Header Ads

ট্ৰেনে লোমহৰ্ষক দুই হত্যাকাণ্ডের কিনারায় স্কেচ আঁকলেন শিল্পী দেবাশীষ বেনাৰ্জী

আততায়ির স্কেচ

গুয়াহাটিঃ গত মঙ্গলবার এবং বুধবার ডিব্ৰুগড়-রঙিয়া যাত্ৰীবাহী ট্ৰেনে ২৪ ঘ°টা ব্যবধানে দুই মহিলার নৃশংস হত্যাকাণ্ডে রেলওয়ে বিভাগের নিরাপত্তা নিয়েই প্ৰশ্ন উঠেছে। দুই দিনই নিহত দুই যাত্ৰী প্ৰতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত কামরায় চেপে ছিলেন। মঙ্গলবার শিবসাগর থেকে চেপেছিলেন অসম কৃষি বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্ৰী রাধা কুমারী মঙ্গলবার সকালে শিমুলগুড়ি ষ্টেশনে ওই কামরার শৌচাগার থেকে রাধা কুমারীর মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার মরিয়ানি ষ্টেশন থেকে উদ্ধার করা হয় লালিমা দেবী সিংহের মৃত দেহ। মধ্য বয়সী মহিলা অৰ্ধ উলঙ্গ মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। উত্তর পূৰ্ব সীমান্ত রেলওয়ের এক মুখপাত্ৰ জানিয়েছেন, রেলে দিনের বেলায় কোনোও নিরাপত্তা বাহিনী থাকে না। এই ঘটনায় রেল কত্তৃপক্ষ উচ্চ পৰ্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পুলিশ প্ৰধান কুলধর শইকিয়া জানিয়েছেন, এই লোমহৰ্ষক ঘটনায় স্পেশাল ইনভেষ্টিগেশন টিম (সিট) গঠন করা হয়েছে। এই ঘটনায় কনক গগৈ নামে এক ব্যক্তি ছাড়াও অপর একজনকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। কনক গগৈ মানসিক রোগী এবং সিরিয়ালকিলার বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সে তার পত্নীকে হত্যা করে ডিব্ৰুগড় জেলে ছিল। সম্প্ৰতি ছাড়া পেয়েছে। কলকাতা পুলিশের থেকে এক স্কেচ শিল্পীকে আনা হয়েছে। রাধাকুমারীর মা তারাদেবীর কাছে বৰ্ণনা শুনে ওই স্কেচ শিল্পী দেবাশীষ বেনাৰ্জী আজ এক স্কেচ এঁকে বলেছেন, মধ্য বয়সী এক ব্যক্তি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে থাকতে পারে। পত্নীকে হত্যা করা ব্যক্তি কনক গগৈ মধ্য বয়সী সেও, ট্ৰেনের মধ্যেই পত্নীকে হত্যা করেছিল বলে পুলিশের সন্দেহ। পুলিশ সূত্ৰে প্ৰকাশ দুদিনের ঘটনায় প্ৰতিবন্ধীদের কামরায় মাত্ৰ একজন করে যাত্ৰী ছিল। সেই সুযোগেই রাধা কুমারী এবং লালিমা দেবী সিংকে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.