অসমিয়া দের ভোগের উৎসব বাঙালি দের পৌষ পিঠের
*জানুয়ারি ১৩,২০২৪*
*শ্রীহট্র সংস্কৃতি ও বাঙালিদের*
*পৌষ পার্বণ...*
*নয়া ঠাহর প্রতিবেদন:*
শ্রীহট্র সংস্কৃতি সিলেটিদের পরম্পরাগত উৎসব পৌষ পার্বণ অর্থাৎ মকর সংক্রান্তি বলে কথা। লক্ষণীয় হচ্ছে পিঠে,চিঁড়ে ও বিরণ চাউলের চুঙ্গাপিঠে,দুধপুলি,পাঠিসাফটা,চাউলের সিদ্ধপিঠে তৈরি। সিলেট -বাঙ্গালি পৌষের উৎসবে খাওয়া দাওয়া নিয়ে জমিয়ে উঠে আসর। মা-ঠাকুমা ও দাদা - দিদাদের উৎসাহ আনন্দের নিয়ে নানান ধরণের পিঠা তৈরিতে মেতে থাকেন নাতি-নাত্নি,ছেলে পুলে সহ সকলে । এই পার্বণে গ্রাম বাড়ি,শহরে নগরে যারা আছেন তারাও ঐ দিন পালন করে বিপুল উৎসাহ নিয়ে ।সেই দিনে সংক্রান্তি উপলক্ষে বাড়িতে বাড়িতে পূজার্চনা আদি সহ নগর কীর্তন চলে। এই রেওয়াজ ঐ দিনটিতে সর্বত্র পালিত । প্রবাসী সিলেটিদের ও বাঙালিদের বছরকার ছুটিতে আনন্দ উপভোগ করতে বাড়িঘরে ছুটে আসেন। পৌষের সিলেটি সংস্কৃতি ও বাঙালি পৌষ পার্বণ রক্ষায় দেশে বিদেশে প্রবাসীদের উৎসবটি পালিত হচ্ছে। বন্ধুবান্ধব,পাড়া প্রতিবেশি সহ আত্মীয়স্বজন নিয়ে বুড়িঘর পুড়া প্রচলিত আদি প্রথা হিসেবে করা হচ্ছে । এই ঘর তৈরী করা জন্য ধানের নেড়া ও বাঁশ দিয়ে বুড়ির ঘর তৈরি করা হয়। সংক্রান্তি দিনে প্রাতঃকালীন স্থান করেই এই বুড়ির ঘর পুড়িয়ে আগুন তাপানো হয়। পরে তিলের নাড়ু,তীলুয়া,নকুল ও বাতাসা, সহ নানান রকমের পিটা আদি খাওয়া হয়। এটা শুধু সেলেটি সংস্কৃতি নয় ও বাঙালিদের এই পার্বণ । বিভিন্ন গ্রামে শহরে সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে বসে মেলা ও। অন্যদিকে এই উৎসব বাঙ্গালীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় তা ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার অসমীয়া কৃষ্টি সংস্কৃতির প্রধান উৎসব বলে বিবেচিত করা হয়। অর্থাৎ এই উৎসবকে অসমীয়া কৃষ্টি সংস্কৃতিতে ভোগালী উৎসব বলা হয়ে থাকে। আর এই উৎসব হলো যেমন বাঙালি তেমনি অসমিয়াদের ভোগের
উৎসব।
পৌষ পার্বণ বা মকর সংক্রান্তি মানে নূতন ধান কাটার উৎসব।প্রতি বছরের মত পৌষ সংক্রান্তি পালন করা হচ্ছে ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি বাঙালি,অসমিয়া,ও শ্রীহট্রের সিলেটিদের মধ্যে পথা অনুযায়ী।
কোন মন্তব্য নেই