Header Ads

লক্ষ ভুলে ভরা এন আর সি

সীমান্ত সীল হল না, ভূমিপুত্ৰের সংজ্ঞা নির্ণয় হল না, এন আর সিতে নাম না থাকা লোক বিধানসভায়, লোকসভায় ভোটও দিল


অমল গুপ্তঃ গুয়াহাটি 

রাজধানী দিল্লীসহ পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং দেশের অন্যান্য রাজ্যেগুলিতে আড়াই-তিন কোটি ‘বাংলাদেশী' মানুষ বে-আইনীভাবে বসবাস করছে বলে সংসদে বহুবার উদ্বেগ প্ৰকাশ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশী বিতাড়ণের ক্ষেত্ৰে কোনও সরকারই ফলপ্ৰসূ কাৰ্য্যক্ষম কোনও ব্যবস্থা গ্ৰহণ করতে পারে নি। সারা দেশের মধ্যে বাংলাদেশী সমস্যায় জৰ্জরিত রাজ্য হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের পরেই অসমের স্থান। কেন্দ্ৰে বিজেপি সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর অসমেও বিজেপি সরকার আসে। তার পর জাতীয় নাগরিকপঞ্জী রূপায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশী সমস্যা চিরতরে সমাধানের লক্ষ্যে কাজ শুরু করে। তবে এন আর সি রূপায়নে প্ৰথম মুখ্যমন্ত্ৰী তরুণ গগৈ নেতৃত্বাধীন কংগ্ৰেস সরকার ২০০৯ সালের এপ্ৰিল মাসে কেন্দ্ৰ, রাজ্য এবং আসু নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ত্ৰিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হয়ে এন আর সি রূপায়নের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করেছিল। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০১০ সালের ২১ জুলাই নিম্ন অসমের বরপেটা এবং কামরূপ গ্ৰাম্য জেলার ছয়গাঁওয়ে দুটি রাজস্ব গ্ৰাম বেছে নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এন আর সির পাইলট প্ৰোজেক্টের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই পরীক্ষাকে কেন্দ্ৰ করে আসু, আমসু এবং অন্যান্য সংগঠনের দাবি আপত্তিকে ঘিরে তীব্ৰ সংঘৰ্ষের সূত্ৰপাত হয়। তার ফলে  পুলিশের গুলিতে ৪জন নিহত হয় এবং বহু কয়েকজন আহত হয়। সেই অপ্ৰীতিকর পরিস্থিতির পর এন আর সির কাজ স্থগিত হয়ে যায়। আবার প্ৰাথমিক কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালে। কেন্দ্ৰে বিজেপি সরকারের আগ্ৰহে সেই কাজ গতি পায় অসমে। সৰ্বানন্দ সনোয়াল নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতাসীন হয়েই এবং দিশপুরের মসনদে বসার প্ৰথম দিনই জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর কাৰ্যালয়ে গিয়ে এন আর সির কাজ কৰ্ম পৰ্যালোচনা করেন। ১৯৮৫ সালে অসম চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল, সেই চুক্তির অন্যতম শৰ্ত ছিল অসম বাংলাদেশ ২৬৩ কিঃমিঃ জল ও স্থল সীমান্ত সীল করতে হবে। খিলঞ্জীয়া-ভূমিপুত্ৰের প্ৰকৃত সংজ্ঞা নিৰ্ণয় করতে হবে। সেই সংজ্ঞা মেনে অসমীয়া খিলঞ্জীয়া-ভূমিপুত্ৰদের ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, রাজনৈতিক অধিকার এবং রাজ্যের ভূমির ওপর অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে। আজ প্ৰায় ৩৩ বছর অতিক্ৰান্ত, আজ পৰ্যন্ত সীমান্ত সীল হল না, ১৯ লক্ষাধিক জনসংখ্যা সংখ্যালঘু অধু্যষিত ধুবড়ি জেলায় ১৩৪ কিঃমি জল ও স্থল সীমান্ত উন্মোক্ত হয়ে পড়ে আছে। তার মধ্য ৪১ কিঃমি জল সীমান্ত ব্যবহার করে বাংলাদেশের কুড়িগ্ৰাম জেলায় প্ৰায় প্ৰতি দিনই গরু পাচার হচ্ছে। অনুপ্ৰবেশকারি, চোরা কারবারি, জাল টাকা, বেআইনী অস্ত্ৰ শস্ত্ৰ প্ৰভৃতি অবাধ গতি পথ এই জল পথ। অপরদিকে বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ-বাংলাদেশ সীমান্তবৰ্তী সূতারকান্দি হয়ে মেঘালয়, নাগাল্যাণ্ডের শয়ে শয়ে ট্ৰাক কয়লা চোরা পাচার হচ্ছে। অবৈধ অনুপ্ৰবেশ তো চলছেই। তাই অসম বাংলাদেশ সীমান্তের ১৬৩ কিঃমি সীল না করে এন আর সির কাজ শুরু হয়েছে। তাই কে বাংলাদেশী, কে ভারতীয় সব একাকার।

