Header Ads

একশো বছর পুরোনো লামডিং-শিলচর মিটারগেজ রেলপথকে হেরিটেজ হিসেবে রেখে দেওয়ার রেলের প্রতিশ্রুতি এবার হিমঘরেঃ



বিপ্লব দেব হাফলংঃ একশো বছর পুরোনো লামডিং-শিলচর মিটারগেজ রেলপথ এখন ইতিহাসের পাতায় চলে গেছে। বৃটিশের তৈরী এই প্রাচীন রেলপথকে হেরিটেজ প্রকল্প হিসেবে রেখে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের পক্ষ থেকে দেওয়া হলে ও হেরিটেজ প্রকল্প সম্পূর্ণ হিমঘরে চলে যায়। ধীরে ধীরে নিলাম করে দেওয়া হয় বরাইল পাহাড়ের বুক চিরে আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে যাওয়া ওই প্রচীন মিটারগেজ রেলপথের রেলসেতু রেললাইন সহ মিটারগেজ ট্রেনের কামরা ও ইঞ্জিন গুলি। ঐতিহ্যবাহী ওই মিটারগেজ রেলপথকে হেরিটেজ হিসেবে রাখার দাবিতে পাহাড়ি জেলার বিভিন্ন দল সংগঠন ব্যাপক দাবি জানিয়ে আসার পর ও এনিয়ে রেলমন্ত্রক কোনও উদ্যোগ নেয়নি। কিন্তু লামডিং-শিলচর মিটারগেজ রেলপথে ৩৭ টি সুরঙ্গ ও ধনুক সেতু দিয়ুং সেতু  পর্যটকদের কাছে আকর্ষনের কেন্দ্র বিন্দু ছিল। এক সময় মিটারগেজ রেল পথ ধরে পাহাড়ের এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতেন দেশ বিদেশের পর্যটকরা। তাই দাবি উঠেছিল অসমের এই অন্যতম পাহাড়ি জেলার পর্যটনের উন্নয়নে একশো বছর পুরোনো ওই মিটারগেজ রেলপথটিকে সংরক্ষিত করে হেরিটেজ হিসেবে রেখে দেওয়া হোক। কিন্তু রেল বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ধরনের উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। যার ফলে পরিত্যাক্ত হয়ে পড়েছে মিটার গেজের অনেক রেলস্টেশন যে স্টেশন গুলি এক সময় ব্যস্ত ছিল।  সেখানে এখন শোনা যায় না ট্রেনের ঝিক ঝিক শব্দ। একশো বছর পুরোনো মিটারগেজ রেলপথ বন্ধ হয়ে পড়ার জেরে মাহুর থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত অংশে প্রায় একশো গ্রামের মানুষ শৈল শহর হাফলঙের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। ওই গ্রাম গুলির ৯৫ শতাংশ মানুষই জুমচাষের উপর নির্ভরশীল আর মিটারগেজ রেলপথ বন্ধ হয়ে পড়ার দরুন ওই গ্রাম গুলির মানুষ ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন মাহুর থেকে হারাঙ্গাজাও পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার অংশকে হেরিটেজ রেলপথ হিসেবে রেখে দিলে ওই একশো গ্রামের মানুষ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে যেত কিন্তু এসব গ্রামের বাসিন্দারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার দরুন গ্রামের বাসিন্দারা জুমচাষ করে উৎপাদিত সামগ্রী বাজারজাত করতে পাড়ছেনা এতে রোজগার বন্ধ হয়ে পড়ে অনেকের। তাই এই ঐতিহ্যবাহী একশো বছর পুরোনো এই মিটারগেজ রেলপথকে সংরক্ষণ করে রেখে দিয়ে পাহাড়ি জেলার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার দাবি পাহাড়ি জেলার বিভিন্ন দল সংগঠনের। কিন্তু পাহাড়ের এই পুরোনো ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে রেলমন্ত্রক সম্পূর্ণ উদাসীন বলে পাহাড় বাসীর অভিযোগ। তবে রাজ্য সরকারের অনীহা ও এ ক্ষেত্রে কিছুটা দায়ী ওই ঐতিহ্যবাহী মিটারগেজ রেলপথটিকে সংরক্ষিত হেরিটেজ রেলপথ হিসেবে রেখে দিলে অসমের পর্যটন শিল্প যেমন চাঙ্গা হয়ে উঠত ঠিক রাজ্যের একমাত্র হিল স্টেশন পর্যটনের ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পাহাড়ি জেলার অর্থনৈতিক দিকটি ও উন্নত হত এমনটাই মনে করেন পাহাড়ি জেলার সচেতন মহল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.