কি i ভয়ঙ্কর উপন্যাস বিচ্ছেদ আর বিচ্ছেদ শুধুই চোখের জল

কি ভয়ঙ্কর উপন্যাস! শুধু বিচ্ছেদ আর বিচ্ছেদ...... 

রানী পাইনি আব্দুল কে

মৃদুল পাইনি পূর্ণা কে

তৃধা পাইনি লিখনকে

লিখন পাইনি পদ্মজা কে

আর পদ্মজা পাইনি আমিরকে.....

কই বই প্রেমীরা 

দিন পাঁচেক হলো বাংলাদেশ  এর বিখ্যাত উপন্যাস "পদ্মজা" দ্বিতীয় খণ্ড "আমি পদ্মজা উপন্যাস টি পড়া শেষ করলাম। এই ২টি খন্ড পড়া  শেষ করতে প্রায় ১মাসের মতো সময় লাগে আমার। 

আমি ভীষণ ভাবে বই টির মধ্যে মিশে

গেছি মানে বলতে চাইছি পদ্মজা উপন্যাস টি শেষ করার পর গোটা আর ও একটি বই পড়া শেষ করে নতুন একটি বই সাথে নিজেকে পরিচিত করছি কিন্তু সবেতেই পদ্মজা কে খুঁজে বেড়াচ্ছি। বই এর ও প্রাণ আছে নাহলে আমরা বই প্রেমী রা বই পড়ার জন্যে এত বেশি পাগল হই কেন? 

উপন্যাসটি শেষ করার পর আমি একটি স্বপ্ন দেখি। দেখছি আমি আমি একটি খুন করেছি। আমার মতে লেখক বা লেখিকারা কোনো উপন্যাস লিখে তখনি সার্থকতা লাভ করে যখন পাঠকরা সেই লেখা পরে চোখে জল, বই এর সাথে নিজেকে রিলেট করা এবং স্বপ ইত্যাদি এগুলো অনুভব করে। যা আমার সাথেও হয়েছে।

 

পদ্মজা" উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু হলো একজন গ্রাম্য মেয়ের সামাজিক ও পারিবারিক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে আত্মপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। উপন্যাসের নায়িকা পদ্মজা, একজন দরিদ্র কৃষক পরিবারের মেয়ে, যিনি পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান। কিন্তু তার বাবা এই স্বপ্নে বাধা দেন।

•উপন্যাসটি মূলত: 

পদ্মজার আত্মপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম:

পদ্মজা কিভাবে সামাজিক ও পারিবারিক প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে, নিজের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য লড়াই করে, তা উপন্যাসের মূল বিষয়।

নারী ও সমাজের সম্পর্ক:

উপন্যাসটি রক্ষণশীল সমাজে নারী ও পুরুষের সম্পর্ক, নারীর অধিকার, এবং সামাজিক নিয়ম-কানুন নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

•জীবন ও স্বপ্ন:

পদ্মজা কিভাবে তার জীবনের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে চেষ্টা করে, তার মানসিক ও শারীরিক সংগ্রাম, এবং তার জীবনের বিভিন্ন দিক এই উপন্যাসে তুলে ধরা হয়েছে।

এছাড়াও, "পদ্মজা" উপন্যাসটি বাংলা সাহিত্যের একটি উল্লেখযোগ্য কাজ, যেখানে নারী চরিত্র এবং সমাজের প্রতি লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট।

যারা বই প্রেমী আছো অবশ্যই এই বইটি পড়ার জন্যে অনুরোধ করবো।

উপন্যাস - "পদ্মজা"

লেখিকা - ইলাম বেরোজ