অসমের টাংলা তে ভাষা শহীদ দিবস উদযাপিত

*টংলায় উত্তর-পূর্ব ভারত বাংলা সাহিত্যসভার উদ্যোগে ১৯শে মে ভাষা শহিদ দিবস পালন।*

সঞ্জয় সাহা,টংলা,১৯|০৫|২৫ :- ওদালগুরি জেলার বানিজ্যিক,শৈক্ষিক এবং সাংস্কৃতিক শহর টংলায়  ১৯ শে মে ভাষা শহিদ দিবস পালন করা হয় উত্তর-পূর্ব ভারত বাংলা সাহিত্যসভার টংলা আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে  টংলা প্রগতি শিশু নিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয় প্ৰাঙ্গণে।১৮ মে রবিবার বিকাল ৪টায়  একাদশ শহিদদের শ্ৰদ্ধাঞ্জলি অৰ্পণ করা হয়।শ্ৰদ্ধাঞ্জলি অৰ্পণ করেন টংলা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড০অভিজিত চ্ক্রবর্তি, প্রদীপ প্ৰজ্বলন করেন বিজয়া দে,সহকারী-শিক্ষয়িত্ৰী,টংলা মডেল হাইস্কুল,বাসন্তী ভট্টাচাৰ্য চ্ক্রবর্তি,প্রধান শিক্ষিকা,টংলা প্রগতি শিশু নিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়শ্রী দেবনাথ, প্রতিভা বোস,অমিতা সাহা, অনুরাধা পাল,পম্পী সাহা,লিপিকা পাল,পিংকি সাহা,রামকৃষ্ণ সাহা,সুস্মিতা পাল,  ভাৰ্গব সাহা,অর্পিতা সাহা,প্রিয়াংকা দাস, সঞ্জয় সাহা, সাধারণ সম্পাদক, উত্তর-পূর্ব ভারত বাংলা সাহিত্যসভা,আশিস দাস,সক্রিয় সদস্য উত্তর-পূর্ব ভারত বাংলা সাহিত্যসভা,কেন্দ্ৰীয় কমিটি প্ৰমূখ।দেশাত্ববোধক সঙ্গীত পরিবেশন করে রামকৃষ্ণ সাহা,সুস্মিতা পাল,।কবিতা আবৃত্তি করে প্রতিভা বোস, জয়শ্রী দেবনাথ ও প্রিয়াংকা দাস। ১৯ শে মে  ভাষা  শহিদ দিবসের উপর বক্তব্য রাখেন  সঞ্জয় সাহা, সাধারণ সম্পাদক, উত্তর-পূর্ব ভারত বাংলা সাহিত্যসভা।তিনি বলেন ১৯৬১ সালের ১৯শে মে শহিদ হয়েছিলেন এগারো জন।কিন্তু দুঃখের বিষয় আজও লড়াই করে যাচ্ছেন রাজীব কর, নীহার রঞ্জন পালদের মত আরো কিছু ব্যক্তি ও সংগঠন এই এগারো জন শহিদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা সহকারে শহিদ ঘোষণা করার জন্য।১৯৬১ সালের ১৯শে মে  শিলচর রেলওয়ে স্টেশনে যে রক্তাক্ত ইতিহাস সংঘটিত   হয়েছিল সেই রেলওয়ে স্টেশনকে 'ভাষা শহিদ স্টেশন,শিলচর ' ঘোষণা করার জন্য লাগাতার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।কিন্তু সেই লড়াইয়ের আজও কোনো সংসুত্র পাচ্ছেন না সরকারের কাছ থেকে।উত্তর পূর্ব ভারত বাংলা সাহিত্যসভা সেই দাবি ও লড়াইয়ের প্রতি সম্পূর্ণ সহমর্মিতা জ্ঞাপন করে বলে অনুষ্ঠানে মত ব্যক্ত করা হয়।অনুষ্ঠানটি জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।