Header Ads

তিন দিন পরেও বাগরি মাৰ্কেটে মাঝে মাঝেই জ্বলে উঠছে আগুন, তদন্তে পুলিশ




নয়া ঠাহর প্ৰতিবেদন, কলকাতাঃ তিন দিন পরেও বাগরি মাৰ্কেটে মাঝে মাঝেই জ্বলে উঠছে আগুন।কুলিং প্ৰসেসে মাৰ্কেটের দেওয়াল ঠান্ডা করার চেষ্টা চলছে। শনিবার মাঝরাতে মাৰ্কেটে আগুন লাগে। বিপৰ্যয়ের জন্য কৰ্তৃপক্ষকেই দুষছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। গাফিলতির অভিযোগে দমকলের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। দমকল কৰ্তাদের অনুমান, ফিডার বক্স থেকে আগুনের ফুলকি ডালার উপরে গিয়ে পড়াতেই এই আগুন। এদিকে, মাৰ্কেটে আগুন লাগার পর ঘুম ভাঙে পুরসভার।তাই  দোকানের বাইরে মালপত্ৰ রাখায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুরসভা। আগুন লাগার ফলে মাৰ্কেটের দেওয়া একাধিক ফাটল দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদূর জাৰ্মানিতে বসে সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ব্যবসার নামে ওখানে গুন্ডামি হত। মুখ্যমন্ত্ৰীর নিৰ্দেশে মাৰ্কেট কৰ্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে কলকাতা পুলিশ। বাজার মালিকের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করার পাশাপাশি গ্ৰেফতারির নিৰ্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, এই ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ওই মাৰ্কেটের অন্যতম কৰ্ণধার কৃষ্ণ কুমার কোঠারি ওরফে কালু কোঠারি। বড়বাজারে তাঁর বাড়ি। বাগরি মাৰ্কেটের রক্ষনাবেক্ষন এবং সিকিউরিটির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পুলিশের তদন্তকারী দল ওই বাড়িতে গিয়েছিল তাঁকে প্ৰাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করতে। কিন্তু পুলিশ সেই ঠিকানায় পৌঁছে দেখেন দীৰ্ঘদিন ধরে সেই বাড়িতে তালা ঝুলছে। মাস কয়েক আগে কলকাতা পুরসভার আধিকারিকরা মাৰ্কেটে গিয়ে দেখেন সেখানে ছাদের ওপর মাত্ৰ ২ হাজার লিটার জলের ট্যাঙ্ক বসানো রয়েছে। যদিও সেখানে ২০ হাজার লিটারের ট্যাঙ্ক বসাতে বলা হয়েছিল। এবারে প্ৰশ্ন উঠছে, আগুন নেভানোর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই জেনেও পুরসভা কেন ব্যবসায়ীদের ট্ৰেড লাইসেন্স ইস্যু করেছিল? এব্যপারে পুরসভার এক আধিকারিকের ব্যাখ্যা, বাগরি মাৰ্কেটের ছাদে বড় মাপের জলের ট্যাঙ্ক বসালে তার ভার সইতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। এই অবস্থা শুধু বাগরি মাৰ্কেটের নয়। কলকাতা শহরের বহু পুরনো বাজারের এই একই সমস্যা। স্থানীয়দের অভিযোগ, আগুন লাগলে কিছুদিন এ নিয়ে আলোচনা হয়। তারপর আবার সব কিছু চুপচাপ হয়ে যায়।  

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.