অসমের কণ্ঠ হতে পারতেন ডাঃ রাজদীপ রায় ,কৌশলে সরিয়ে দেওয়া হল
অমল গুপ্ত,কোলকাতা : অসমের স্বাধীনতা সংগ্রামী পারিবারের সু সন্তান বিমলংশু রায় ,ব্যক্তিগত ভাবে জানতাম , তাদের উচ্চশিক্ষিত ডাক্তার রাজদীপ রায় লোকসভায় কয়েকবার ইংরাজি তে ভাষণ দিয়ে শুধু বরাকের নয় অসমের জ্বলন্ত সমস্যা তুলে ধরেছেন। তাকে অতি কৌশল করে সরিয়ে দেওয়া হল।আমি আগেও বলেছি বর্তমান মুখ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সন য়াল কে যদি সরিয়ে দিতে পারেন তিনি সব পারেন।সর্বানন্দ র মত অতি ভদ্র বিনয়ী কর্মক্ষম নেতা দেশে খুব একটা নেই। ভারতের নীতি হীন রাজনীতিতে নিজে থেকে মসনদ ছাড়ার নজির নেই। সর্বানন্দ উজ্জ্বল উদাহরণ।তাকে আমি জানতাম। কেন্দ্রে জাহাজ মন্ত্রী পদে বসলেও তিনি সুখী নন। শিলাদিত্য দেবের মত ইংরাজি তে ভাষণ দেবার উপযুক্ত নেতা অসমে নেই দাবি করতে পারি। যারা বিধানসভায় তাঁর ভাষণ শুনেছেন। তাদের মোহ আজও কাটেনি। তাকে সরিয়ে এমন এক বিভাগে দেওয়া হল যার বাজেটে টাকা নেই। ৭০,৭৫ লাখ বাঙালি হিন্দুর কল্যাণে ভাষিক সংখ্যা লঘু উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হয়েছে যা বাঙালিদের কাছে চূড়ান্ত অপমানজনক ।তার মাথায় আজ শিলাদিত্য দেব ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে। বরাকের করিম গঞ্জের রাজা , রাজা বলেও কম বলা হবে। বরাকের যে কোন সমস্যা নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করা কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ পুরকায়স্থ র বিধানসভার উজ্জ্বল ভূমিকা র সাক্ষী আমরা কুন্তল চক্রবর্তী , বীরেশ্বর দাস , অরূপ চক্রবর্তী প্রমুখ আমার সাংবাদিক বন্ধু তাকে খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। বাকি ছিল একটা ঠান্ডা "নিরামিষ ' মন্ত্রী পরিমল শুক্ল বৈদ তাকেও সুকৌশলে সরিয়ে দেওয়া হল।বরাকের ,বিধানসভার ১৫ টি আসন থেকে কেটে ১৩ টি করে বাঙালিদের কণ্ঠস্বর কে দুর্বল করে দেওয়া হল। লমডিংয়ের বাঙালিদের মাঝা ভেঙে দেওয়া হল। লোকসভা কেন্দ্র পরিবর্তন করে। বরাকের একাংশ সাংবাদিক, বরাক এর সংবাদ গোষ্ঠীর মালিক পক্ষ বাঙালি বিরোধী বিজেপি সরকারের চক্রান্ত দেখতে পান না। শুধু বিজ্ঞাপন আর সাদা খামের লোভে।এই অভিযোগ আমার নয় বরাক থেকেই এই অভিযোগ উঠেছে। বার বার উঠছে। বার বার
প্রধান মন্ত্রী বরাকের জমিতে দাঁড়িয়ে বাঙালি বিরোধী ডিটেনশন ক্যাম্প গুড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন।কি হল সেই ঘোষণার? শুধু মিথ্যা। মুখ্যমন্ত্রী অসম এড ভেন টেজ শীর্ষক শিল্প মেলায় ৫ লাখ কোটি টাকার শিল্প এসেছে বলে গর্ব করলেন।বরাক কি পেল? পাঁচ গ্রাম পেপার মিল আজ পযন্ত কত জন সুইসাইড করেছে? সেই জমিতে জাগি রোডের মত কোনো কারখানা গড়া যেত না? টাটা গোষ্ঠী ২৭ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প করছে সেখানে। বরাক কিছুই পেল না। বরাকের ঘরে ঘরে শিক্ষিত বেকার। সবুজ চবাগান উপড়িয়ে ফেলে দেওয়া হল। বিমান বন্দর হবে কি। কোথায় গেল সচিবালয়? আর কতদূর যেতে হবে? শিলচরে মানুষ গুয়াহাটি কম সময়ে পৌঁছিয়ে যেতে পারবে তো?;কোথায় দাঁড়িয়ে আছে শিলচর সৌরাষ্ট প্রকল্প । কোথায় সর্বানন্দ ঢাক ঢোল বাজিয়ে নম বরাক নামে মেগা অনুষ্ঠান করে কোটি কোটি টাকা খরচ করলেন? বরাক নদী খনন হল কি?শুধু মিথ্যা মিথ্যা আশ্বাস । বাঙালিদের ভোটে বিজেপি জেতে আবার জিতবে কারণ মেরুদণ্ডহীন বাঙালি দের কোন পরিবর্তন নেই।প্রতিবাদ নেই ।ছাত্র নেতা প্রদীপ দত্ত রায় ঠিক কোথায় লিখেছেন। তাঁর প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে। অসম বিধানসভা তে মন্ত্রী জানান পাঁচ গ্রামের খালি জমিতে সরকার বাঁশ থেকে মিথানল তৈরি করে রপ্তানি করবে।
কোন মন্তব্য নেই