অসমের আর্ন্তজাতিক নদ ব্রহ্মপুত্র যে হারে ধ্বস নামে তার গতিরোধ করার ক্ষমতা সরকারের নেই
অমল গুপ্ত ,গুয়াহাটি ,কোলকাতা: চিন, ভারত ,ব্রহ্মপুত্র বাংলাদেশ ,তিব্বত ,অরুণাচল প্রদেশ কে স্পর্শ করে২৯০০,,কিলোমিটার ব্যাপী ব্রহ্মপুত্র অসমের৯১৬কিলোমিটার মাটি স্পর্শ করেছে।প্রায় সবটা ব্রহ্মপুত্র কিনারে গাছপালা উধাও হয়ে গেছে। দিবাং ,লোহিত,কামেং , হিয়ার লুং ইত্যাদি নাম নিয়ে অসমের ব্রহ্মপুত্র কে প্লাবিত করেছে।উৎস থেকে যে হারে পালি মাটি, বালি ,পাথর হাজার কিলোমিটার নদীতে ভাসিয়ে এনে যার ফলে তলদেশের গভীরতা নেই।সবুজ গাছ পালা বালি পাথর মাটি ধরে রাখে সেই গাছপালা সব ধ্বংস হয়ে গেছে।সামান্য বৃষ্টিপাত হলে ব্রহ্মপুত্র ভেসে যায়। উপচে পড়া বন্যার জল সব জনপদ ভাসিয়ে দেয়। ব্রহ্মপুত্র নদে যে পরিমাণ বালি পাথর মাটি গড়িয়ে আসে তাকে বাঁধার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ নেই।তিনি ৫০ টি পুকুর খনন করে অসমের বন্যা রোধ করতে চান।প্রতিবছর ব্রহ্মপুত্র নদে হাজার হাজার টন পাথর বালি মাটি এসে ব্রহ্মপুত্র নদকে বুঝিয়ে দিচ্ছে। গাছ সবকে আটকায়। গাছেই নেই।আটকাবে কে।এক আনুমানিক হিসাব প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ করেছিলেন।তার হিসাবে অসমে বন্যার থেকেও নদী ভাঙন, নদী ধস বড় সমস্যা গত ৫০বছরে প্রায় তিনহাজার কিলোমিটার ব্রহ্মপুত্র নদের লাখ লাখ টন মাটি বালি জলে মিশে ব্রহ্মপুত্র নদের বিশালতা কামিয়ে দিয়ে চওড়া অনেক কমে গেছে।সব মাটি বালি নদী তে মিশে গেছে। দেশের মানুষ ব্রহ্মপুত্র নদকে গুরুত্ত দিচ্ছে না। গত ৫০,,বছরে বন্যার ফলে ধস ফলে অসমের লাখ লাখ মানুষের জীবন সম্পত্তি বিনষ্ট হয়েছে। অসমের জাতীয় সম্পত্তির সিংহভাগ ব্রহ্মপুত্র খেয়ে ফেলেছে। সেই নদীর জল আটকাতে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার পুকুর খনন করবে। তারা মূর্খের স্বগর্গে বাস করছে। রাজ্যে নদী কিনারে ব্যাপক হারে বৃক্ষ রোপণ। অসমের বন্যা ধস কে রোধ করতে পারে।চিন ব্রহ্মপুত্রের মত হোয়াং হো নদীকে নিয়ন্ত্রিত করে বহুমুখী কাজে লাগিয়েছে।সেখানে ব্যাপক হারে গাছ লাগানো হচ্ছে।আর অসমে গাছ কাটা হচ্ছে। একবার অসম বিধানসভায় ব্রহ্মপুত্র নদের জলের স্রোত থেকে বিদ্যুত উৎপাদনের প্রসঙ্গ উঠেছিল। ব্রহ্মপুত্র নদের বিশালতা, গভীরতা দেশের সব নদীকে টেক্কা দেবে
এই নদ প্রতিদিন একটি করে ছোট ছোট জনপদ গড়ে আর ভাঙে। পশ্চিমবঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলার গঙ্গা গত কয়েকদিনে গঙ্গার তীরে থাকা ৫০ টি বেশি বাড়ি ভাঙনে ধ্বসে গুড়িয়ে দিয়েছে।সরকার অসহায় কিছু করে উঠতে পারছে না।পরিবেশ প্রকৃতি র কাছে মানুষ জিততে পারবে না। গঙ্গার ভাঙ্গনের থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন আরও ভয়াবহ, মারাত্বক দিল্লির ডাবল ইঞ্জিন লাগালেও রক্ষা করা যাবে না।এত হর্ষ পাওয়ার নেই। বড় লজ্জা আর পরিতাপের কথা প্রতিবছর বন্যার সময় বহু ক্ষয় ক্ষতি হলেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তথাকথিত আর্থিক প্যাকেজের নামে অসম কে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেই।বিহারের গঙ্গায় এতবন্য হয়না
বিহারকে বাজেটে দেড়হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল।অসম কে শুধুই আস্বাস দেওয়া হল।অসমের প্রতিবাদী সংগঠন আসু , যুব ছাত্র পরিষদ ,কোথায় লুকিয়ে গেল। অসমের
কংগ্রেস, বামপন্থী, বিজেপি বন্ধু এ আই ইউ ডি এ ফ কোথায় গেল। প্রতিবাদ আন্দোলন হল না।
কোন মন্তব্য নেই