Header Ads

রেলের প্ৰতিটি কামরায় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা,চোর-ডাকাতদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবেঃ ডিজিপি



এ্যনাস্থেসিয়া প্ৰয়োগ করে অচেতন করে হত্যা, মৃতদেহকে বলাৎকার করা এই বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দুই খুনির 
গুয়াহাটিঃ সাধারণত সকালের দিকে যাত্ৰীবাহী ট্ৰেনে প্ৰতিবন্ধীদের কামরাগুলোকে তারা বেছে নিত। গত মঙ্গলবার এবং বুধবার যথাক্ৰমে ডিব্ৰুগড়-রঙিয়া এবং অবোধ-আসাম ট্ৰেনকে বেছে নিয়ে লোমহৰ্ষক হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল বিকাশ দাস এবং বিপিন পাণ্ডে।ট্ৰেনে কোনও নিরাপত্তাবাহিনী না থাকার সুযোগ গ্ৰহণ করে তারা একই পদ্ধতিতে একাধিক হত্যাকাণ্ডে জড়িয়েছে এই দুই মানসিক বিকারগ্ৰস্থ খুনি, এর আগে জেলফেরৎ কনক গগৈকে সঙ্গে নিয়ে গতবছরে ২৮ আগষ্ট বাণিপুর ষ্টেশনে সেই একই প্ৰতিবন্ধী কামরায় কনক গগৈর পত্নীকেই নৃশংসভাবে হত্যা করে তারা। রাজ্য পুলিশ প্ৰধান কুলধর শইকীয়া এই হত্যাকাণ্ড সম্পৰ্কে বলেছেন, একই পদ্ধতিতে একাধিক হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িয়েছে ওই খুনিরা। ডিজিপি বলেন, রেলের প্ৰতিটি কামরায় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা এবং চোর-ডাকাতদের বিরnদ্ধে অভিযান চালানো হবে। শিবসাগর পুলিশের জেরার জবাবে, বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি দিয়েছে বিকাশ দাস। সে জানায়, মেধাবী ছাত্ৰী রাধাকুমারী এবং ডিব্ৰুগড়ের লালিমা সিংহ এই যুবতী এবং মহিলাকে প্ৰথমে এ্যানেস্থেসিয়ার মাধ্যমে তাদের দুইজনকে অচেতন করে, গলায় গামোছার ফাঁস দিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে কামরার শৌচালয়ে টেনে নিয়ে গিয়ে নিৰ্মমভাবে হত্যা করার পর তাদেরকে ধৰ্ষণ করা হয়। ট্ৰেনের ফেরিওয়ালা বেশে তারা রেলের সুরক্ষা বাহিনী না থাকায় প্ৰতিবন্ধীদের কামরাগুলো তারা বেছে নেয়। আগে থেকে লক্ষ্য করে কোনও মহিলা সেই কামরাগুলিতে চাপছে কি না। বিকাশ দাস আরেক এক খুনি বিপিন পাণ্ডের কথা উল্লেখ করে। পাণ্ডে বাঁচার জন্য ডিমাপুরে পালিয়েছিল। শিবসাগর পুলিশ জানিয়েছে, বিকাশ এবং বিপিন তিনসুকিয়ায় এক সঙ্গেই থাকতো। ষ্টেশনে তারা বিভিন্ন সামগ্ৰী ফেরি করতো। পুলিশ জানিয়েছে, রেল ষ্টেশনের সিসিটিভি দেখে তারা খুনিদের শনাক্ত করে। কলকাতার স্কেচ শিল্পী দেবাশিষ বেনাৰ্জির আঁকা স্কেচের সঙ্গে খুনিদের সাদৃশ্য আছে হুবহু। অসমের প্ৰায় ২০০ বেশি ষ্টেশনে সিসিটিভি আছে মাত্ৰ ১২ টি। রাজ্যের প্ৰতিটি ষ্টেশনে সিসিটিভি বসানোর জন্য রেলওয়ে প্ৰতিমন্ত্ৰী রাজেন গোহাঁই নিৰ্দেশ দিয়েছেন। তাঁর আরও নিৰ্দেশ প্ৰতিটি রেলের কামরায় ৪-৫ জন করে সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানকে মোতায়েন করতে হবে। কিন্তু উত্তর পূৰ্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখপাত্ৰ জানিয়েছেন, দিনের বেলায় সাধারণ কোনও ট্ৰেনে সুরক্ষা বাহিনী থাকেনা। এই লোমহৰ্ষক জোড়া হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্ৰ করে রাজ্যে রেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্ৰশ্ন উঠেছে। বিকাশ দাস এবং বিপিন পাণ্ডেকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। বৰ্তমানে তারা শিবসাগর সদর থানা লকআপে। আগামী কাল আদালতে হাজির করানো হবে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.