Header Ads

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্ৰণে মুখ্যমন্ত্ৰীকে পরামৰ্শ দিলেন বিশিষ্ট ডাঃ অধ্যাপক ইলিয়াস আলী

গুয়াহাটি ১৮ জুনঃ আমেরিকার রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী তথা জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ ড জন কোহেনের পরামৰ্শকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তারই নিৰ্দেশিত পথে অসমের জনসংখ্যা নীতি প্ৰণয়নের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে৷ অসম সরকারের জনসংখ্যা নীতি প্ৰণয়নের অন্যতম সদস্য তথা রাজ্যের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্ৰণের অন্যতম পথ প্ৰদৰ্শক বিশিষ্ট ডাঃ অধ্যাপক ইলিয়াস আলী আজ রাজ্যে তথা দেশের জন বিস্ফোরণ নিয়ে বক্তব্য রাখার সময় ড জন কোহেনের মূল্যবান পরামৰ্শর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ড কোহেন পরামৰ্শ দিয়েছেন তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে মহিলাদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিতে জোর দিয়ে প্ৰতিজন মহিলাকে নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক আবশ্যক৷ শুধু স্বাক্ষর নয় নূন্যতম যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক করা হলে ২০৫০ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা প্ৰায় ৩০০ কোটি কমে যাবে৷ দেশে প্ৰতি বছরে ১কোটি ৮২ লক্ষ লোকের সংখ্যা বাড়ছে৷ যা অষ্ট্ৰেলিয়ার জনসংখ্যার সমান৷ রাজ্যে প্ৰতি বছরে বাড়ছে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার৷ অসমের বৰ্তমান জন বিস্ফোরণে উদ্বেগ প্ৰকাশ করে গুয়াহাটি হাতীগাঁওয়ের গ্লোবাল হাসপাতালের কৰ্ণধার বিশিষ্ট ডাঃ অধ্যাপক ইলিয়াস আলী আজ সাংবাদিকদের বলেন রাজ্যে পূৰ্ববঙ্গীয়মূলের মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে দারিদ্ৰতা, শিক্ষার বড় অভাব, কু-সংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, বহু-বিবাহ, ধৰ্মীয় গোড়ামি প্ৰভৃতির জন্য জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার বেশি৷ বৰ্তমানে এই সব জনগোষ্ঠীর মানুষ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্ৰণে বিভিন্ন পদ্ধতি গ্ৰহণে এগিয়ে আসছে৷ বরাক উপত্যকায় আগে নানা প্ৰতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছিল এখন সবাই স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসছে৷ রাজ্যের প্ৰত্যন্তর চর অঞ্চলের মানুষের মধ্যেও মানুষের মনোভাব পরিবৰ্তন হয়েছে৷ জন্ম নিয়ন্ত্ৰণ সম্পৰ্কে ভুল ধারণা হ্ৰাস পেয়েছে৷ কনসালটেণ্ট জেনারেল কাম এণ্ডোলাপারসকপিক সাৰ্জেন ডাঃ অধ্যাপক ইলিয়াস আলী বলেন রাজ্যে এ পৰ্যন্ত ৫৫ হাজার মানুষ জন্ম নিয়ন্ত্ৰণের বিভিন্ন পদ্ধতি গ্ৰহণ করেছে৷ রাজ্যের মহিলাদের মধ্যে শিক্ষার হার বৃদ্ধি করে সচেতনতার লক্ষ্যে কাজ করছে রাজ্যের আশা কৰ্মীরা, তৃণমূল পৰ্যায়ের মানুষের মধ্য গিয়ে খুব ভালো কাজ করছেন৷ বাংলাদেশের গ্ৰামীন ব্যাঙ্কের প্ৰাক্তন প্ৰধান ড ইউনিসের কথা উল্লেখ করে বলেন, তার একান্ত প্ৰচেষ্টায় বাংলাদেশে মহিলাদের মধ্যে শিক্ষার হার বহুগুন বেড়ে গেছে৷ এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১.০৪ শতাংশ, একই বছরে ভারতে ১.১৭শতাংশ, ২০১৪ সালে বাংলাদেশের ৬২.৩ শতাংশ মানুষ গৰ্ভনিরোধক ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেছে৷ সে ক্ষেত্ৰে ভারতে ৫৩.৫ শতাংশ মানুষ ২০১৫-১৬ সালে) এই ব্যবস্থা গ্ৰহণ করেছে যা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম৷ গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অবসর প্ৰাপ্ত ডাঃ ইলিয়াস আলী দেশ বিদেশের অন্যতম জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ ৷ চীন, কেনিয়াসহ সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্ৰণ নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন৷ সারা দেশে শীৰ্ষস্থানীয় সংবাদ পত্ৰগুলিতে তার মূল্যবান লেখনি প্ৰকাশিত হয়৷ তাকে পদ্মশ্ৰী, পদ্মভূষণ প্ৰভৃতি উপাধি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে৷ কিন্তু কোনও কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি৷ বিজেপি দলের জনসম্পৰ্কের অভিযানের অঙ্গ হিসাবে মুখ্যমন্ত্ৰী সৰ্বানন্দ সনোয়াল তার বাসভবনে গিয়ে দীৰ্ঘ সময় জনসংখ্যা বিস্ফোরণ নিয়ে আলোচনায় বসেন৷ ডাঃ ইলিয়াস আলী বলেন, বসন্ত প্ৰতিরোধক প্ৰভৃতি রোগ প্ৰতিরোধ্বে কাজেও বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করছেন৷

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.