বিশ্ব নারী দিবসের বিশেষ : ভারতে র অর্ধাকাশ ৬৫ কোটি মহিলার জীবন জীবিকা আজও প্রশ্ন চিহ্নের মুখে
অমল গুপ্ত ,৬ মার্চ ,কান্দি জেল রোড: কলকাতা : দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন করেছে।আর দেশের ৬৫ কোটি মহিলার জীবন জীবিকার নিরাপত্তা নেই। প্রতি ১৬ মিনিটে একটি করে ধর্ষনের ঘটনা ভারতের মানুষ ভাবে না উদ্বেগ প্রকাশ করেনা। নিজের সরকারি চেম্বারে খুন ধর্ষনের শিকার হলেন ৩১ বছরের ট্রেনি বাঙালি ডাক্তার সারা বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠল ,মেরুদন্ড হীন বাঙালিরা চুপ। লাল কাপড় বাঁধা হাঁড়ির পরদেশী সংস্কৃতির বিরিয়ানি , রাসায়নিক ইনজেকশন দেওয়া মুরগি, ছাগলের মাংস , আর বিষ মদ বাঙালিদের একাংশের বিশেষ করে কলকাতার বাঙালিদের প্রধান খাদ্য। এর মধ্যে হাজার মহিলা ধর্ষিত হলেও কিছু যায় আসে না। শীত তাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরের নিরাপত্তা বজায় থাকলে হল। বাইরের জগতে কার কি হল যায় আসেনা বাঙালিদের। ক্ষুদিরাম ,সূর্যসেন সহ হাজার লাখ শহীদ এই শিরদাঁড়া হীন বাঙালিদের স্বাধীনতার জন্যে প্রাণ আহুতি দিয়েছিলেন। আপামর বাঙালির প্রাণের দেবতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্ম দিনে ভারত সরকার জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেনি। কংগ্রেস বিজেপি সব রাজনীতিক দল নেতাজি কে অন্ধকারে রেখে দিয়েছে। যে নেতাজি নারীকে বিশেষ মর্যাদার আসনে বসেয়েছিলেন। যে জাত মহিলাদের প্রতি উপযুক্ত সম্মান জানাতে পারে না সেই জাতের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। জাতীয় পর্যায়ের এক ইংরাজি সংবাদ পত্রের হেড লাইন " আমাদের সংস্কৃতিতে মহিলাদের মর্যাদা সম্মান জানানোর কোন পথ সহজ নয়।"। এই আমাদের ভারত বর্ষ যেখানে ৬৫ কোটি মহিলা রাজনীতির মসনদে বসতে দেওয়া হয় না। দেশের পরিবেশ প্রকৃতি দূষণ যন্ত্রনা বিশুদ্ধ পানীয় জল নেই , সব ক্ষেত্রে মহিলারা শিকার হন। দেশের লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি, স্বামী দেবতা মদ খেয়ে গভীর রাতে ঘরে ঢুকে পত্নী কে পেটান ,ধর্ষণ করলেও ভারতের পুলিশ থানা অভিযোগ নিতে চায় না।আদালতে বিচার পায় না। ভারতের আদালত ধনী ব্যক্তিদের ,গরীব শ্রমজীবী মানুষের জন্যে নয়। এই দেশের আইন জীবি, ডাক্তার আদালত বিচারের বাণীতে কাঁদে ,নিজেরাই বিচার পায় না। বর্তমান সমাজে ডাক্তারদের, আইন জীবিদের অধিকাংশ অসাধু দূর্নীতি তে ডুবে আছে। গরীব মহিলা শিশু চিকিৎসা পান না। দেশের সংসদে সাংসদদের প্রায় ৪০ শতাংশ দূর্নীতি পরায়ণ , ফৌজদারি মামলা চলছে। খুন ধর্ষনের আসামি।