Header Ads

নেতাজি তুমি অন্যন্য , বাঙালিরা তোমাকে বুঝলো না

  চিত্ত রঞ্জন পাল। :"Are you rightist either are you leftist, or are you centrist, actually what you are?" নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরুর কাছে এক চিঠি লিখে এ প্রশ্ন করেছিলেন।
 নেতাজির জীবনের বিনিময়ে যে দেশের স্বাধীনতা এসেছে, তা বললেও অত্যুক্তি করা হবে না। কারন বৃটিশ সরকার নেতাজিকে "ওয়ার ক্রিমিনাল" হিসেবে ঘোষণা করেছিলো। ওদিকে, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলকে বৃটিশ শর্ত দিয়েছিলো যে স্বাধীনতা হস্তান্তরের পর যদি নেতাজি দেশে ফিরে আসেন, তাহলে তাঁকে বৃটিশের হাতে তুলে দিতে হবে। অর্থাৎ দেশে প্রত্যাবর্তনের পথ রুদ্ধ করা হয়েছিলো। তাই তো বিভিন্ন সময়ে আমরা শৌলমারী ও ফৈজাবাদের গল্প শুনেছি।১৯৪৩ সালে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পোর্টব্লেয়ারের সাউথ পয়েন্টে স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উড়িয়ে ছিলেন। যিনি "দিল্লি চলো" শ্লোগান দিয়ে ডিমাপুরে আক্রমণ করে ১৯৪৪ সালে ভারতের স্বাধীন পতাকা উড়িয়ে ছিলেন, তিনি আজও অন্তর্ধানের রহস্যে ঘেরা। সাম্প্রতিক শোনা যাচ্ছে, সোভিয়েত রাশিয়ার ইয়াকুটস্ক জেলেই নাকি সিক্রেট কিলিং করা হয়েছিলো। আজও বাঙালিরা সত্যিটা জানতে পারেন নি। অথচ বাঙালি ছাড়া অন্য কোনো জনগোষ্ঠীর মানুষেরাই নেতাজির অবদান সম্পর্কে স্বীকৃতি দিতে চান না। এটাই দুর্ভাগ্য!
নেতাজি কখনও দক্ষিণপন্থী ছিলেন না। হিন্দু মুসলমানের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের ঘোর বিরোধী ছিলেন। আজকের রাজনৈতিক পরিবেশ নেতাজি সশরীরে বেঁচে থাকলে তাঁর আদর্শ কী অসমের হিন্দু বাঙালিরা মেনে নিতেন? 
নেতাজি  "এশিয়া ব্লক" গঠন করতে চাওয়ার পরিবর্তে যদি শুধু "অবিভক্ত বঙ্গ" নিয়েই চিন্তা ভাবনা করতেন, তাহলে সমগ্র ভারতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাঙালির আজ এতো দুর্দশা হতো না। বাঙালিরা স্বাধীন রাষ্ট্রের পরাধীন নাগরিক হতো না। ২৩শে জানুয়ারি আগমন উপলক্ষে বাঙালির মনে আবেগ উথলে ওঠে। পরদিনই আমরা তাঁর আদর্শ, শৌর্য, বীর্যের ইতিহাস বেমালুম ভুলে যাই।
"জয়তু সুভাষচন্দ্র জয়তু জয়,
শুভদিনে হলো তোমারই অভ্যুদয়,
জয়তু সুভাষচন্দ্র জয়তু জয়।

নিত্য বহ্নি তুমি যে বরণে ঢাকা,
রক্ত তিলক ললাটে তোমার আঁকা।"

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে জানাই শতকোটি প্রণাম।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.