অপরদিকে প্ৰকৃত ভূমিপুত্ৰ খিলঞ্জীয়ার সংজ্ঞা নিৰ্ণয় হয় নি। তাই এন আর সির তালিকা প্ৰস্তুতের সময় কারা খিলঞ্জীয়া বা ভূমিপুত্ৰ কে বিদেশী, কে বাংলাদেশী সব কিছুই তালগোল পাকিয়ে গেছে। গতকাল ১০ আগষ্ট থেকে খসড়া ছুটদের কারণ জানার প্ৰক্ৰিয়া শুরু হয়েছে চলবে ২৮ সেপ্তেম্বর পৰ্যন্ত। আগামী ৩০ আগষ্ট থেকে দাবি আপত্তির প্ৰক্ৰিয়া শুরু হবে। নাগরিকপঞ্জীর তালিকায় নাম অন্তভূক্তির জন্য ২ লক্ষ ৪৮ হাজার ‘ডি' ভোটার এবং তাদের সন্তান সন্তুতিরা আবেদনই করতে পারবে না। তাদের নামের পাশে ‘হোল্ড' লিখে রাখা হবে, ১ লক্ষ ৩৫ হাজর মামলা চলছে ট্ৰাইব্যুনালগুলিতে। এই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পৰ্যন্ত তাদের সন্তান সন্তুতির নামও ‘হোল্ড' করে রাখা হবে। ‘ডিসপিউটেড/ডাউটফুল অৰ্থাৎ ‘ডি' ভোটার এবং বিদেশী শনাক্তকরণ ট্ৰাইব্যুনালে রাজ্যের ভাষিক এবং ধৰ্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মানুষকেই সন্দেহর চোখে দেখে বছরের পর বছর ধরে প্ৰশাসনিক নিৰ্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। এই হতভাগ্য সংখ্যালঘু মানুষগুলির মধ্যে প্ৰায় ১ হাজারকে  তথাকথিত ডিটেনশন ক্যাম্পের অন্ধকূপে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৭ সালে তদানীন্তন দেশের মুখ্য নিৰ্বাচন কমিশনার টি এন সেশনের নিৰ্দেশক্ৰমে রাজ্যে ভোটার তালিকা পুঙ্খাণুপুঙ্খভাবে ভেরিফিকেশনের কাজ হয়েছিল। ভোটার তালিকায় বাংলাদেশীতে ভরে গেছে বলে দাবি তুলে আসু, অগপ এবং অন্যান্য জাতীয়তাবাদি দলগুলি আন্দোলনের হুমকি দেয়। নিৰ্বাচনকমিশনারের নিৰ্দেশ মেনে নিৰ্বাচনী কৰ্মীরা তড়িঘড়ি করে সংখ্যালঘু মানুষের পদবীর পাশে রুল দিলে যথেচ্ছাচারভাবে ‘ডি' লিখে দেন। তখন থেকেই রাজ্যের ‘ডি' ভোটাররা সাংবিধানিক পদত্ত মৌলিক অধিকার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে। আজ তার সংখ্যা ২ লক্ষ ৪৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। পরিবারের একজন ‘ডি' ভোটার হলেও পরিবারের সন্তান সন্তুতিদেরও ‘ডি' ভোটার বানিয়ে দেওয়া হল। অদ্ভ²ত বেআইনী নিয়ম ! রাজ্যে ৪০ লক্ষ ৭ হাজার ৭০৭ জনের নাম এন আর সি তালিকায় নেই। তাদের মধ্যে এক বৃহৎ সংখ্যক সংখ্যালঘু বাঙালিদের নাম বাদ পড়েছে। অসমের প্ৰকৃত খিলঞ্জীয়া উপজাতি লক্ষ লক্ষ মানুষের নামও বাদ পড়েছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মাৰ্চ'কে ভিত্তি বৰ্ষ করে নাগকিপঞ্জী নবায়নের কাজ চলছে। তার পরে ২০১৪ সালের লোকসভা নিৰ্বাচন এবং ২০১৬ সালের বিধানসভা নিৰ্বাচনে বাদ পরা মানুষগুলি ভোট দিয়ে বিধায়ক এবং সাংসদ নিৰ্বাচন করলেন। ১৪ জন সাংসদ এবং ১২৬জন বিধায়ক। সাংসদ, বিধায়কদের কিন্তু অবৈধ ঘোষণা করা হল না। মুখ রক্ষার জন্য দেশের মুখ্য নিৰ্বাচন কমিশনার বলেছেন, এন আর সিতে নাম না থাকলেও ভোট দানের অধিকার থাকবে। কিন্তু তার এই প্ৰতিশ্ৰুতি রক্ষা করে হবে কি না, যথেষ্ট সন্দেহ আছে। বরাক উপত্যকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘অসম ইণ্ডিজেনিয়াস পিপল প্ৰোটেকশন কমিটি' অভিযোগ করেছে, বরাক উপত্যকায় ১৯৫১ সালের নাগরিকপঞ্জীর কোনও প্ৰতিলিপি নেই। এই পরিস্থিতি সারা রাজ্যেই বরাকের ভূমিপুত্ৰ ডিমাসা, মণিপুরি, কাছারি প্ৰভৃতি আদি বাসিন্দাদের নাম নেই। বরাকে এন আর সি রূপায়ন নিয়ে তীব্ৰ প্ৰতিক্ৰিয়ার সৃষ্টি হয়। বরাককে পৃথক কেন্দ্ৰীয় শাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করার দাবিতে পুরণো আন্দোলন মাথা চাড়া দেয়। প্ৰায় ৪০ লক্ষ মানুষের বরাক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে অসমের অস্তিত্বই প্ৰায় বিপন্ন হয়ে পড়বে। সে দিকে লক্ষ্য রেখেই হয়তো বরাক উপত্যকার ৩ জেলায় মাত্ৰ ৫ লক্ষ মানুেষর নাম এন আর সি তালিকা থেকে বাদ দিয়ে বরাক বাসীকে খুশি করা  হয়েছে বলেই বরাকের একাংশ রাজনৈতিক মহলের অভিমত। নিম্ন অসমের অবিভক্ত গোয়ালপাড়া এবং বরাক উপত্যকা অবিভক্ত ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল। কোনও দিন বিভাজিত হয় নি। তাই তাদের ভূমিপুত্ৰ বা খিলঞ্জীয়া হিসাবে স্বীকৃতি জানাতেই হবে। তার পরেও এন আর সি থেকে ৫ লক্ষ মানুষের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। যার অধিকাংশ মহিলা, বংশ তালিকা ভুল থাকার জন্য বাদ পড়েছে হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই এন আর সি তালিকা থেকে ৪৮ লক্ষ ৪৫৬ জন বিবাহিত মহিলার দাখিল করা পঞ্চায়েত সচিবদের সাৰ্টিফিকেটের এক বৃহৎ অংশ গ্ৰহণ করা হয় নি। অথচ খসড়ার প্ৰথম তালিকায় এই সব মহিলার নাম ছিল।

