এন আর চি-র প্রাকমুহূর্তে বিভাজনের চক্রান্তের বিরুদ্ধে গুয়াহাটিতে রাজ্য ভিত্তিতে নাগরিকত্ব এবং গণতন্ত্র আলোচনাচক্র
গুয়াহাটিঃ আজ গুয়াহাটির বিষ্ণু-নির্মলা ভবনে ফোরাম ফর সোসিয়েল হারমনি, দেশপ্রেম, বসুন্ধরা ফর দ্য নিউ ডেজ নামের সামাজিক সংগঠন কটির উদ্যোগে ‘নাগরিকত্ব এবং গণতন্ত্র’ শীর্ষক এক দিনজোড়া মনোজ্ঞ আলোচনাচক্র অনুষ্ঠিত হয়। ব্রহ্মপুত্র এবং বরাক দুটি উপত্যকার হিন্দু-মুসলিম, অসমিয়া-বাঙালি , নির্বিশেষে দুইশতাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি তথা অনুষ্ঠান সংগঠনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন সেখানে। আলোচনাচক্রে মূলত: এন আর সি এবং নাগরিকত্ব বিধেয়ক সম্পর্কে এই আলোচনাতে অংশ নেন বিশিষ্ট অধিবক্তা হাফিজ রশিদ আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক জগদীশ গোস্বামী, অধ্যাপক ড০ আব্দুল মান্নান , অধিবক্তা শান্তনু বরঠাকুর ,অধ্যাপক সুশান্ত কর, সাহিত্য অকাদেমি বিজয়িনী ড০ অরূপা পটঙ্গিয়া কলিতা, অধিবক্তা অলিউল্লাহ লস্কর , অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, অধ্যক্ষ ঘনশ্যাম নাথ, অধ্যাপক ঋতুরাজ কলিতা, অধিবক্তা শিশির দে’, শ্রমিক নেতা অরূপ কুমার মোহন্ত, অধ্যাপক ড০ অখিল রঞ্জন দত্ত, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রণেন কুমার গোস্বামী, সাংস্কৃতিক কর্মী বিশ্বজিৎ দাস, লেখক অরূপ বৈশ্য, হরেশ্বর বর্মণ, উমেশ কলিতা, কৃষ্ণ গগৈ, রফিক আহমেদ, প্রমুখ। দেবব্রত শর্মা, মানস দাস, শান্তি রঞ্জন মিত্রের যৌথ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা কৰেন দেবজিৎ চৌধুরী। সান্ত্বনা শর্মা, ডাঃ আবু তাহের এবং কোরাসের শিল্পীদের পরিবেশিত গণসংগীত অনুষ্ঠানের সৌষ্ঠব বৃদ্ধি করে ।আলোচনাসভার শেষে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত প্রস্তাবে দাবি জানানো হয়, একটি শুদ্ধ এন আর সি বিদেশী বিহীনভাবে প্রস্তুত করার সঙ্গে সঙ্গে তাতে যেন কোনও দেশী নাগরিকের নাম বাদ পড়ে না , কোনও সংখ্যালঘু মানুষের নির্যাতিত না হওয়াটা নিশ্চিত করা হয়; সংবিধান বিরোধী , ধর্মীয় বিভাজনকারী নাগরিকত্ব বিধেয়ক ২০১৬র বাতিল করা হয়, বিচারের আগেই সংখ্যালঘু মানুষের একাংশকে ডিটেনশন ক্যাম্পে অমানবীয়ভাবে রাখা বন্ধ করা হয়, পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্যে বাদ পড়বেন এমন বৈধ নাগরিকদের উপর রাষ্ট্র তথা পুলিশের অত্যাচার যেন না নেমে আসে ।
কোন মন্তব্য নেই