Header Ads

জাগিরোড এবং কাছাড় পেপার মিলের প্ৰায় ৩ হাজার একর জমি আছে তা জলের দরে বিক্ৰির চক্ৰান্ত চলছে, অভিযোগ শ্ৰমিক সংগঠনের

পেপার মিল খোলার দাবিতে ২২ নভেম্বর বরাক বন্ধের ডাক

গুয়াহাটিঃ কাছাড়ের পেপার মিল খোলার দাবিতে এইচ পি সি পেপার মিলস রিভাইভ্যাল একশন কমিটি আগামী ২২ নভেম্বর ১২ ঘণ্টা  বরাক উপত্যকা বন্ধের ডাক দিয়েছে। এই একশন কমিটির মুখ্য আহবায়ক মানবেন্দ্ৰ চক্ৰবৰ্তী, আহবায়ক আজিজুর রহমান মজুমদার আজ জানান, বন্ধের পরেও সরকারের দিক থেকে কোনও সারা না পেলে আগামী সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে দিল্লীতে গিয়ে পেপার মিল শ্ৰমিকরা সংসদ ঘেরাও কৰ্মসূচি গ্ৰহণ করবে। মুখ্য আহবায়ক মানবেন্দ্ৰ চক্ৰবৰ্তী আজ অভিযোগ করেন জাগিরোড এবং কাছাড় পেপার মিলের প্ৰায় ৩ হাজার একর জমি আছে। কলকাতা, গুয়াহাটি প্ৰভৃতি জায়গায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি আছে, তা জলের দরে বিক্ৰি করে দেওয়ার চক্ৰান্ত করছে কেন্দ্ৰের বিজেপি সরকার। ইতিমধ্যে টেণ্ডার ডাকা হয়েছে পেছনের দরজা দিয়ে প্ৰাইভেট পাৰ্টিকে মিল দুটি জলের দরে বিক্ৰি চক্ৰান্ত শুরু হয়েছে। চক্ৰবৰ্তী জানান, বিরোধী দলপতি তথা কংগ্ৰেস নেতা দেবব্ৰত শইকিয়া মুখ্যমন্ত্ৰীর কাছে লিখিতভাবে জানতে চেয়েছেন, পেপার মিল দুটি ২০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি কেন মাত্ৰ কয়েক শ কোটি টাকায় বিক্ৰি করে দিতে চাইছে। তিনি তার সদুত্তর পান নি। বিশিষ্ট শ্ৰমিক নেতা মানবেন্দ্ৰ চক্ৰবৰ্তী অভিযোগ করেন এন আর সি থেকেও বড় জ্বলন্ত সমস্যা হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের কৰ্ম সংস্থানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে রাজনৈতিক স্বাৰ্থে পেপার মিল দুটি বন্ধ করে দেওয়ার চক্ৰান্ত চলছে। অপরদিকে আজ আহবায়ক আজিজুর রহমান মজুমদার অভিযোগ করেন, কেন্দ্ৰীয় সরকার মধ্যপ্ৰদেশের নেপা পেপার মিলকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ৪৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কেন্দ্ৰের শিল্প প্ৰতিমন্ত্ৰী বাবুল সুপ্ৰিয় এই অৰ্থ বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন। মজুমদার অভিযোগ করেন, উত্তর প্ৰদেশে শিল্প উন্নয়নের জন্য কেন্দ্ৰীয় সরকার প্ৰায় ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, এবার দূৰ্গোৎসবের আগে কাছাড় পেপার মিলের অভূক্ত শ্ৰমিকরা এক পয়সাও পেলেন না। রাষ্ট্ৰপতির অনুমোদন ক্ৰমে শ্ৰমিকদের পুজোর মুখে আংশিক বেতন দেওয়ার লক্ষ্যে প্ৰায় ৯০ কোটি টাকা এসেছিল কিন্তু আইনের ফাঁসে তাআটকে পরে আছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি ইঙ্গিত দেন বরাক উপত্যকার পেপার মিলের শ্ৰমিকদের সব ধৰ্য্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। যে কোনও চরম পন্থা অবলম্বন করতে পারে। এর জন্য সম্পূৰ্ণ দায়ি থাকবে কেন্দ্ৰে এবং রাজ্যের বিজেপি সরকার। মানবেন্দ্ৰ চক্ৰবৰ্তী, আজিজুর রহমান মজুমদার ছাড়াও আহবায়ক বাহারুল ইসলাম বড়ভুঁইয়া, আহবায়ক আজির উদ্দিন, আহবায়ক সঞ্জীব রায় এবং আহবায়ক দীপক চন্দ্ৰ নাথ আগামী ২২ নভেম্বরের বরাক বন্ধকে সফল করার আহবান জানিয়েছেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.