রেল শহর লামডিং এ মাদকদ্রব্য সেবনে বৃদ্ধিতে চিন্তিত রেলপ্রশাসন
আশীষ দেঃ লামডিং
শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মাদকদ্রব্যের রমরমা বিক্রির ফলে বাড়ছে কিশোর থেকে প্রৌঢ়দের মাঝে আসক্তি । ভেঙে পড়েছে সামাজিক ও অর্থনৈতিক বুনিয়াদ । দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যায় ভুগছে এই ছোট্ট শহর । বিশেষত রেলের একাংশ কর্মীদের মধ্যে এটির প্রচলন দীর্ঘদিনের । একটি বেসরকারি সংস্থার সার্ভে অনুসারে প্রায় 73% কর্মী নিয়মিত মদ্যপান করেন । এর ফলে তাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা যায়, ও অনেকেই লিভার সিরোসিস ও pancreatic অসুখে আক্রান্ত ও অপরিণত বয়সে মারা যান । রেখে যান ঋণের বোঝাসহ নাবালক সন্তানদের । রেলওয়ে হাসপাতালের দ্বারা একটি নন কমিউনিকেবল ডিজিজ এর উপর একটি বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় তার পর কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিলো কিন্তু লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন দেখা যায়নি । 2011 সনে ঘরোয়া ও আরপিএফের যৌথ উদ্যোগে ও তদানীন্তন ডিআরএম শ্রী অজিত পন্ডিত এর আন্তরিক আগ্রহে একটি পুনর্বাসন ও চিকিৎসা পরিষেবা কেন্দ্র চালু করা হয় এখানে মাদকাসক্তদের ভর্তি করে চিকিৎসা ও সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করা হয় । তবে এটা বন্ধ করে দিতে হয় বিভিন্ন অসুবিধার জন্য । বর্তমানের ডিআরএম শ্রী আশীষ শর্মা আবার নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছেন রেল এলাকা ও কর্মচারীদের মাদকদ্রব্যের থেকে দূরে রাখতে । তার অনুরোধে ঘরোয়া গত 5th সেপ্টেম্বর স্থানীয় গান্ধী কলোনি এলাকায় একটি সচেতনতা শিবির আয়োজিত করেন সহযোগিতায় ছিলেন, আরপিএফ । এই সভায় বক্তব্য রাখেন আরপিএফ এর সহায়ক সুরক্ষা আয়ুক্ত , আরপিএফের ইন্সপেক্টর ও ঘরোয়ার প্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দারা । ঘরোয়া গত দশ বছর ধরে নগাঁও জেলায় শিরায় নেশা নেওয়া চার শতাধিক যুবকের মাঝে কাজ করে যাচ্ছে এবং লামডিং এলাকা এর অন্তর্গত । পরবর্তীতে অন্যান্য এলাকায় এই ধরনের শিবির আয়োজিত হবে বলে জানিয়েছেন শ্রী অনুপ কুমার দাস ঘরোয়ার সিইও
কোন মন্তব্য নেই