Header Ads

সংখ্যালঘু সম্প্ৰদায়ের মধ্যে শিক্ষার অভাব, জনবিস্ফোরণ হচ্ছে পশ্চাৎপদতার প্ৰধান অন্তরায়ঃ রঞ্জিত দত্ত

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হবে, ১৫টি নথিই বৈধ হবে, পেপারমিল দুটি খুলবে-বরাকের প্ৰতিনিধিদের এই আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্ৰী সর্বানন্দ সনোয়াল

অমল গুপ্ত, গুয়াহাটি
১০ দিন ব্যাপী অসম বিধানসভার শরৎকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে ‘স্পীকার ইনেসিয়েটিভ' অৰ্থাৎ বিধানসভার অধ্যক্ষের নিজস্ব পছন্দের কৰ্মসূচী কাৰ্বি আংলং-ডিমা হাসাও এই দুই পাৰ্বত্য জেলার আৰ্থ-সামাজিক, উপজাতিগত সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আজ বিধানসভার বিরতির সময় বরাক উপত্যকার এক প্ৰতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এন আর সি উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং বন্ধ কাছাড় ও জাগীরোড় পেপার মিলের প্ৰসঙ্গ নিয়ে দীৰ্ঘ আলোচনা করেন। বিধানসভায় প্ৰেশ্নাত্তর পৰ্বে কংগ্ৰেস সদস্য কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ শিক্ষা বিভাগের মন্ত্ৰী সিদ্ধাৰ্থ ভট্টাচাৰ্যকে ‘অহংকারী' বলে কটাক্ষ করায় অধ্যক্ষ হিতেন্দ্ৰ নাথ গোস্বামী এই শব্দটিকে অসাংবিধানিক বলে তা প্ৰত্যাহার করে নেওয়ার দাবি জানান। কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ কংগ্ৰেসের বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে আজ বিধানসভার অধ্যক্ষ হিতেন্দ্ৰ নাথ গোস্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করে বলেন, শিক্ষামন্ত্ৰী সিদ্ধাৰ্থ ভট্টাচাৰ্য সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। বিরোধী দলের বিধায়কদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেন। বিধানসভার প্ৰেশ্নাত্তর পৰ্বে এআইইউডিএফ-র আমিনুল ইসলামের এক প্ৰেশ্নর জবাবে, সংখ্যালঘু কল্যাণ এবং উন্নয়ন মন্ত্ৰী রঞ্জিত দত্ত জানান, রাজ্যে মুসলিম সম্প্ৰদায়ের সংখ্যা হচ্ছে ১ কোটি ৬ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৪৫ জন অৰ্থাৎ ৩৪.২২ শতাংশ মানুষের বাস। খ্ৰিষ্টান সম্প্ৰদায়ের সংখ্যা হচ্ছে ১১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৮৬৭ জন অৰ্থাৎ ৩.৭৩  শতাংশ, শিখ সম্প্ৰদায়ের মানুষের সংখ্যা ২০ হাজার ৬৭২ জন অৰ্থাৎ ০.০৫ শতাংশ, বৌদ্ধ সম্প্ৰদায়ের মানুষের সংখ্যা ৫৪ হাজার ৯৯৩ জন অৰ্থাৎ ০.১৭ শতাংশ, রাজ্যে ৩ কোটি ২৯ লক্ষ মানুষের মধ্যে পাৰ্শি সম্প্ৰদায়ের একজন মানুষও নেই, তবে জৈন সম্প্ৰদায়ের মানুষের সংখ্যা ২৫ হাজার ৯৪৯ জন। আমিনুল ইসলাম জানতে চেয়েছিলেন, উন্নয়নের সূচাংক ক্ৰমে কোন জনগোষ্ঠী সব থেকে পশ্চাৎপদ। জবাবে মন্ত্ৰী জানান, সেই তথ্য তাদের হাতে নেই, তবে সংখ্যালঘু সম্প্ৰদায়ের মধ্যে শিক্ষার অভাব এবং জনবিস্ফোরণ হচ্ছে পশ্চাৎপদতার প্ৰধান কারণ। সংখ্যালঘু কল্যাণ ও উন্নয়ন মন্ত্ৰী রঞ্জিত দত্ত জানান, সংখ্যালঘু