এন আর সি কৰ্তৃপক্ষ প্ৰথম খসড়া তালিকা ‘নিঁখুত ১০০ শতাংশ শুদ্ধ বলে প্ৰচার করা'  সেই তালিকা থেকেই প্ৰায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষের নাম বাদ দিয়েছে। এর কারণ জানানোর প্ৰয়োজনবোধ করে নি এন আর সি কৰ্তৃপক্ষ। রাজ্যের প্ৰায় ৫৫ হাজার কৰ্মচারি তার মধ্যে বৃহৎ অংশ চুক্তিভিক্তিক সময় মতো বেতনও পান নি। তাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল স্পৰ্শকাতর নাগরিকত্বের তালিকা তৈরী করার দায়িত্ব। অসমে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহের প্ৰতিশ্ৰুতি দিয়েছিল সরকার। রাজ্যে ২৫ হাজার জাতীয় নাগরিক সেবা কেন্দ্ৰে ডাটা এণ্ট্ৰি করার কম্পিউটারগুলো অচল ছিল। সেই সময় ডাটা এণ্ট্ৰি কি করে সম্ভব হলো? এমন দাবিও উঠেছে। বাংলাদেশ সীমান্তবৰ্তী জেলাগুলিতে এন আর সি তালিকায় বাদ পরা মানুষের সংখ্যা কম। এই ধরণের অজস্ৰ প্ৰশ্ন উঠেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্ৰে সন্তান সন্তুতিদের নাম কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে, অভিভাবকদের নাম যথারীতি আছে। দেশের সাংবিধানিক পদ রেজিষ্টার জেনারেল অফ ইণ্ডিয়ার প্ৰধান শৈলেশ এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর সমন্বয়ক প্ৰতীক হাজেলা সাংবিধানিক নিয়ম নীতি মেনে জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর নবায়নের কাজ করছেন। তাদেরকে ভৎৰ্সনা করলেন এবং জেলে পুড়ে দেওয়ার ধমক দিলেন দেশের সৰ্বোচ্চ আদালত সুপ্ৰীমকোৰ্ট। সুপ্ৰীমকোৰ্টের অভিযোগ এন আর সির মডেলিটি সম্পৰ্কে কেন সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন তারা। দেশের সৰ্বোচ্চ নেতা বিজেপির সৰ্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সংসদের ‘অন রেকৰ্ড' বললেন, অসমে ৪০ লক্ষ ‘ঘুষপেটিয়া' অৰ্থাৎ অনুপ্ৰবেশকারি।  বিজেপি সৰ্বভারতীয় নেতা অমিত শাহ শনিবার কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গেও এন আর সি করার অঙ্গিকার করেছেন। তিনি যাদেরকে ঘুষপেটিয়া বললেন, তাদের প্ৰায় ৬০-৭০ শতাংশ বাঙালি হিন্দু-মুসলিম ভারতীয় নাগরিক। গত ২০১৪ লোকসভা নিৰ্বাচন এবং ২০১৬ অসম বিধানসভা নিৰ্বাচনে দুহাত ভরে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। আজ তাদের রাতারাতি বিদেশী বানিয়ে দেওয়া হল। জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত খসড়া তালিকা ৩০ জুলাই প্ৰকাশিত হয়েছে। তার পর থেকেই উত্তর পূৰ্বাঞ্চল তথা দেশে বিদেশে তীব্ৰ প্ৰতিক্ৰিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কে বিদেশী কে বিদেশী নয় তা এখনও সরকারিভাবে প্ৰমাণিত হয় নি। তার পরেও মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যাণ্ডে এন আর সির তালিকায় নাম নাথাকলেসেই রাজ্যেগুলিতে অসমের মানুষকে প্ৰবেশ করতে দিচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গের মতো দিল্লী বিধানসভাতেও সেই রাজ্যেও এন আর সির চালু করার দাবি জানানো হয়েছে। এন আর সিকে কেন্দ্ৰ করে অসমে যে ধরণের পরিস্থিতি সৃষ্টি হেচ্ছ তাতে জাতীয় সংকট অবধারিত। এন আর সি তালিকায় নাম অন্তভূক্ত না হওয়ায় হতাশগ্ৰস্থ অবসাদে ভূগে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়া আতঙ্কগ্ৰস্থ লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে এন আর সি কৰ্তৃপক্ষ কোনও আশা দেখাতে পারছে না। দাবি আপত্তির বেড়াজালে আটকা পড়েছে প্ৰায় ৪০ লক্ষ মানুষ।

