Header Ads

অসময়ে বৃষ্টি মুর্শিদাবাদ জেলার মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়া র আশঙ্খা কৃষকদের

_অকাল বৃষ্টিতে ক্ষতির ভয় সষে, মরসুমি আনাজের_ 
 মৌমিতা দাস ,কান্দি ,মুর্শিদাবাদ
খেতে পড়ে রয়েছে কাটা আমন ধান। বিঘা জমিতে ফুটেছে হলুদ সষে ফুল। এ দিকে শীতের অকালবৃষ্টিতে জল জমেছে অপেক্ষাকৃত নিচু খেতে। চাষিরা সষে, মুসুর, আলু সহ অন্য রবি ফসলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। ক্ষতির ভয় মরসুমি আনাজেও। 
     মিগজাউমের প্রভাব গত কয়েক দিন ধরেই আকাশ ছিল মেঘলা। মঙ্গলবার মাঝে দু -এক ফোঁটা বৃষ্টিও পড়েছিল। বুধবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার অধিকাংশ জায়গায় সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। বুধবার সন্ধ্যায় পর থেকে রাতভর মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। বৃহস্পতিবার ও দিনভর মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে নাগাড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। চাষিদের আশঙ্কা, এতে সষে ফুল ঝরে যেতে পারে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন আবহাওয়া সষের মিলডিউ, ডাউনি মিলডিউ, শেকড় পচা রোগ সহ বিভিন্ন ধরনের রোগ- পোকার আক্রমণ বাড়তে পারে। আগাম চাষ করা সষের দানার ক্ষতির আশঙ্কাও করছেন চাষিরা। 
    অন্য দিকে, মুসুরের খেতে ফুল আসতে শুরু করেছে। নওদার চাষি দিবাকর মন্ডল বলেছেন, "অকালবৃষ্টিতে আলু, , পেঁয়াজ, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে। রোগ -পোকার আক্রমণ ফলন কমে যেতে পারে। " এ দিকে চাষিদের দাবি, বৃষ্টি পড়ে বাঁধাকপি ফাটতে শুরু করবে। ফুলকপি, লঙ্কা, বেগুন সহ অন্য আনাজে রোগ - পোকার আক্রমণ বাড়বে। পালংশাক, মুলো, ধনেপাতা সহ অন্য শাক জাতীয় আনাজেও ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। 
      মুর্শিদাবাদে হরিহরপাড়ার আনাজ চাষি সাদেক শেখ বলেন, " বৃষ্টির ফলে খেতে ধসা লাগার প্রবণতা বাড়বে। ছত্রাকজনিত অসুখ, রোগ - পোকার আক্রমণ বাড়বে। " সারগাছি  ধান্যগঙ্গা  কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্যানপালন দফতরের বষয়বস্ত বিশেষজ্ঞ চন্দা সাহা পারিয়াও একই আশঙ্কা করে বলেন,  " আবহাওয়ার উন্নতি হলে সুপারিশ মতো কীটনাশক ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে। "আলু পেঁয়াজ সহ অন্যান্য ফসলের খেতে যাতে জল না জমে থাকা সে দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। 
 জেলা  উপ কৃষি মোহনলাল কুমার বলেন। " অধিকাংশ চাষির ঘরে আমন ধান উঠে গিয়েছে। খেতে কাটা ধান পড়ে থাকলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। দফতরের তরফে চাষিদের সচেতন করা হচ্ছে।" তবে অধিকাংশ আমন ধান ঘরে উঠে যাওয়া কিছুটা হলেও স্বস্তিতে চাষিদের একাংশ। বেশ কিছু জায়গায় আমন ধান কাটা- মাড়াই চলছিল। অধিকাংশ জায়গায় ধান গুদামজাত করা হলেও বৃষ্টির কারণে অনেক চাষি ধান ঢাকা দিয়ে রেখেছেন। অনেক খেতেই শুকোতে দেওয়া ধান ছাড়িয়ে রয়েছে। ওই সমস্ত ধান অঙ্কুর বার  হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চাষিরা। তবে অকালবৃষ্টিতে মরসুম শুরুর মুখেই ধাক্কা খেলান ইটভাটা মালিকেরা। মোশারফ হোসেন নামে নওদার এক  ইটভাটা মালিক বলেন, "বৃষ্টির ফলে ইট পাড়ার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে কিছু ইটও নষ্ট হয়েছে।"

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.