সম্প্ৰদায়ের ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের সরকার স্কলারশিপ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এবং সংখ্যালঘু বিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে সরকার এম এস ডি পি কৰ্মসূচী ও বৰ্তমান প্ৰধানমন্ত্ৰীর জন বিকাশ কৰ্মসূচীর অনুযায়ী অংগনবাড়ী কেন্দ্ৰ, বিদ্যালয়গুলিতে অতিরিক্ত শ্ৰেণী নিৰ্মাণ, শৌচাগার নিৰ্মাণ, আবাসগৃহ নিৰ্মাণ, কারিকরী উদ্যোগিক কেন্দ্ৰ স্থাপন প্ৰভৃতি উন্নয়নমূলক কাজ হাতেনেওয়া হয়েছে। ২০১৭-১৮ সালে এম এস ডি পির কৰ্মসূচীর অধীনে ২১ আবাসিক বিদ্যালয় স্থাপনের ব্যবস্থা হয়েছে। এই এম এস ডি পির অধীনে চলিত বছরে কেন্দ্ৰীয় পুঁজি ২৫০০০.০০ লক্ষ টাকা এবং রাজ্যিক পুঁজি ২৫০০.০০ লক্ষ চর অঞ্চলের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। শেরমান আলীর এক প্ৰেশ্নর জবাবে, মন্ত্ৰী জানান, এম এস ডিপির কৰ্মসূচীর অধীনে ২০১৮-১৯ সালে কেন্দ্ৰীয় সরকার এবং প্ৰধানমন্ত্ৰীর জন বিকাশ কৰ্মসূচীর অধীনে ১১৯.১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যের ধৰ্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্ৰদায়ের জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কৰ্মসূচীর কথা উল্লেখ করে মন্ত্ৰীঅভিযোগ করেন, ছাত্ৰ-ছাত্ৰীদের স্কলারশিপ দেওয়ার নামে অনেক ভূয়ো তথ্য দাখিল করা হয়েছে। এই ঘটনায় মরিগাঁও এবং বরপেটায় দুজনকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে । বিগত কংগ্ৰেস রাজত্বে এই সব দুৰ্নীতি হয়েছে। বৰ্তমানে মেধার ভিত্তিতে অন লাইন আবেদন গ্ৰহণ করা হচ্ছে। মহকুমা পৰ্যায়ে সংখ্যালঘু উন্নয়নের বোৰ্ড গ্ৰহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। রঞ্জিত দত্ত বলেন, রাজ্যের সংখ্যালঘু অধু্যষিত অঞ্চলে ৯ টি মহিলা কলেজ স্থাপনের ব্যবস্থা হয়েছে। শিক্ষার অভাব এবং জনবিস্ফোরণের জন্য সংখ্যালঘু অঞ্চলের সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে তিনি অভিমত পোষণ করেন। কংগ্ৰেস বিধায়িকা রোজলিনা তিৰ্কের এক প্ৰেশ্নর জবাবে খাদ্য সরবরাহ মন্ত্ৰী ফণী ভূষণ চৌধুরী বলেন, ২ লক্ষ ৮৮ হাজার নতুন রেশন কাৰ্ড ইস্যু করা হয়েছে। এখনও ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার রেশন কাৰ্ড ইস্যু বাকি আছে। সুজামুদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেন হাইলাকান্দি জেলার অংগনবাড়ী কৰ্মী ও সহায়িকারা বিগত ৮ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। দুৰ্গাপুজোর আগে বেতন দেওয়া হবে কিনা? সমাজ কল্যাণ বিভাগের মন্ত্ৰী প্ৰমিলা রাণী ব্ৰহ্ম জানান, পুজোর আগে বেতন দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। অধ্যক্ষ হিতেন্দ্ৰ নাথ গোস্বামী মন্ত্ৰীর কাছে জানতে চান, পুজোর আগে বেতন দেওয়ার নিশ্চয়তা আছে তো? সুজামুদ্দিন অংগনবাড়ী কেন্দ্ৰগুলির জরাজীৰ্ণঅবস্থার কথা তুলে ধরেন। অগপর রমেন্দ্ৰ নারায়ণ কলিতা রাজ্যের প্ৰাকৃতিক সম্পদের খনিগুলির সম্পৰ্কে বিস্তারিত জানতে চান, জবাবে খনিজ বিভাগের মন্ত্ৰী সুম রংহাং জানান, রাজ্যে ভূগৰ্ভস্থ খনিজ তেলের পরিমাণ ২০০.