Header Ads

আর এস এস-এর মদতপুষ্ট বাংলাদেশীরা বরাককে বাংলাদেশের আবাসভূমি করতে চাইছেঃ খিলঞ্জিয়া মঞ্চ, অসম

 গুয়াহাটিঃ বরাক উপত্যকার ৩ জেলা অবিভক্ত ভারতের অংশ। বরাকের হিন্দু-মুসলিম প্ৰায় ৪০ লক্ষ মানুষ সুদীৰ্ঘকাল পাশাপাশি সদ্ভাবের সঙ্গে বসবাস করছেন। বরাকের মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সমৰ্থন ও বিরোধিতার প্ৰেশ্ন এক কায়েমি স্বাৰ্থন্বেষী শক্তি বরাকের অস্তিত্ব বিপন্ন করে সাম্প্ৰদায়িক বিভাজনের ষড়যন্ত্ৰ করছে। সেই ষড়যন্ত্ৰ প্ৰতিহত করার জন্য বরাকের মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্ৰাম করছে তখন ‘খিলঞ্জিয়া মঞ্চ, অসম' নামে এক সংগঠন আজ দিশপুর প্ৰেস ক্লাবে সাংবাদিক সন্মেলন ডেকে অভিযোগ করে বরাক উপত্যকার প্ৰায় ৫০ শতাংশ মানুষ বাংলাদেশী, সেই বাংলাদেশীরা আর এস এস ও সংঘ পরিবারের সাহায্য নিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সমৰ্থন করছে।  বরাকের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল অসম বিরোধী বিলকে সংশোধন করছে। বরাক উপত্যকার কংগ্ৰেস নেতা গৌতম রায়, বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বাংলাদেশীদের সাহায্য নিয়ে রাজনীতি করছেন। বিজেপির প্ৰাক্তন বিধায়ক মিশন রঞ্জন দাস বাংলামূলের বিধায়ক ছিলেন, বৰ্তমান কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বাংলামূলের বিধায়ক। ‘খিলঞ্জিয়া মঞ্চ, অসম'-এর অভিযোগ বরাক উপত্যকার বাংলাদেশীরা ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকার বিদ্ধে নানা অভিযোগ করে থাকে। কিন্তু প্ৰকৃতাৰ্থে এই দুই উপত্যকার মধ্যে বিভাজনের কথা বলে ভুল বুঝাবুঝির চেষ্টা করা হয়। আর এস এস-এর মদতপুষ্ট বাংলাদেশীরা বরাককে ত্ৰিপুরার মতো বাংলাদেশীদের আবাসভূমিতে পরিণত করতে চাইছে। তাদের অভিযোগ যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে বরাকের প্ৰায় ৩০০ সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মারক পত্ৰ দেওয়া হয়। প্ৰায় ৭৫ শতাংশ ভূয়ো সংগঠন, যারা সংশোধনী বিলকে সমৰ্থন করেছে। বরাক উপত্যকায় খিলঞ্জিয়াদের কোনও গুত্ব নেই, নানা অসুবিধার সন্মুখীন হতে হয়। সালফা নেতা মৃণাল হাজরিকা, সাহাদুল আলম চৌধুরী প্ৰমুখ সাংবাদিক সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, নাগরিকত্ব বিল বিরোধী মঞ্চ হিসাবে তারা কাজ করবে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সফর করে বিলের বিদ্ধে প্ৰচারাভিযান চালাবে।
কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের প্ৰতিক্ৰিয়া
বিধায়ক দে পুরকায়স্থ বলেন, বরাক উপত্যকায় কোনও বাংলাদেশী নেই, অবিভক্ত ভারতের অংশ বরাক উপত্যকা। বরাকে হিন্দু-মুসলিম মানুষ সুদীৰ্ঘকাল ধরে পাশাপাশি বসবাস করছে কোনও বিরোধ নেই। ধৰ্মের ভিত্তিতে তৈরি কোনও বিলকে তারা সমৰ্থন করবেনা, তবে বৰ্তমানে বরাকের মানুষ যারা সাল পৰ্যন্ত বসবাস করছে তাদের সবাইকে এ রাজ্যে থাকার অধিকার দিতে হবে। সে দাবি জানিয়ে কংগ্ৰেস ইতিমধ্যে কেন্দ্ৰীয় স্বরাষ্ট্ৰমন্ত্ৰীর কাছে স্মারক পত্ৰ পাঠিয়েছে। এই দাবিতে তারা অটল। তাদের মধ্যে কোনও বিভাজন নেই, কায়েমি স্বাৰ্থান্বেষী চক্ৰ ষড়যন্ত্ৰ করে বরাকের হিন্দু-মুসলিম মানুষের মধ্যে সাম্প্ৰদায়িক সম্প্ৰীতি বিঘ্ন করতে চাইছে।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.