Header Ads

বনধে, নেশা জাতীয় দ্ৰব্যে নিষেধাজ্ঞা, র‍্যাগিং বন্ধ, ডাইনী প্ৰতিরোধ, নাৰ্সিংহোম, সরকারি ডাক্তার নিয়ন্ত্ৰণ বাস্তবায়ন নয়

বিধানসভায় বিল উত্থাপন হয়, তা আইনে পরিণত হয় না, বাস্তবায়নও হয় না

গুয়াহাটিঃ রাজ্যের বিভিন্ন জ্বলন্ত সমস্যা তুলে ধরে তা সমাধানের লক্ষ্যে বিধানসভায় বিল উত্থাপন করে সরকার ও বিরোধী দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে আইন প্ৰণয়ন করা হয়, সরকার তা কাৰ্যকরী করে। অসম বিধানসভায় এমন অনেক বহু সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, বিল উত্থাপিত হয়েছে কিন্তু আইন প্ৰণয়ন করা হয় নি। যার ফলে উদ্দেশ্যই ব্যৰ্থ হয়েছে। অসম বিধানসভার প্ৰধান সচিব মৃগেন্দ্ৰ কুমার ডেকা আজ এই সম্পৰ্কে বলেন, বিলটি আইনে পরিণত করা পৰ্যন্ত বিধানসভার দায়িত্ব থাকে। বিলটির আইনে পরিণত হওয়ার পর তা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব সরকারের। বহু বিল নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হয়েছে, কিন্তু আইনে পরিণত হয় নি। প্ৰাক্তন মুখ্যমন্ত্ৰী হিতেশ্বর শইকীয়া রাজ্যের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সরকারি চাকরি সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্য জেলাওয়াড়ি জনবিন্যাস অনুযায়ী সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর তৃতীয় ও চতুৰ্থ শ্ৰেণীর চাকরি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে বিধানসভায় বিল উত্থাপন করেছিলেন, তা আইনে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু আইনগত কিছু বাধার ফলে তা আজও কাৰ্যকরি হয় নি। প্ৰাক্তন শিক্ষামন্ত্ৰী থানেশ্বর বোড়ো আজ বিধানসভায় প্ৰধান সচিবের কাৰ্যালয়ে এই সম্পৰ্কে বলেন, তিনিও কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বন্ধ করার জন্য বিধানসভায় বিল উত্থাপন করে আইন করতে চেয়েছিলেন, তা আজও বাস্তবায়িত হয় নি। স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা তামাকজাত নেশা সামগ্ৰীর ওপর নিষেধাজ্ঞ্য আরোপ করে বিল উত্থাপন করেছিলেন, বিধানসভায় তা পাশ ও হয় কিন্তু প্ৰশাসনিক দুৰ্বলতার জন্য সারা রাজ্যে নেশা জাতীয় সামগ্ৰীর রমরমা অবস্থা চলছেই। তামাক, জৰ্দা, গুটখা, মদ ভাং, গাঁজা, হেরোইন প্ৰভৃতি নেশাজাতীয় সামগ্ৰীর ওপর কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সত্বেও রাজ্যের যুব সমাজ এই সব নেশাতেই আসক্ত হয়ে আছে। কেরালা হাইকোৰ্টের পর গৌহাটি হাইকোৰ্ট বনধ, পথ অবরোধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বিধানসভাতেও বনধ, ধৰ্মঘট প্ৰভৃতি আন্দোলনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিল উত্থাপন করা হয়েছিলে তা আজও কাৰ্যকরী হয় নি। রাজ্যে প্ৰতি প্ৰান্তে প্ৰায় প্ৰতি দিনই বনধ চলছে। ডাইনী হত্যা প্ৰতিরোধ করার জন্য বিধানসভায় বিল উত্থাপন করা হয়েছিল তা আজও কাৰ্যকরী হয়নি। বেআইনীভাবে রাজ্যে নাৰ্সিংহোম গড়ে উঠেছে। সরকারি হাসপাতালের কাজে ফাঁকি দিয়ে সরকারি ডাক্তাররা নাৰ্সিংহোমগুলিতে বহু গুণ বেশি টাকা নিয়ে চিকিৎসা করে যাচ্ছে। ডাক্তাররা আজ আর সমাজসেবক হিসাবে বিবেচিত হয় না। বিধানসভায় নাৰ্সিংহোম নিয়ন্ত্ৰণ এবং সরকারি ডাক্তারদের নিয়ন্ত্ৰণ আনার জন্য বিল উত্থাপন করেছিল, কিন্তু কোনও কড়াডোজই কাজ হয়নি। প্ৰাইভেট বিদ্যালয়গুলিতে অস্বাভাবিক হারে টিউশন ফিজ বন্ধ করার জন্য বিধানসভায় বিল উত্থাপন করা হয়। তা আইনের পথে। কিন্তু প্ৰাইভেট বিদ্যালয়গুলিকে নিয়ন্ত্ৰণ করা যায় নি। স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা গত বিধানসভায় জনসংখ্যা নীতি তুলে ধরে দুইয়ের বেশি সন্তানের অভিভাবকদের পঞ্চায়েত নিৰ্বাচনে প্ৰতিদ্বন্দ্বিতা করা, সরকারি চাকরি প্ৰভৃতির ক্ষেত্ৰে নিয়ন্ত্ৰণ আনার জন্য বিল উত্থাপন করেন। তা কবে বাস্তবায়িত হবে, তার কোনও ঠিক নেই। অপরদিকে ‘প্ৰণাম' নামে এক কমিশন গঠন করে যে সব সরকারি কৰ্মচারির তাদের মা-বাবাকে অবজ্ঞা ও অবহেলা করবে তাদের বেতন থেকে ১০-১৫ শতাংশ কেটে নিয়ে মা-বাবার হাতে তুলে দেওয়ার এক গুরুত্বপূৰ্ণ সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করেছিলেন। বিধানসভায় প্ৰশংসিত হয়েছিল। কিন্তু বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পথে। প্ৰকৃতাৰ্থে বিলটি বাস্তবায়িত হবে কি না এই প্ৰশ্ন উঠছে। বিধানসভার প্ৰধান সচিব মৃগেন্দ্ৰ কুমার ডেকা আজ জানান, আগামী ২৪ সেপ্তেম্বর বিধানসভার অধিবেশন শুরু হবে। ৫ অক্টোবর পৰ্যন্ত চলার কথা আছে। সরকারকে চিঠি দিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে সরকার বিধানসভায় কি কি বিল উত্থাপন করবে। বিজনেস এ্যাডভাইসরি কমিটির মিটিংয়ে সময়সূচী চূড়ান্ত করা হবে। আজ বিধানসভার এক সূত্ৰ জানান, বিজেপি বিধায়িকা আঙুরলতা ডেকা বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সন্তানকে স্তন্য পানের জন্য পৃথক কক্ষের দাবি জানিয়েছিলেন তা মঞ্জুর হয়েছে। বিধানসভা কৰ্তৃপক্ষ পৃথক কক্ষ তৈরি করে দেবেন বলে জানা গেছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.