তারা মহিলাদের বিচার দিতে পারবে কি? এই মার্চ মাস এলো কলকাতা সহ সারা দেশে ভু গর্ভের জল ফুরিয়ে যাচ্ছে। সংসারে মহিলাদের উপর দায়িত্ব পড়ে মাথায় কলসী নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে জল বয়ে আনা।কোলকাতা মহানগরে শয়ে শয়ে বেআইনি বাড়ি নির্মাণ চলছে , তথাকথিত স্বপ্নের আকাশ ছোঁয়া ফ্ল্যাট বাড়ি ভু গর্ভের জল তুলে নেওয়া হচ্ছে।কোনো খবর নেই। সরকার নীরব।১৯৫০ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ৫৩০ কোটি প্লাস্টিক উৎপাদিত হয়েছে। পুনর্ব্যবহার হয়েছে মাত্র ১২ শতাংশ বাকিটা পরিবেশ দূষণ। প্রধান মন্ত্রীর হাজার অনুরোধ ভারতবাসী লাগাতার প্লাস্টিক ব্যবহার করে পরিবেশে দূষণ ছড়াচ্ছে মানুষ গাছ রোপণ করে না শুধুই কাটে।। দেশের পবিত্র নদী গঙ্গা ,যমুনা ব্রহ্মপুত্র সহ ৪৫ টি নদীর হল দূষিত । সাগরের তিমি থেকে শুরু করে সব জীবজন্তু প্লাস্টিক পেটে যাচ্ছে। মাইক্রো প্লাস্টটিক গুরি মানুষের স্বাস প্রশ্বাসে ঢুকে যাচ্ছে অজান্তে অগোচরে।ভয়ংকর বিপদ ঘনিয়ে আসছে কিন্তু মানুষ বিপন্নতা বোধ করে না। পরিবেশ দূষণে সঙ্গে মহিলারা সংসারে একাই লড়াই করে। অগ্নি মূল্যের সঙ্গে জলের সঙ্গে লড়াই করে পুরুষ থাকে নিরাপদে দুরত্ব বজায় রাখে। ভারতীয় সংবিধানের ১৪ থেকে ২১ অনেচ্ছেদে নারী শিশুর আইনি সহায়তা বৈষম্য দুর করার অঙ্গীকার করা হয়েছে। ১৫(৩) অনু চ্ছেদে নারী শিশুদের সুরক্ষার অঙ্গীকার করা হয়েছে। ১৯৯০ সালে জয়ন্তী পট্টানায়েক কে চেয়ারপারসন করে জাতীয় মহিলা কমিশন গঠন করে দেওয়া হয়েছিল ,পরবর্তীতে ২০২৪ সালে বিজয় কিশোর রাহাতকর এই পদে বসেন। কিন্তু কোথায় মহিলাদের জীবন জীবিকার নিরাপত্তা?নিজের হাসপতালে চেম্বারে বসে জুনিয়র ডাক্তার খুন হয়ে গেল? দেশে প্রতি ১৬ মিনিটে এক জন মহিলা ধর্ষনের শিকার হচ্ছে? মহিলাদের ঋতু স্রাব তো লাল রক্ত রং এর তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কি বিশ্ব নারী দিবসের জাতীয় রং বেগুনি রাখা হয়েছে? জানা নেই । তবে নারী র প্রতি ন্যায় আর শক্তি মর্যাদার প্রতীক রং বেগুনি।সেই বেগুনি রংয়ের ডালিয়া ফুটেছে আমাদের পার্কে। নারী দিবসের আগাম বার্তা দিচ্ছে।যে নারী আজ শক্তি মর্যাদার দাবিতে বিশ্ব জুড়ে লাগাতার লড়াই চালাচ্ছে ,তাদের প্রতি শ্রদ্ধা, সালাম। নারী দিবসে এবার থিম নারী নির্যাতন বিশেষ পদক্ষেপ ,নেওয়া হচ্ছে কি?(লেখক বাংলা নিউজ পোর্টাল নয়া ঠাহর এর সম্পাদক)
কোন মন্তব্য নেই