেত্ৰে আইনটি প্ৰযোজ্য হবে না। এছাড়া প্ৰধানমন্ত্ৰীর স্বপ্নের প্ৰকল্প ‘স্বচ্ছ ভারত'-র অঙ্গ হিসাবে প্ৰতিদ্বন্দ্বীতা করতে ইচ্ছুক প্ৰাৰ্থীর ঘরে স্বাস্থ্যসন্মত শৌচালয় থাকা বাধ্যতামূলক। প্ৰথম পৰ্যায়ে মনোনয়ন-পত্ৰ দাখিলের অন্তিম দিন ১৫ নভেম্বর, দ্বিতীয় পৰ্যায়ে মনোনয়নের দাখিল করার অন্তিম দিন ১৯ নভেম্বর, এবং প্ৰথম পৰ্যায়ের মনোনয়ন প্ৰত্যাহারের অন্তিম দিন ১৯ নভেম্বর এবং দ্বিতীয় পৰ্যায়ের মনোনয়ন প্ৰত্যাহারের অন্তিম দিন ২২ নভেম্বর। ১২ ডিসেম্বর ভোট গণনাৰ দিন ধাৰ্য্য করা হয়েছে। ৫ ডিসেম্বর নিৰ্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৬ টি জেলায়– কামরূপ (গ্ৰাম্য), কামরূপ (মেট্ৰো), তিনসুকিয়া, ডিব্ৰুগড়, শিবসাগৰ, চরাইদেউ, যোরহাট, মাজুলি, লখিমপুর, গোলাঘাট, নগাঁঁও, ধেমাজি, বিশ্বনাথ, শোণিতপুর, দরং এবং মরিগাঁও অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় পৰ্যায়ে অৰ্থাৎ ৯ ডিসেম্বর বরাক উপত্যকার ৩ জেলা কাছাড়, করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দি, ছাড়াও নলবাড়ী, বরপেটা, বঙ্গাইগাঁও, ধুবড়ি, দক্ষিণ শালমারা মানকাচর এবং হোজাই জেলায়। এই ২৬ টি জেলা ছাড়াও ১৪টি সিভিল সাবডিভিশনে পঞ্চায়েত নিৰ্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্ৰতিজন পঞ্চায়েত সদস্যদের নিৰ্বাচনী ব্যয়ের সীমা নিৰ্ধারণ করা হয়েছে। প্ৰতিজন জেলা পরিষদের সদস্য ৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা, আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্যদের জন্য ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা, গ্ৰাম পঞ্চায়েত সদস্যদের জন্য ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা এবং শুধুমাত্ৰ সদস্যদের জন্য মাত্ৰ ১৬ হাজার। ভোট গ্ৰহণ করা হবে সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৩ টা পৰ্যন্ত। অফিস খোলার সময়ই সকাল ১১ থেকে ৩ টার মধ্যে মনোনয়ন দাখিল করতে পারবে। জেলা পরিষদের সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চতর মাধ্যমিক বা সমপৰ্যায়ের, আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্যদের এবং গাঁও পঞ্চায়েত সভাপতিদের শিক্ষাগত যোগ্যতা মাধ্যমিক বা সমপৰ্যায় এবং গাঁও পঞ্চায়েত সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্ৰেণী পাশ। সৰ্বমোট ভোট কেন্দ্ৰ ২৩,৫০৫টি। তার মধ্যে স্পৰ্শকাতর ভোট কেন্দ্ৰ হচ্ছে ৮,২৪৩ এবং অতি স্পৰ্শকাতর কেন্দ্ৰ হচ্ছে ৩,৬৬৫টি। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.