Header Ads

গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাইনি হত্যা-অন্ধ বিশ্বাসের ওপর বিশেষ অনুষ্ঠান

দেবযানী পাটিকর, গুয়াহাটিঃ গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালযে ডাইনি হত্যা ,অন্ধবিশ্বাস এবং কুসংস্কারের ওপর একটি বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফনীধর দত্ত প্রেক্ষাগৃহে শনিবার বিকেলে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আন্তরাষ্ট্রীয় পুরস্কারে সম্মানিত ডঃ বিরুবালা রাভা। জেভিয়ার ফাউন্ডেশন ও গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় সংযুক্ত সহযোগিতাতেই বিশেষ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ডাইনি হত্যা ও সমাজের কুসংস্কারও অন্ধ বিশ্বাসের ওপর বিস্তৃতভাবে আলোচনা করা হয়। ডাইনি হত্যা প্রসঙ্গে বীরবালা রাভা বলেন, ডাইনি শব্দটির সঙ্গে আর্থসামাজিক এবং রাজনৈতিক গতিবিধির একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। দেখা যায় যে প্রায় প্রতিটি ডাইনি হত্যা ঘটনার পিছনে ব্যক্তিগত সম্পত্তি, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, অথবা  আর্থসামাজিক সংঘাতের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে শিক্ষার অভাব, সচেতনতার অভাব, চিকিৎসা স্বাস্থ্য ইত্যাদি কারণ। অসমের এখনও বহু প্রত্যন্ত এলাকা রয়েছে যেখানে জাদু টোনা অন্ধ বিশ্বাসের উপর লোকে  ভরসা করে। যেখানে শিক্ষার আলো এখন পর্যন্ত তেমন ভাবে পৌঁছতে পারেনি। হয়নি যাতায়াত ব্যবস্থারও উন্নতি। লোকের মধ্যে সচেতনতার অভাব খুবই কম। তবে তিনি একথাও বলেন যে লোকের মধ্যে সচেতনতা এবং শিক্ষার প্রসারই একমাত্র ডাইনি হত্যার মতো সামাজিক ব্যাধিকে কম করতে পারবে। এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ডঃ মৃদুল হাজারিকা বলেন, ডাইনি হত্যা সমস্যা কেবল ভারতেই নয় সমগ্র ইউরোপেও এই সমস্যা রয়েছে। আসলে ডাইনি শব্দটি ভীষণভাবে একটি বিশেষ সমাজ ব্যবস্থার বৈষম্যের প্রতীক যার সঙ্গে আর্থসামাজিক আর রাজনৈতিক গতিবিধির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তিনি আসামের গোয়ালপাড়া জেলার কথা  এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, ডাইনি হত্যা সমস্যা সমাধানে  বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সচেতন করার সাথে সাথে আমাদেরকেও বিরুবালা রাভা কে সহযোগিতা করতে হবে। রাজ্যে ডাইনি হত্যা ঠেকানোর ক্ষেত্রে তার অবদান সত্যিই প্রশংসনীয়। এ সম্পর্কে বিশেষ শাখার ডিজেপি পল্লব ভট্টাচার্য বলেন, ডাইনি-হত্যা সম্পর্ক যদিও আইন-কানুন রয়েছে কিন্তু এ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের জ্ঞান কম। ফলে আইনের  উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সমাজকেও এগিয়ে আসতে হবে।  অবসরপ্রাপ্ত ডিজিপি মুকেশ সহায় বলেন, যে সরকারের সঙ্গে সাধারণ মানুষ মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আইনের এর ক্ষেত্রে সচেতনতাও খুব দরকার রয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক দীনেশ চন্দ্র গোস্বামী, বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্জিয়ক সুরেশ নাথ প্ৰমুখ। এছাড়াও বহু গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতি ছিল এদিনের অনুষ্ঠানে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.