Header Ads

।কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সভায় বাঙালি মন্ত্রী নেই।



নতুন সরকারকে স্বাগত, তবে মন্ত্রীসভায় আসামের ১ কোটি বাঙালির প্রতিনিনিধিত্ব না থাকায় ক্ষোভ,বরাকের জ্বলন্ত সমস্যা সমুহ সমাধানের দাবিতে আন্দোলন আরো জোরদার করা হবে - বিডিএফ।

গতকাল নতুন সরকার তথা মন্ত্রীসভার শপথগ্রহণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হল। নবগঠিত এই সরকারকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি বরাক মূল সমস্যা গুলি সমাধানের লক্ষ্যে আন্দোলন চলবে বলে এদিন মন্তব্য করলেন বিডিএফ কর্মকর্তারা।

এদিন বিডিএফ অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভা শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে এবারের নির্বাচনে জনগন যে রায় দিয়েছেন তা গুরুত্বপূর্ণ এবং তার আশা নতুন সরকার তার মর্মার্থ বুঝেই আগামী দিনে সিদ্ধান্ত ও কর্মসূচি নেবেন। তিনি গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গঠিত এই নবগঠিত সরকারকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানান এদিন। পাশাপাশি এও বলেন যে একটাই দুঃখ যে বরাক উপত্যকা থেকে এবারও কারুর মন্ত্রীসভায় ঠাঁই হলনা। প্রদীপবাবু বলেন মইনুল হক চৌধুরী থেকে শুরু করে নীহার রঞ্জন লস্কর, সন্তোষ মোহন দেব বা কবীন্দ্র পুরকায়স্থের মতো বরাকের অনেক বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব দীর্ঘ চল্লিশ বছর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত থেকেছেন এবং স্থানীয় তথা জাতীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। কিন্তু গত পনের বছর ধরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় বরাক প্রতিনিধিশূন্য। তিনি এও বলেন যে যদি ডিলিমিটেশনের মাধ্যমে শিলচর আসন এবার সংরক্ষিত না হত এবং যদি রাজদীপ রায় পুনঃনির্বাচিত হতেন তবে অবশ্যই তিনি মন্ত্রীত্বের দাবিদার হতেন। তাঁর প্রশ্ন তবে কি এটাকে আটকাতেই ডিলিমিটেশনের চক্রান্ত করা হল ? 

প্রদীপবাবু এদিন বলেন তিনি আশা করছেন যে  যারা বরাক থেকে এবার নির্বাচিত হয়েছেন বরাকের মূল সমস্যাসমূহ সমাধানে তারা আন্তরিক ও যত্নবান হবেন। অন্যথা গত তিনবছর ধরে বিডিএফ যেসব ইস্যুতে সরব ছিল সেসব নিয়ে এবার আরো জোরদার আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

বিডিএফ মিডিয়া সেলের মুখ্য আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য এদিন বলেন যে এক দুইটি ব্যাতিক্রম ছাড়া মূলতঃ জনপ্রতিনিধিদের, নিষ্ক্রিয় ও নির্বিকার ভূমিকাই বরাকের অনুন্নয়নের জন্য দায়ী। তবে এবারও যাতে একই ঘটনা না ঘটে তারজন্য সক্রিয় ভূমিকা নেবে বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। তিনি বলেন জনগনকেও এই ব্যাপারে সরব হতে হবে। কারণ শুধু ভোট দিয়ে গনতান্ত্রিক কর্তব্য শেষ হয়না। নিয়ত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভূমিকার প্রতি খেয়াল রাখা, চাপ সৃষ্টি করা এসবই গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অঙ্গ। অন্যথা ভোটারদের ভুলে গিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ ও রাজনৈতিক স্বার্থকে যে প্রাধান্য দেন এটা অতীতে বারবার দেখা গেছে। সেজন্যই এই উপত্যাকার সমস্যার সুরাহা হয়না।

বিডিএফ আহ্বায়ক বাবুল চৌধুরী এদিন বলেন যে তাঁরা আগামীতে একাদশ দফা দাবি নিয়ে সমগ্র উপত্যকা জুড়ে তারা জনগনকে সংগঠিত করার প্রয়াস নেবেন। এই দাবিগুলোর মধ্যে বরাকের শিল্পোদ্যোগ, কর্মসংস্থান, নাগরিকত্ব,সড়ক ও যোগাযোগ ব্যাবস্থা, সমষ্টি পুণর্বিন্যাস,ভাষা ও সংস্কৃতি, জমাজল ও বন্যা সমস্যা, কৃষি, প্রাথমিক শিক্ষা পরিকাঠামো এবং পর্যটনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাবুল চৌধুরী বলেন যে একাদশ শহীদের রক্তস্নাত এই পুন্যভুমি এবার এই একাদশ দফা দাবি নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী এবং দুর্ণিবার আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠুক এটাই তাঁরা সর্বান্তকরণে চাইছেন। অন্যথা বরাকের রাহুমুক্তি হবে না। তিনি এজন্য দলমত নির্বিশেষে সমস্ত সংগঠন ও নাগরিকদের সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এদিনের সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সীমা ঘোষ, রঞ্জনকান্তি ভট্টাচার্য, নবারুণ দে চৌধুরী, দেবায়ন দেব, শাওন তাপাদার,রত্নদীপ গুপ্ত, অমলেন্দু দাস প্রমুখ।

বিডিএফ এর পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক দেবায়ন দেব।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.