Header Ads

প্ৰফুল্ল কুমার মহন্তকে প্ৰধানমন্ত্ৰীর পদে বসানোর প্ৰস্তাব দেওয়া হয়েছিলঃ কোকরাঝাড়ের সাংসদ শরণীয়া

বিটিসি কৰ্তৃপক্ষ চাইছে এন আর সি থেকে বেশী মানুষের নাম বাদ পড়ুক, মঙ্গলদৈ লোকসভা কেন্দ্ৰও দখল করা যাবেঃ নব শরণীয়া

গুয়াহাটিঃ জাতীয় নাগরিকপঞ্জী থেকে নাম বাদ পড়ায় সারা রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষ উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে অবোড়ো হিন্দু-মুসলিম সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নাম বেশী করে বাদ পড়েছে। নাগরিকত্বের বৈধ নথিপত্ৰ থাকা সত্বেও নাম বাদ পড়েছে। কিন্তু বিষ্ময়ের কথা বিটিসি কৰ্তৃপক্ষ চাইছে এন আর সি থেকে বিটিএডি এলাকায় সংখ্যালঘু অবোড়ো জনগোষ্ঠীর নাম বেশি বাদ পড়ুক, কোকরাঝাড় লোকসভা কেন্দ্ৰের প্ৰায় ৩ লক্ষ অবোড়ো মানুষের নাম বাদ পড়েছে। মঙ্গলদৈ লোকসভা কেন্দ্ৰে কয়েক লক্ষ সংখ্যালঘু মানুষের নাম বাদ পড়লে বিপিএফ তাদের প্ৰাৰ্থীদের জয়লাভের পথ প্ৰশ্বস্ত হবে। বোড়ো জনগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারে পরিণত হবে। তাদের সমৰ্থন নিয়ে বিপিএফ তাদের প্ৰাৰ্থীকে জিতিয়ে আনতে পারবে। আজ দিশপুর প্ৰেস ক্লাবে মুখোমুখি অনুষ্ঠানে কোকরাঝাড়ের সাংসদ নব কুমার শরণীয়া বিপিএফ-এর অন্দরমহলের আগামী লোকসভা নিৰ্বাচনে কৌশল সম্পৰ্কে এই কথা বলেন। অবোড়ো জনগোষ্ঠীর সন্মিলিত ঐক্য মঞ্চের সাংসদ শরণীয়া বলেন, পৃথক বোড়োল্যাণ্ড গঠনের সম্ভাবনা আদৌনেই। বিপিএফ চাইছে মঙ্গলদৈ এবং কোকরাঝাড় লোকসভাকে একত্ৰিত করে স্বশাসিতমূলক ব্যবস্থা গ্ৰহণ করতে। কেন্দ্ৰে বিজেপি সরকারের সঙ্গে এই ধরণের কোনও রফা করতে চাইছে বিপিএফ। তিনি বলেন, এন আর সি নিয়ে যে ধরণের বিসংগতি চলছে, বৈধ ভারতীয় নাগরিকের নাম বাদ পড়ছে তাতে অসমের বদনাম হচ্ছে। সাংসদ বলেন, বাঙালি, বিহারী, নেপালি এবং মুসলিম প্ৰভৃতি অবোড়ো জনগোষ্ঠীর মানুষ দীৰ্ঘ বছর থেকে পাশাপাশি বসবাস করছে। তাদেরকে এন আর সি থেকে বাদ দেওয়ার ফলে বোড়োল্যাণ্ডের শাসক দল উপকৃত হবে। অসমের বৰ্তমান আৰ্থ-সামাজিক অবস্থায় উদ্বেগ প্ৰকাশ করে বলেন, বিজেপি দুৰ্নীতি প্ৰতিরোধে শূণ্য সহনশীলতা নীতি গ্ৰহণ করেছে, কিন্তু তৃণমূল পৰ্যায়ে ব্যাপক হারে দুৰ্নীতি চলছে। ডিজেল-পেট্ৰোলের মূল্য