আনন্দমার্গ এর অসাম্প্রদায়িক সত্তা সার্বিক কল্যাণ সম্ভব
আনন্দমার্গের উদার অসাম্প্রদায়িক আদর্শ সর্বশ্রেণীর মানুষের কল্যাণ করতে সক্ষম
গত ৪,৫ ও ৬ই জুলাই শিলচর রবীন্দ্র সরণি আনন্দমার্গ আশ্রমে তিন দিনের এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনা সভায় বরাক ভ্যালির আনন্দমার্গের কর্মী ও অনুগামীরা অংশগ্রহণ করেন। তিনদিনের আলোচনা সভায় আনন্দমার্গ দর্শনের সামাজিক অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক বিষয়ের উপর আলোচনা করেন আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত ও আচার্য শুভদীপানন্দ অবধূত। ৫ জুলাই অপরাহ্নে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা পথ পরিক্রমা করে রবীন্দ্রসরনী হাইলাকান্দি রোড সংযোগের সামনে সমবেত হয় ও একটি সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভা থেকে আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের শিলচর শাখার পক্ষ থেকে ৬০ জন আর্থিক দুর্বল মানুষদের হাতে মশারি তুলে দেয়া হয়। পাঁচ শতাধিক মানুষের হাতে খিচুড়ি প্রসাদ তুলে দেয়া হয়।
সভায় আনন্দমার্গ জীবন দর্শনের উপর বক্তব্য রাখেন শ্রী সমর পাল ও আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত। আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত আনন্দমার্গ দর্শনের আধ্যাত্বিক সাধনা, সামাজিক অর্থনৈতিক বিষয়, শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ে আলোচনা করেন। তার বক্তব্যে আনন্দমার্গের চিন্তাধারার মৌলিকত্ব ও নতুনত্ব সুস্পষ্ট রূপে ফুটে ওঠে। তিনি বর্তমান সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য আর্থিক বৈষম্য ও অশ্লীল সাহিত্য চলচ্চিত্র সংগীতকে দায়ী করেন। শিল্প সাহিত্য সম্পর্কে তিনি বলেন শিল্পের খাতিরে শিল্প নয়, শিল্প ও সাহিত্য সম্পর্কে আনন্দ মার্গের দৃষ্টিভঙ্গি হলো শিল্প ও সাহিত্য সেবা ও কল্যাণের জন্য।
অর্থনীতি বিষয়ে তিনি বলেন বর্তমান অর্থনীতি শুধু বস্তা পচা তত্ত্বকথার কচকচানিতে ভরা। অর্থনীতি হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগভৌমিক বিজ্ঞান যা সমাজের সর্ব শ্রেণীর মানুষের আর্থিক মানোন্নয়ন করে চলবে। পরিশেষে তিনি সমাজের সর্বশ্রেণীর মানুষকে আনন্দমার্গের উদার অসাম্প্রদায়িক আদর্শের পতাকাতলে সামিল হতে আহ্বান জানান।
তিনদিনের এই আলোচনা সভা ও সমগ্র অনুষ্ঠান সুচারু রূপে পরিচালনা করেন কাছাড় জেলার ভুক্তিপ্রধান পান্না রায় ও আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত।
কোন মন্তব্য নেই