Header Ads

যোগীগোপার পর কাছাড়, জাগিরোড পেপার মিলও বনধ, ১৪-১৫ আগষ্ট অনশন ধৰ্মঘট শ্ৰমিক সংগঠনের


নামরূপ সার কারখানা এবং রাজীব গান্ধী ইন্সটিটিউট অফ প্ৰেট্ৰোলিয়ম বনধের পথেঃ দেবব্ৰত শইকিয়া

গুয়াহাটিঃ যোগীগোপা পেপার মিল আর খোলার সম্ভাবনা নেই। বরাকের কাছাড় মিল এবং জাগিরোড পেপার মিল দু'টি প্ৰায় ৩ বছর বনধ। কেন্দ্ৰীয় সরকারের প্ৰতিশ্ৰুতির পর প্ৰতিশ্ৰুতি। কেন্দ্ৰীয় ভারি শিল্পমন্ত্ৰী অনন্ত গীতে আবার প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছেন রাষ্ট্ৰায়ত্ব সংস্থা হিন্দুস্থান পেপার কোৰ্পোরেশনে অধীন পেপার মিল দু'টি পুৰ্নজ্জীবন করা হবে।  শ্ৰমিক সংগঠনের নেতা মানবেন্দ্ৰ চক্ৰবৰ্তীর নেতৃত্বে এক প্ৰতিনিধির দল দিল্লীতে কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কেন্দ্ৰীয় মন্ত্ৰী অনন্ত গীতে পুনরায় মিল দু'টি খোলার প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছেন বলে জানান, কাছাড় পেপার মিলের শ্ৰমিক নেতা এ আর মজুমদার। এই প্ৰতিশ্ৰুতির পরেও শ্ৰমিক সংগঠনগুলি কোনও ভরসা পাচ্ছে না। তাই শ্ৰমিক সংগঠনগুলি আগামী ১৪ আগষ্ট থেকে স্বাধীনতা দিবসের বিকাল ৫টা পৰ্যন্ত লাগাতার অনশন ধৰ্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ১৭ আগষ্ট জাতীয় সড়ক অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। মজুমদার জানান, কাছাড় পেপার মিলের প্ৰায় আড়াই বছর বেতন না পাওয়া কয়েক হাজার অভুক্ত শ্ৰমিকরা জাগিরোড পেপার মিলের শ্ৰমিকদের সঙ্গে আন্দোলনে সামিল হবে। বিরোধী দলপতি দেবব্ৰত শইকিয়া আজ অভিযোগ করেন, পেপার মিল দু'টি খোলার আদৌ সম্ভাবনা নেই। নামরূপের সার কারখানাও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্ৰীয় রসায়ন এবং সার মন্ত্ৰণালয় জানিয়ে দিয়েছে নামরূপ সার কারখান পরিকাঠামো খুবই দুৰ্বল হয়ে পড়েছে। নতুন করে কারখানাটিকে আর চাঙ্গা করা যাবে না। কংগ্ৰেস পরিষদীয় দলের নেতা দেবব্ৰত শইকিয়া বলেন, প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদি ‘এ' ফর আসাম শ্লোগান দিয়ে উত্তর পূৰ্বাঞ্চলকে উন্নয়নের ক্ষেত্ৰে প্ৰাধান্য দেওয়ার প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছিলেন। সব প্ৰতিশ্ৰুতিই এখন অসত্য প্ৰমাণিত হচ্ছে। দেবব্ৰত শইকিয়া বলেন, শিবসাগরে অবস্থিত রাজীব গান্ধী ইন্সটিটিউট অফ প্ৰেট্ৰোলিয়াম টেকনোলজি (আর জি আই পি টি) ২০১০ সালে তদানীন্তন প্ৰধানমন্ত্ৰী মনমোহন সিং শিলান্যাস করেছিলেন। ২০১৭ সাল থেকে কারিগরি শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠানটির পাঠ্যক্ৰম শিবসাগর কমাৰ্স কলেজ এবং ডিব্ৰুগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের লেবোরেটরি ইত্যাদি জায়গাতে শুরু হয়েছিল। গত মে' মাস থেকে শ্ৰেণীসমূহ প্ৰতিষ্ঠানটির নিজস্ব ক্যাম্পাসে স্থানন্তরিত করা হয়। মূল ভবন বাদ দিয়ে লেবোরেটরি ধরে বাকি পরিকাঠামো সম্পূৰ্ণ হয়ে উঠে নি। দেবব্ৰত বলেন, উত্তর পূৰ্বাঞ্চল হাইড্ৰোকাৰ্বনের ভাণ্ডার হওয়ায় প্ৰেট্ৰোলিয়াম প্ৰযুক্তিকে সদ্ব্যবহার করা এবং কারিগরি বিশেষজ্ঞ তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে স্থাপন করা হয়। কিন্তু জোড়াতালি দিয়ে প্ৰতিষ্ঠানটিকে চালানো হচ্ছে। প্ৰধানমন্ত্ৰী এই বিষয়টি নিয়ে অবগত করার পর গত ৩১ জুলাই কেন্দ্ৰীয় তেল এবং প্ৰাকৃতিক গ্যাস মন্ত্ৰালয়ের যুগ্ম সচিব মাত্ৰ এক লাইনের জবাবে জানিয়েছে মন্ত্ৰালয় কেন্দ্ৰীয় সরকারের কাছ থেকে আর জি আই পি টি-র জন্য অৰ্থ বরাদ্দের অনুরোধ জানিয়েছে। কবে অৰ্থ বরাদ্দ করা হবে সে সম্পৰ্কে কোনও সময়সীমা নিৰ্ধারণ করা হয় নি বলে মন্তব্য করে বিরোধী দলপতি বলেন, অসম তথা উত্তর পূৰ্বাঞ্চলের প্ৰতি কেন্দ্ৰীয় সরকার কোনও আন্তরিকতা বা দায়বদ্ধতা দেখাচ্ছে না।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.