আশার কথা মোবাইলে প্ৰচারিত কেন্দ্ৰীয় সরকারের এক আশার বাণী– তাতে বলা হয়েছে ২০১৫ সালের এক জোড়া নোটিফিকেশন ইস্যু করা হয়েছিল, আফগানিস্থান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে ধৰ্মীয়ভাবে নিৰ্যাতিত হয়ে হিন্দু ধৰ্মাবলম্বী, জৈন, খ্ৰীষ্টান, বৌদ্ধ প্ৰমুখ পাঁচ জনগোষ্ঠীর মানুষ ভারতে ভিসা বা অন্যান্য নথিপত্ৰ না থাকলেও থাকতে দেওয়া হবে। তার সময়সীমা নিৰ্ধারণ করা হয়েছে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পৰ্যন্ত। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬ পাশ নাহওয়া পৰ্যন্ত এই জোড়া নোটিফিকেশন অক্ষুন্ন থাকবে এমন দাবিও করা হয়েছে। অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী নিয়ে দেশ জুড়ে নানা অপপ্ৰচার চলছে। সাম্প্ৰাদায়িক সম্প্ৰীতিকে বিষিয়ে তোলার চক্ৰান্ত চলছে। কোনও রাজনৈতিক দল যদি এই পরিস্থিতিকে সাম্প্ৰদায়িক বিভাজনের রাজনৈতিক অস্ত্ৰ হিসাবে গণ্য করে তবে তার মাসুল দিতে হতে পারে শাসক দলকে, ফল ভূগতে হবে লক্ষ লক্ষ নিরীহ মানুষকে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.