Header Ads

।। নিউইয়র্কে শারদ উৎসব ।।


নিউইয়র্ক থেকে আশীষ কুমার  দে
 গত ১২ থেকে ১৪ অক্টোবর আয়োজিত হয় নিউইয়র্ক শহরের এবছরের শারদ উৎসব। এই পুজো এবার ২৩ বছরে পড়ল। এর  আয়োজক নিউইয়র্ক পুজো অ্যাসোসিয়েশন। গুজরাতি সমাজ অফ নিউইয়র্কের ভবন, হোরেস  হার্ডিং এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্রেশ  মিডোতে শুক্রবার থেকে রবিবার অনুষ্ঠিত হয়  সপ্তমী, অষ্টমী,  নবমী দশমী ।  ছুটির  অসুবিধার কথা  মাথায় রেখে আমেরিকার অনেক শহরে শনিবার ও রবিবার  পুজো  করা  হয় । শুক্রবার  সন্ধ্যায়  শুরু হয় এবারের  পুজো ।  তবে পাঁচদিনের  অনুষ্ঠান  দুদিনে  সীমিত  হলেও  কোন কিছুর খামতি ছিল না। শুধু সময়টুকু  কমে যায়।  এবার এই দুদিন ধরে  অঞ্জলি, আরতি,  ভোগ প্রসাদ, ধুনুচি  নাচ,  ঢাকের বাজনা সবই  সমান তালে  হয়েছে ।  দশমীতে সিঁদুর খেলাতে অংশ নিতে দেখা গেছে লালপাড় শাড়ি পরা সব বয়সী মহিলাদের। এই উৎসব ঘিরে সদস্যদের প্রস্তুতি চলছিল অনেকদিন ধরে, বাঙালির কাছে শরৎ কালের এই উৎসবের একটি আলাদা আবেদন আছে। পুজোর দুদিন ধরে বাঙালির রসনা তৃপ্ত করতে বসেছিল বিভিন্ন ধরনের খাবার স্টল সেখানে মাটন কষা, কবিরাজী বা রাধাবল্লভী সমানভাবে পাওয়া গেছে, সৃষ্টিকর্তা সকলেই মহিলা সদস্য, যাদের উদ্যম অনেকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে, বাঙালিয়ানা ফিরে আসে  অন্তরে। বাংলার তাঁতের শাড়ি, পোষাক, বই, গানের সিডি সহ আরও বহু কিছু স্থান পেয়েছিল স্টলগুলিতে। মহিলাদের জন্য ছিল বিভিন্ন প্রতিযোগীতা, শঙ্খধ্বনি, ফ্যাশন শো, আলপনা । পুরস্কৃত করা হয়  সফল প্রতিযোগীদের। শিশু, কিশোর কিশোরীদের  জন্য ছিল ছবি আঁকা, আবৃত্তি, নাচগানের অনুষ্ঠান। শুক্রবার সন্ধ্যায় বৃদ্ধাশ্রম খ্যাত বিখ্যাত গানের গায়ক নচিকতা চক্রবর্তীর গান মাতিয়ে তোলে দর্শকদের। শনিবার মঞ্চ কাপান ইমন চক্রবর্তী। ভূপেন হাজারিকার বিস্তীর্ণ  দুপারে.... গানে মনমুগ্ধ হন সকলে। অনুষ্ঠানে ছিলেন সারেগামা  খ্যাত  দুই  নবপ্রজন্মের শিল্পী  সুদয় সরকার  ও  মেখলা  দাসগুপ্ত। স্থানীয়  শিল্পীদের সংস্থা পঞ্চম-এর সদস্যরা "চোখে চোখে কথা বল" এই গানটি সহ আরও বেশ কয়েকটি গান পরিবেশন করেন। কবিতা ও গানের মাধ্যমে জমজমাট হয়ে ওঠে এদিনের  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই পুজোকে সফল করতে এগিয়ে এসেছেন  সব বয়সী  নিউইয়র্কের বাঙালি। প্রকাশিত হয়ে স্মরণিকা। এখানে সব পুজোতেই অংশগ্রহণ করতে অগ্রিম বুকিং করতে হয়, কতজন  অংশ নেবেন, শিশু  কজন  ইত্যাদি ইত্যাদি, রেজিষ্ট্রেশন অনেক  আগে থেকেই  শুরু হয়। পুজো দেখতে বুকিং করতে হয় না তবে অঞ্জলি, ভোগ প্রসাদ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য দিতে হয় চাঁদা। তার রেট ইমেইল করে  আগেই  জানিয়ে  দেওয়া  হয় বা সরাসরি ওয়েবসাইট থেকে করা যায়। চাঁদার অৰ্থ পুজো ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সামাজিক  কাজে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ব্যবহৃত হয়। অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক সংস্থা, বিদ্যালয়, দাতব্য চিকিৎসালয়কে আর্থিক সাহায্য করে আসছেন। অ্যাসোসিয়েশনএর পক্ষ থেকে কেরলের বন্যা দুৰ্গতদের সাহায্য দেওয়া হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.