Header Ads

বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা এর রহস্য কী?
প্রদীপ দত্ত  রায়
কেন্দ্রীয় সরকারের  রেল, তথ্য ও সম্প্রচার এবং  আই টি মন্ত্রী  অশ্বিনী বৈষ্ণব  গত ৩ অক্টোবর  কেন্দ্রীয় কেবিনেটের পক্ষে   জানান যে বাংলা,অসমিয়া,পালি, প্রাকৃত ও মারাঠিকে এবার  ধ্রুপদি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হল। ভারতের প্রাচীন ভাষা বাংলাকে অন্যান্য ভাষায় সঙ্গে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার পেছনে কি অভিসন্ধি থাকতে পারে এ নিয়ে সন্দেহ দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। বাংলার মত একটি উৎকর্ষ ভাষা যার প্রাচীন নিদর্শন চর্যাপদ এবং পুঁথির মধ্যে নিহিত রয়েছে সে ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে যে বিলম্ব করা হয়েছে এর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে মূল রহস্য। বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে, এই স্বীকৃতি দেওয়ার কাজটি দীর্ঘকাল যাবত ঝুলে থাকা এবং অন্যান্য নবীন ভারতীয় ভাষাগুলি এর আগেই ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা লাভ করার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে আমার মনে একটা দ্বিধার জন্ম হয়েছে। এর পিছনে রাজনৈতিক লাভ লাভের অংক লুকিয়ে রয়েছে হয়ত। এটা বাঙালিদের মন জয় করতে নেতাজিকে ভারতরত্ন দেওয়ার প্রস্তাবের মতই ভোটমুখী কৌশলের কোনো অঙ্গ নয় তো , এ প্রশ্নটা আমার মনে জেগে উঠেছে। বাংলার মতই প্রাকৃত এবং পালি প্রাচীন ভাষা এই ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন এত বিলম্ব করা হলো এ প্রশ্ন মানুষের মনে জাগাটা স্বাভাবিক। তবে কি এই ভাষা স্বীকৃতি দিয়ে রাজনৈতিক মুনাফা আদায়ের নিহিত কোন লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে?

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.