জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে সরকারের আলোচনা হল না
অমল গুপ্ত ,কোলকাতা : বৃষ্টির দিনে দুর্যোগ উপেক্ষা করে জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে ৩২ জন মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়ীর দরজার কাছে গিয়ে ফিরে এলেন ।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দরজার বাইরে এসে চা খেয়ে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। টা প্রত্যাখান করে আন্দোলনকারীরা ছাত্র র ফিরে আসেন।ছাত্র নেতারা সাংবাদিকদের জানান তারা আলোচনা ফলপ্রসূ হোক তার জন্যে আন্তরিক ভাবে আলোচনার তাগিদে তারা গিয়েছিলেন প্রথমে লাইফ স্ট্রিমিং দাবী মানা হল না ,পড়ে ভিডিওগ্রা ফি করা মানা হলনা। এমন কি সরকারের ভিডিও থেকে রেকর্ড করার দাবিও সরকার মানেনি নি।আদালতের অজুহাত দেওয়া হয় বলে আন্দোলনকারী ছাত্র র অভিযোগ করেন। শেষ পর্যন্ত প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের মধ্যে আন্দোলনকারীরা প্লাস্টিক টেন্ট এর মধ্যে রাত কাটান। মূখ্যমন্ত্রী বার বার বলেন তোমাদের ছাতা দেওয়া হয়েছে। তোমরা ভিজো না। তোমাদের ভিডিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর দেবো।মুখ্যমন্ত্রী নিজে আন্দোলনকারীদের স্থলে গিয়ে আস্বাস দিয়ে আসেন তাদের সব দাবী আলোচনা ভিত্তিতে মিটিয়ে দেওয়া হবে। সেই আস্বাস পেয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা ফের মুখ্য মন্ত্রীর বাড়িতে গিয়ে ছিলেন।তার দরজা থেকে ফিরে আসতে হয়। তিনি বলেন আপনাদের চিঠিতে লাইফ স্ট্রিমিং করার কথা উল্লেখ ছিলনা। একদিন মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করা সাংবাদিক কুণাল ঘোষ এক ভিডিও পেশ করেন তাতে দাবী করা হয়।বামপন্থী ছাত্ররা নাকি আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের হত্যা করার চক্রান্ত করেছে।সেই ভিডিও ভিত্তিতে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে গেল এরপর কুণাল ঘোষের ভিডিও রাজ্যে রাজনীতি গরম । এর মধ্যে এক টিভি টক শয়ে এক সিনিয়র ডাক্তার অভিযোগ করেন আর জি কর এ সিনিয়র ডাক্তার দের একাংশ অধ্যাপক শ্রেনীর কলেজের প্রিন্সিপল এর অনুমতি না নিয়ে সকাল ৯ তার পর দুঘন্টা বাজারে নামের ফলক ঝুলিয়ে হাজার টাকার ভিজিট নিয়ে জোর প্র্যাকটিস করছে ।বাইরে এসে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে উই ওয়ান্ট জাস্টিস বলে চিৎকার করছে। রাজ্যের ৪৫ টি মেডিক্যাল কলেজের অধিকাংশ সিনিয়র ডাক্তার হাজার টাকার ভিজিট নিয়ে বাজারে চেম্বার খুলেছে।অধিকাংশ ডাক্তার পুজোতে বিদেশ বিলাসী সফরে পুজো কাটাতে যাবে।তাদের সপ্তাহে কয়েক লাখ টাকার বেশি আয় করেন। সরকারি বেতন ত আছেই।মানবতাবাদী অসৎ ডাক্তার রা সহকর্মী ডাক্তার হত্যার ব্যাপারে বিস্ময়কর ভাবে চুপ। কলকাতার বাঙালি বুদ্ধিজীবী দের মত বাইরে বেড়িয়ে এর উই ওয়ান্ট জাস্টিস বলার সৎসাহস টুকু নেই। মেরুদন্ড হীন কলকাতার বাঙালি গর্তে লুকিয়ে গেছে। এক সাহসী গতকাল ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেন মদ, বিরিয়ানি দোকানে ভিড় ,৮ ০০০ বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু বাঙালি দের প্রতিবাদ কোথায়?।নিজের পরিবারের কন্যা কে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হল।এক সিস্টিমের বলি হল। মা দুর্গার এক কন্যা চলে গেল ।সেই দুর্গা মায়ের আরাধনা নিয়ে বাঙালি মেতে উঠবে। মদ। মাংস বিরিয়ানি
দোকানে লাইন দেবে কাপড়ের দোকানে, বিউটি পার্লার লাইন ,মা দুর্গা সাজতে হবে তো।।
কোন মন্তব্য নেই