Header Ads

প্রণব। Barua দৃষ্টিতে আধুনিক মূল্যবোধ

প্রণব বরুযার সৃষ্টি তে প্রতিফলিত হয়েছে আধুনিক মূল্যবোধ এবং পরম্পরাগত সংবেদনশীলতা:-মূখ্যমন্ত্রী।
বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী চম্পক বরবরাকে প্রণব বরুযা শিল্পী বঁটা প্রদান।
সুনীল রায় নগাঁও ২৫ফেব্রুযারী :-বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী তথা তথা আসাম ট্রিবিউন গ্ৰুপের অবসরপ্রাপ্ত কার্টুনিস্ট চম্পক বরবরাকে প্রনব বরুযা শিল্পী বঁটা প্রদান করা হয়।এই বঁটাতে আছে একটি স্মারক,একটি প্রশস্তি পত্র এবং নগদ ২৫হাজার টাকা।এই বঁটা প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ গ্ৰহন করে দেশের যশস্বী চিত্রশিল্পী যতীন দাসে উত্তর পূর্বাঞ্চলে রাষ্টীয় পর্যায়ের আর্ট গেলেরী থাকাটি প্রযোজন বলে উল্লেখ করে মূখ্যমন্ত্রী কে ব্যবস্থা গ্ৰহণের জন্য আহ্বান জানায়।প্রয়াত চিত্রশিল্পী প্রণব বরুযা কে প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন যে "প্রনব বরুযা বহুত ভদ্র এবং ভাল মানুষ ছিল।এই ধরনের মানুষ কমেই আছে।"প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী জীতেন হাজারিকায় অনুষ্টানে অংশ গ্ৰহন করে বলেন যে প্রনব বরুযা বম্বে উচ্চ শিক্ষা গ্ৰহন করেছিল। তিনি চিত্র শিল্পের জন্য বহু কাজ করেছে। মানুষের মধ্যএ চিত্রের উপরে জাগরণ সৃষ্টি করেছিল।চিত্র শিল্পী হাজারিকা সাথে আরও বলেন যে প্রণব বরুযা কল্লোল চিত্রাংকন বিদ্যালয়ের মাধ্যমে আসামের নব প্রজন্মকেচিত্র শিল্পের শিক্ষা দিয়েছিল।তাছাড়া নগাঁও বিভিন্ন স্থানে চিত্রাংকন বিদ্যালয় স্থাপন করে এই ধরনের শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।প্রনব বরুযা শিল্পী বঁটা গ্ৰহন করে চিত্র শিল্পী চম্পক বরবরায় বলেন যে প্রণব বরুয়ার মত ‌যশস্বী শিল্পীর নামে প্রদান করা এই বঁটা গ্ৰহন করে আমার গৌরব অনুভব করছে। এবং নির্বাচনী সমিতি কে ধন্যবাদ জানাই।প্রনব বরুযা চিত্র শিল্পের উন্নয়নের জন্য একটি স্বপ্ন দেখেছিল।আজ প্রণব বরুযা কলাক্ষেত্রে স্থাপনেরসাথে সাথে এই স্বপ্ন পূরন পূরন হলো।প্রনব বরুযা শিল্পী বঁটা সমিতির বর্তমানের সভাপতি তথা জ্যেষ্ট সাংবাদিক মনোজ কুমার গোস্বামী য়ে বলেন যে -আমি বাইশ তেইশ বছর ধরে এই অনুষ্ঠানের প্রথম সম্পাদক -পরে সভাপতি হয়ে থাকলাম যদিও আমি আজ হতে সেই পদটি ছেড়েআন্যদের মধ্যে দিতে চাচ্ছি। সরকারে যদি সহযোগ করে এই বঁটাটি অল্প বিস্তার করে আমি ভাবি তখনই অধিক গুরুত্ব পাবে।আমি মূখ্যমন্ত্রীকে উল্লেখ করে দিয়েছিকথাটি অল্প গুরুত্ব দিবে কারন আসামে চিত্রকলার উপরে দেওয়া এইটি একমাত্র বঁটা, গতিকে সরকারে যাতে বঁটাটির একটি বিস্তার রূপ দেয়। অনুষ্ঠানে আদরনি ভাষন প্রদান করে চিত্র শিল্পী প্রণব বরুযার কন্যা সুলক্ষণা বরুযা ভূঁঞা বলেন যে এই কলাক্ষেত্র নির্মানে ক্ষেত্রে রাজ্যসরকারে ভূমি প্রদানের সাথে বিধায়ক রূপক শর্মার বিধায়ক পুঁজি হতে ১০ লাখ টাকা প্রদান করেছে।বাকী প্রয়োজনীয অর্থ পরিযালের তরফ হতে ব্যয় করা হয়েছে।আন্যদিকে প্রণব বরুযার স্মৃতিতে নগাঁও আবর্ত ভবনের সম্মূখে দেরকোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষে নির্মাণ করে বের করা প্রণব বরুযা কলাক্ষেত্র আজ আসামের মুখ্যমন্ত্রী ড:হিমন্ত বিশ্ব শর্মাই উদ্ধোধন করে। কলাক্ষেত্র উদ্বোধন করে দেওয়া ভাষণে ড:,হিমন্ত বিশ্ব শর্মাই বলেন যে "রং তুলিকার কল্পনাকে বাস্তব রূপ দেওয়া যশস্বী চিত্রশিল্পী প্রণব বরুযার স্মৃতিতে নির্মিত এই কলাক্ষেত্র উদ্বোধন করতে পেরে আমি সত্যেই আনন্দিত হয়েছি। আজকের এই। অনুষ্ঠানে আমরা‌সকলে  প্রযাত শিল্পীজনের প্রতি আবার সকলে শ্রদ্ধা ঞ্জলী জানিয়েছি।"প্রনব বরুযা ভারতীয় পরম্পরা এবং ঐতিহ্যরে প্রৃথিত এক অধুনিক মনের ব্যক্তই ছিল বলে মন্তব্য করে মূখ্যমন্ত্রী ড :শর্মায় বলেন যে "-প্রণব বরুযার সৃষ্টিতে প্রতিফলিত হয়েছিল আধুনিক মূল্যবোধ এবং পরম্পরাগত সংবেদনশীলতা। তৈলচিত্রের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অন্যতম শ্রেষ্ট অসমীয়া চিত্র শিল্পী। মূখ্যমন্ত্রীআর ও বলেন যে তিনি প্রায় এককভাবে সমগ্ৰ নগাঁও জেলাটিতে কলাত্মক পরিবেশ গঢ়ে তুলেছিল। সাধারণ লোকদের আধুনিক চিত্রকলার সহিত তিনি পরিচিত করেছিল। উল্লেখ্য যে এই অনুষ্ঠানে বিধায়ক রূপক শর্মা, ছাড়াও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি রা উপস্থিত ‌ছিল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.