নিয়ন্ত্ৰণে বিজেপি সরকার ব্যৰ্থ হয়েছে। নিত্য প্ৰয়োজনীয় প্ৰত্যেকটি সামগ্ৰীর আকাশ সমান মূল্যবৃদ্ধি, আম জনতার নাভিঃশ্বাস উঠছে। এইচ ডি দেব গৌড়াকে প্ৰধানমন্ত্ৰী করার আগে অসমের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্তকে প্ৰধানমন্ত্ৰী করার প্ৰস্তাব দেওয়া হয়েছিল। দিল্লীতে কেন্দ্ৰীয় কমিটির বৈঠকে চন্দ্ৰমোহন পাটোয়ারীকে সে প্ৰস্তাবের কথা জানানো হয়েছিল। মহন্ত প্ৰধানমন্ত্ৰী হলে অসমে আজকের মতো সমস্যা থাকতো না। প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী প্ৰফুল্ল কুমার মহন্ত আজ এই প্ৰতিবেদককে জানান, তাকে প্ৰধানমন্ত্ৰী করার প্ৰস্তাব দেওয়া হয়েছিল ঠিকই কিন্তু তার পক্ষে তা গ্ৰহণ করা সম্ভব হয় নি। 
বিটিসি এলাকায় লাগাম ছাড়া দুৰ্নীতি সম্পৰ্কে সাংসদ শরণীয়া বলেন, কেন্দ্ৰ থেকে গত ৫ বছরে প্ৰায় ২৫ হাজার কোটি টাকা এসেছে। তার প্ৰায় ৫০ শতাংশ বিটিসি কৰ্তৃপক্ষ আত্মসাৎ করেছে।অবোড়ো অঞ্চলে কোনও উন্নতিই হয় নি। গণ বণ্টণ ব্যবস্থার চাউল, আটা, কেরাসিন তেল প্ৰায় সবটায় আত্মসাৎ করা হয়। বৃহৎ পরিমাণ পি ডি এস-র চাউল ধুবড়ি হয়ে বাংলাদেশে চোরাচালান হচ্ছে। এক একজন বিটিসি সদস্যের হাতে ২৫ - ৩০ টি করে জবকাৰ্ড আছে। গরিব অবোড়ো জনগোষ্ঠীর শ্ৰমজীবি মানুষ কাজ পায়না। সৰ্বত্ৰ কোটি কোটি টাকার জুয়ার আসর বসছে, বেআইনী অস্ত্ৰ শস্ত্ৰে ভরে গেছে বিটিসি এলাকা, মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। আলফার প্ৰাক্তন নেতা হিরা শরণীয়া বলেন, সাধারণ আমজনতাকে অমৰ্যাদা করে তাদের সমস্যার দিকে মুখ ফিরেয়ে নিয়ে সশস্ত্ৰ আন্দোলন করে আলফা ১০০ বছরেও স্বাধীন অসম গড়তে পারবে না। কেন্দ্ৰীয় সরকারের সঙ্গে আলফার আলোচনা প্ৰসঙ্গে বলেন, সন্মানজনক শৰ্তে আলোচনা করতে হবে। অসমের মানুষের স্বাৰ্থ পরিপন্থী কোনও চুক্তি করা হবে না। আগামী লোকসভা নিৰ্বাচনে পুনরায় জয়লাভ করবো কেউ আটকাতে পারবে না, দৃঢ়তার সঙ্গে এই অঙ্গীকার করে সাংসদ বলেন, সমাজের পরিবৰ্তন চেয়ে ১৯৮৯ সালে ঘর ছেড়ে ছিলাম। আলফার ভেতরে আভ্যন্তরীণ কোন্দল লক্ষ্য করে আলফা ছেড়ে আলোচনার টেবিলে এলাম। শেষ পৰ্যন্ত রাজনীতির অঙ্গনে পা রাখলাম। রাজনীতির অঙ্গন থেকেই জনগণের সেবা করে যাব।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.