Header Ads

প্রতিদিন উষ্ণতা বাড়ছে ,তাপমাত্রা রেকর্ড ছড়াচ্ছে , মানুষ অসহায়

অমল গুপ্ত ,১৫ জুন ,কোলকাতা:   উষ্ণতা বেড়েই চলেছে,হিমবাহ বরফ দ্রুত গলছে,  রাজস্থানের মরুভূমির  ৫০ ,৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস  উষ্ণতা আজ আমাদের অঞ্চলে । মধ্য প্রাচ্যে  ইরান- ইজরায়েল লড়াই ,রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ।  অপরিশোধিত বা ক্রুড ওয়েল আমদানি কমে গেছে। এই যুদ্ধের আবহে বিশাল সাগর ক্রমশ তেল প্লাস্টিক আবর্জনায় ভরে যাচ্ছে। আমাদের ব্যবহৃত মোবাইল প্লাস্টিক  সহ ভাঙা কম্পিউটার  বাতিল জাহাজ জলযান পেট্রোল ,সব এই  সাগরের জলে মিশছে। ভারতের ১৪০০ সাগর তীরের সাংঘাতিক আবর্জনা দূষণ সীমা ছড়াচ্ছে।।মুম্বাই ,চেন্নাই সাগর  তীরে দেখেছি   জল ঘোলাটে রঙের ,জাহাজের তেল  প্লাস্টিক  আবর্জনা  রঙ তাই পাল্টিয়ে দিয়েছে।  বিশ্বের ১০০০ টি নদীর  জল দূষিত  ভারতে ১৫ ০  নদীর জল দূষিত দেশের   বড় পবিত্র নদী গঙ্গা যমুনা   ব্রহ্মপুত্র দূষিত।   সাগর আবর্জনায় ভরে গেছে।প্লাস্টিক দূষণ সীমা ছাড়িয়েছে। তিমি মাছ সহ সাগরের জীব জন্তুর মাছ পেটে যাচ্ছে প্লাস্টিক।আমাদের বাড়িতে ব্যবহার করা প্লাস্টিক বোতল গ্লাস  সব ক্ষেত্রে ধংসপ্লাস্টিক গুঁড়া সবার  পেটে ঢুকছে। আজ আবার গুপ্ত কাশী থেকে কেদারনাথ হওয়ার পথে হেলিকপ্টার ভেঙে পড়েছে। পাইলট সহ ৬ যাত্রী নিহত হয়েছে।  গত মঙ্গলবার দেশের অত্যাধুনিক বিমান  ভেঙে  ২৬৯  জন মারা গেছেন। বিশ্বজুড়ে নানান দুর্ঘটনা ধ্বংসাবশেষ  ভাঙ্গা চোরা অংশ জমছে প্রতিদিন সবই তো সাগরের জলে তেলে মিশে গেছে।সাগরের জল দূষণের পিছনে   এই জাহাজ টুকরো  অন্যতম কারণ হতে  পরে। এত বড় বিমান   জালানিও দূষিত ছিল বলে আশঙ্খা করে হচ্ছে।দুটি ইঞ্জিন ব্যর্থ  , এই। লড়ায়ে মাঝে বড় খবর ইউরেনিয়াম ভর্তি চুল্লি ধংস ইরানে ।এই আবহে বিশ্বে তাপমাত্রা বেড়েই চলছে।দেশের লাখ হেক্টর বন ভূমি উজাড় হয়ে যাচ্ছে।অক্সিজেনের ভান্ডার ধংস ৮ টি মহাদেশ কে নিয়ে  এ্যামাজন অরণ্য বিশ্বের ৫০ শতাংশ অক্সিজেন সরবরাহ করে।এই এ্যামাজন অধিকাংশ গাছ পাহাড় জঙ্গল চোরা শিকারীরা  উজাড় করে দিচ্ছে। ব্রাজিল সরকারের মদতে আমাজন অরণ্য ধংস হচ্ছে।  বৃষ্টি ঝরা অরণ্য আজ শুকিয়ে যাচ্ছে। হিমবাহ গলে যাচ্ছে।সুন্দরবন দেখে এলাম কোথায় জল সংরক্ষণের  ম্যান গ্রভ  গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে।প্রতিরোধ করার কেউ নেই।জল ঘোলাটে হাজার খানিক লঞ্চ  জলযান চলছে।প্রতিঘন্টায় ১০০ লিটার তেল লাগে।একাংশ সাগর জলে মিশে যায়।২৪ ঘণ্টা শব্দ  তেল গ্যাসের গন্ধ পেলাম। দূষণ ছড়াচ্ছে। বাংলদেশে এর ৬০ শতাংশ ভারতের ৪০ শতাংশ সুন্দরবনে দূষণ ছড়াচ্ছে।সুন্দরবনে বাঘ ছাড়া সব আছে।কর্তৃপক্ষ জানান মাত্র ১০৭ টি বাঘ আছে। দেখা মেলে না। হাজার লঞ্চের তেল গ্যাস দূষণ সুন্দনবনকে সংকুচিত করে দিচ্ছে।দূষণ আর দূষণ কন্যাকুমারী বিবেকানন্দ টিলা র সাগরে দূষণ নেই পরিষ্কার জল।কিন্তু আন্দামানের সাগর কিনারে আবর্জনা স্তূপ  জলের রং  পাল্টিয়ে  গেছে। সর্বত্র দূষণ।জল আকাশ বাতাস  দূষণ ছড়াচ্ছে। অরণ্য উজাড় হয়ে যাচ্ছে।সঙ্গে প্লাস্টিক গুঁড়া প্রতিজন মানুষের দেহে প্রবেশ করছে। দেশের মানুষ পরিবেশ বন্ধু নয়।শত্রু। দেশের এক বৃহৎ অংশ গরম থেকে বাঁচতে বাড়িতে এসি ব্যবহার করছে।তার ফলে লোডশেডিং বেড়ে গেছে। এ সি দূষণ বহুগুণ বেড়ে গেছে।দেশের মানুষ আগামী ভয়ানক বিপর্যয়ের কথা  ভাবতেই পারছে না।এই দূষণের সঙ্গে দৈনন্দিন জীবন যাত্রা খাদ্যাভ্যাস অনেক দায়ী।বিষাক্ত ইনজেকশন দেওয়া ছাগল ,মুরগি   অস্বাস্থ্যকর বিরিয়ানি ,সঙ্গে মদ মাংস  পরিবেশ কে দূষিত করছে। কোলকাতা বাঙালিদের মত গুয়াহাটি শিলচর  শহরের মানুষের অস্বাস্থ্যকর বিরিয়ানি। সঙ্গে  প্রচুর পরিমাণে মদ  পরিবেশে দূষণ ছড়াচ্ছে।ইউরিয়া মেশানো মাছ কম দায়ী নয়। মানুষ একবার ভাবেনা , মূল্যবোধ হীন অসৎ মানুষ ভরে গেছে।অধিকাংশ  মানুষ টাকা পয়সা সম্পদ বৈভবে  বেঁচে থাকতে চাই। দেশ ও দশের কথা মোটেই ভাবে না। দেশ আজ সর্বনাশের দুয়ারে দিকে এগোচ্ছে। মানুষ বালিতে উটের মত মুখ গুঁজে আছে। (প্রতিবেদক নয়া ঠাহর  সম্পাদক অমল গুপ্ত )









কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.