০০ মিলিয়ন মেট্ৰিক টন, ৫৫ বছর তেল আহরণ করা সম্ভব, প্ৰাকৃতিক গ্যাস আছে ১০২৮১৫.০০ মিলিয়ন ঘন মিঃ, ৪১ বছর আহরণ করা সম্ভব, কয়লার মজুত ভাণ্ডার আছে ৩২০.০০ মিলিয়ন মেট্ৰিক টন ১০০ বছর আহরণ সম্ভব এছাড়াও চূণা পাথর, চীনা মাটি, আকরিক লোহা, গ্লাস স্যাণ্ড, সিলিমেনাইট, গ্ৰেণাইট ও ফুলাৰ্চ আৰ্থ আছে বলে মন্ত্ৰী জনান। মন্ত্ৰী রংহাং স্বীকার করেন এই খনিজ সম্পদ উত্তোলন করার পরিকাঠামো তাদের নেই। ডাইরেক্টর কাৰ্যালয়ে সব কিছু সীমাবদ্ধ। তার জন্য রয়্যালটি সংগ্ৰহ সম্ভব হচ্ছে না। তিনি স্বীকার করেন, ৮ টি তৈল ক্ষেত্ৰ নিলাম করা হয়েছে। প্ৰেশ্নাত্তর পৰ্বের মধ্যেই বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ পয়েণ্ট অফ অৰ্ডার তুলে করিমগঞ্জ জেলার ভয়ংকর বিদু্যৎ সমস্যার কথা তুলে ধরেন। কংগ্ৰেসের সদস্য রূপজ্যোতি কুৰ্মী পয়েণ্ট অফ অৰ্ডার তুলে অভিযোগ করেন, প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীর নামে থাকা প্ৰকল্পগুলি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, সরকার অৰ্থ বরাদ্দ করছে না। এআইইউডিএফ-এর আমিনুল ইসলাম পয়েণ্ট অফ অৰ্ডার তুলে বলেন, তেল ডিজেল-পেট্ৰোলের দাম যখন লিটারে প্ৰতি ৫ টাকা কমলো তবে যান বাহনের ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে কেন? স্পীকার ইনেশিয়েটিভ বা অধ্যক্ষের পছন্দ অনুযায়ী বিধানসভায় দুবেলায় কাৰ্বি আংলং এবং ডিমা হাসাও পাৰ্বত্য জেলার আৰ্থ সামাজিক, উপজাতিদের বিভিন্ন সমস্যা এবং তা থেকে উত্তরণের নানা দিক নিয়ে দীৰ্ঘ আলোচনা হয়। পাৰ্বত্য জেলারবীরভদ্ৰ হাগজার, মনসিং রংপি ছাড়াও আমিনুল ইসলাম, প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত প্ৰমুখ জনপ্ৰতিনিধিরা আলোচনায় অংশ গ্ৰহণ করেন। প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত অভিযোগ করেন, ১৯৫১ সালের ১৭ নভেম্বর কাৰ্বি আংলং জেলার জন্ম হয়েছিল। শিবসাগর ও নগাঁও জেলার একাংশ এবংমেঘালয়ের কিছু এলাকাকে অন্তৰ্ভুক্ত করে কাৰ্বি আংলং স্বশাসিত জেলা প্ৰতিষ্ঠিত হয়। এই জেলায় উপজাতি ছাড়াও অনুপজাতি অসমীয়া, বাঙালি, হিন্দী প্ৰভৃতি ভাষী মানুষ কাৰ্বি আংলংয়ের জন্ম সাল ১৯৫১ থেকে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। তাদের ভোটাধিকার সহ সব ধরণের রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার চক্ৰান্ত চলছে। ২০১৪ সাল পৰ্যন্ত বাঙালি-হিন্দুদের নাগরিকত্ব প্ৰদানের চেষ্টা করছে কেন্দ্ৰের বিজেপি সরকার অপরদিকে স্থায়ী ভাবে বসবাসকারী অনুপজাতিদের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ারচক্ৰান্ত করছে। এমনকি আদালত পৰ্যন্ত আদেশ দিয়ে অনুপজাতিদের ভোটাধিকার বাতিলের সুপারিশ করেছে। অসম গণ পরিষদ তা কোনও ভাবে মেনে নেবে না। আজ বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্ৰী সিদ্ধাৰ্থ ভট্টাচাৰ্য অভিযোগ করেন, রাজ্যে এখনও স্কুল এ্যডুকেশন পলিসি তৈরি হয়নি। এর জন্য কাউকে তিনি দোষারোপ করছেন না। বলেন, শিক্ষার ব্যবস্থায় তথ্য প্ৰযুক্তিকে অন্তৰ্ভুক্ত করতে হবে। প্ৰাক প্ৰাথমিক শ্ৰেণীকে প্ৰথম শ্ৰেণীতে অন্তৰ্ভুক্ত করতে হবে। এর আগে শিক্ষা বিভাগ নিয়ে দীৰ্ঘ আলোচনা হয়েছে। আজ শিক্ষামন্ত্ৰী সে সম্পৰ্কে এক প্ৰতিবেদন অধ্যক্ষের কাছে দাখিল করেছেন। শিক্ষক নিয়োগ, প্ৰাদেশীকরণ প্ৰভৃতি ক্ষেত্ৰে সরকার নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করে ভট্টাচাৰ্য বলেন, মন্ত্ৰী বদল হবে, সরকার বদল হয় কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্তগুলি পরবৰ্তী সরকার কাৰ্যকরী করে তা ‘কণ্টিনিউয়াস প্ৰসেস।'
আজ বিধানসভায় বরাক উপত্যকার বিজেপি প্ৰতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এন আর সি উদ্ভূত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰতিনিধি দলকে প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছেন আগামী সংসদের অধিবেশনের সময় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি উত্থাপন করে তা আইনে পরিণত করার চেষ্টা হবে। এন আর সির তালিকায় ১৫ নথি যাতে গ্ৰহণযোগ্য হয় তার জন্য বিজেপি সরকার সুপ্ৰীমকোৰ্টের দ্বারস্ত হয়েছে। বিজেপির মুখপাত্ৰ রাজদ্বীপ রায় এই প্ৰতিনিধি দলে ছিলেন। তিনি মুখ্যমন্ত্ৰীর এই আশ্বাসের কথা জানিয়ে বলেন, গতকার রাতে বিজেপি বিধায়কদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সেই বৈঠকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ঐক্যমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। নগন্য দু'একজন আপত্তি জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্ৰী পেপার মিল দুটির বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়ার প্ৰতিশ্ৰুতি ছাড়াও মিল দুটি খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। কংগ্ৰেসের জাতীয় মহিলা মোৰ্চার সদস্য শিপ্ৰা গুণ জানান, এর আগে তারা মুখ্যমন্ত্ৰীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার পর বিজেপি রাষ্ট্ৰীয় সভাপতি অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্ৰী এবং হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মার সঙ্গে পৃথক ভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সম্পৰ্কে আশ্বাস দেন। আজকের এই প্ৰতিনিধি দলে ছিলেন মন্ত্ৰী পরিমল শুক্লবৈদ্য, বিধায়ক অমর চাঁদ জৈন, কিশোর নাথ, মিহির কান্তি সোম প্ৰমুখ বরাক উপত্যকা সমন্বয় রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান কবিন্দ্ৰ পুরকায়স্থ এবং আহবায়ক নিত্য ভূষণ দের পক্ষে আজ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্ৰীর চেম্বারে এক স্মারক পত্ৰ মুখ্যমন্ত্ৰীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.