Header Ads

রাজনৈতিক দল গুলোর নির্বাচনি ইশতেহারে জল পরিবেশ সংরক্ষণ গুরুত্ব পায় নি , দাবদাহ সব জ্বলছে

অমল গুপ্ত ,কান্দি জেল রোড,কোলকাতা:  মাত্রাধিক গরমে দেশ জ্বলছে। শহর  জ্বলছে , মানুষ পুড়ছে  গাছ পালা সবুজ,  পশুপাখি সব প্রচণ্ড কষ্ট পাচ্ছে। তাপ প্রবাহ  রাজস্থান মরু প্রদেশ কে ছড়িয়ে যাচ্ছে  ।৪২,৪৩ থেকে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠা নামা করছে পারদ। যার দহন ক্ষমতা  নেই পশু পাখিদের পোকা মাকড় মৌমাছি কিট পতঙ্গ দের সব মরে  যাচ্ছ। একবার গরিব মানুষের অবস্থা বুঝুন। এই তাপ প্রবাহ কারণ বলা হচ্ছে বঙ্গোপসাগর  এ জলীয় বাষ্প তৈরি হচ্ছে ত পশ্চিমবঙ্গ এ ঢুকছে না। কাল বৈশাখী  আকালে ভুগছে বঙ্গ।  আবহাওয়া দপ্তর কোনো আশার বাণী   শোনাতে পারছে না।। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি তে দেশার রাজনৈতিক দল গুলো যাঁরা ভোট ভয় ভিক্ষা করছে তাদের কি কোন দায়িত্ব নেই।? তাঁদের নির্বাচনি   ইশতেহারে এই পরিবেশ  সংরক্ষণ জল সংরক্ষণ নিয়ে কোন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে কি? না সেভাবে হয়নি  সব দলের ভোট লাগে  সোনার মসনদ  গড়বে পাঁচ বছর এর দেশ কে লুটে পুটে খাবে পাঁচ বছর। এই দেশের নীতি আয়োগ   নেতাজির স্বপ্নের দেশের পঞ্চ বার্ষিক পরিকল্পনা কে ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে  হোয়েছে তথা কথিত নীতি  অ্য়োগ  বলছে ২০৩০-৪০ সালের মধ্যে দেশের ৫০ শতাংশ ভূগর্ভের জল শুকিয়ে যাবে। ইতিমধ্যে দেশের  অত্যাধুনিক নগর ব্যাঙ্গালুরু  সহ দক্ষিণের শহর এর মাটির নীচে জল ভান্ডার শুকিয়ে যাচ্ছে। উত্তর পূর্বের বড় নগর  কলকাতার একাংশ অঞ্চল ভূগর্ভের জল শুকিয়ে যাচ্ছে অথচ কলকাতার বহুএলাকা বহুতল নির্মাণ চলছে  কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। ভারতের এক মাত্র রাজ্য কিছু পয়সা খরচ করলে সব করা যায়।  ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়া র তথ্য বলছে ২০১৩ থেকে  ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশে ৯৫শতাংশ প্রাকৃতিক বনাঞ্চল এ  জঙ্গল ধংস  হয়েছে। গত দশ বছরে ২০১৭ সালে  সর্বোচ্চ অরণ্য ভূমি ধংস হয়েছে। যার পরিমাণ১৪৪,০০০ হেক্টর। প্রাকৃতিক বনাঞ্চল  অর্থ বনের জীব জন্তু র আবাস স্থল ও বোঝায়। যার কারনে মানুষের সঙ্গে বনের পশু দের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। পাহাড় নদনদী  জলাশয় ধংস ফলে ভূগর্ভের জল শুকিয়ে যায় তীব্র জল কষ্ট শুরু হয়েছে।এই জন্য জল বায়ু পরিবর্তন হলেও মানুষ কম দায়ী নয়।এই মুহুর্ত দেশের সবচেয়ে  বড় জ্বলন্ত সমস্যা জল পরিবেশ দূষণ সমস্যা  আর  মূল্য বোধের  সমস্যা যা আর্থিক সমস্যা থেকেও অনেক অনেক বড়। দেশে মানুষ কোথায় ? নীতিহীন   চরিত্র হীন  দেশে  মানুষ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর  একটা নেতাজী সুভাষ  কি ফিরে আসবে?

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.