Header Ads

সর্বত্র কোণঠাসা বাঙালি দের সমস্যা নিয়ে ঐক্য সম্মেলন কলকাতায়

সর্বভারতীয় বাংলা ভাষা মঞ্চের উদ্যোগে সাফল্যের সঙ্গে শেষহল  ভারতের বাংলা ভাষীদের ঐক্য  সম্মেলন -২০২২                                                                                নিজস্ব সংবাদদাতা। গত ১৯শে ও ২০শে নভেম্বর ২২,  সর্বভারতীয় বাংলা ভাষা মঞ্চের উদ্যোগে কলকাতার শিয়াল দার  কৃষ্ণপদ ঘোষ স্মারক ভবনে আয়োজিত ভারতের বাংলা ভাষীদের দ্বিতীয় মহা সম্মেলন শেষহল। আজকের সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত আইনজীবী ও রাজ্য সভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি প্রথমে নীতীশ বিশ্বাস লিখিত “ভারতে বাঙালি উদ্বাস্তু” গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন।  একে ক্ষেত্র গবেষণা মূলক একটি মূল্যবান গ্রন্থ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি তার উদ্বোধনী ভাষণে  আহবান জানান “সাহস আর আত্ম প্রত্যয়ের সঙ্গে জীবন ও জীবিকার সর্ব ক্ষেত্রে বাংলা ব্যবহারের। তিনি বলেন আমাদের সব বাঙালি সাংসদদের উচিত  সংসদের ভাষণ বাংলায়  রাখা।                                                                                                                                                       সারা দিন ব্যাপী এই জাতীয় পর্যায়ের সমাবেশের সূচণায়  মানভম আন্দোলনের তাৎপর্য প্রসঙ্গে   ভাষণ  দেন প্রবীণ ভাষা  সৈনিক  কাজল সেন আর মানভূম ভাষা আন্দোলনের  গান করেন টুসু শিল্পী উমা সরকার ।                                                                                                নানা রাজ্যের প্রতিনিধিরা উপস্থিত করেন বাংলাভাষী হিসেবে তাদের জীবনের বেদনা ও বিপর্যয়ের নানা তথ্য চিত্র । যাদের মধ্যে ছিলেন শিলচরের নাগরিক অধিকারের নেতা সাধন পুরাকায়স্থ, চন্দন মজুমদার-(ডিব্রুগড়), হোজাই-এর  বিজয় চক্রবর্তী এবং শিলং-এর ড. ধনঞ্জয় চক্রবর্তী । উত্তরাখন্ডের ডা সুনীল হালদার, শংকর চক্রবর্তী ও পন্থনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড.পি জি বিশ্বাস ।  বিহারের প্রতিনিধি ডা.অলোক রায় ও সুমিত বসু । ওড়িশার প্রতিনিধি সম্পাদক ও শিক্ষক বঙ্কিমচন্দ্র মণ্ডল বহু তথ্যে তার বক্তব্যে বাঙালির নিশ্চিহ্ন  হবার ক্রম ধারার বর্ণনা করেন। ঝাড়খণ্ডের মুখ্য বক্তা ছিলেন বিদ্রোহ মিত্র এছাড়া বলেন উমাপদ বটব্যাল। ত্রিপুরারপ্রবীণ  লেখক নকুল দাস, গ্রেটার ত্রিপুরার চক্রান্ত তুলে ধরেন।  আগত প্রতিনিধিদের   স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন এউ সি আর সি-র  সভাপতি জীবন রঞ্জন ভট্টাচার্য ।  কনভেনশনের আহবায়ক নীতীশ বিশ্বাস উত্থাপিত একটি সংক্ষিপ্ত প্রস্তাব সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত হয়। যেখানে রাজ্যে রাজ্যে সংগঠন  গড়ে তোলা ও সেখানকার অন্যান্য বাংলা ভাষী  সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয়  করে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। সারা ভারতে ভ্রাম্যমাণ গবেষক সুনীল হালদারের প্রস্তাব অনুসারে ভাষা মঞ্চের নেতৃত্ব দিল্লি অভিযান করার উদ্দেশ্যে রাজ্যে রাজ্যে দ্রুত সং হতি গোড়েতোলার কথাও এ প্রস্তাবে আছে। 
অনুষ্ঠানে একটি মতুয়া সংগীত পরিবেষণ করেন অধ্যাপিকা পূষ্প বৈরাগ্য। সভাপরিচালনা করেন অধ্যাপক জ্যোতির্ভূষণ দত্ত, জাতীয় শিক্ষক সূর্যাংশু ভট্টাচার্য, ড.সুজিতকুমার  বড়ুয়া, প্রাক্তন কন্ট্রোলার ,কলি.বিশ্ববিদ্যালয়। ৩২০ শব্দ 
 আগের দিন ছিলো প্রধানত সাংগঠনিক আলোচনা ও সাম্প্রতিক কেন্দ্রীয় সরকারের  হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কলকাতার বুদ্ধিজীবীদের প্রতিবাদী পদযাত্রা । ভাষা মঞ্চের নেতৃত্বে  কলকাতার বাংলাভাষী নানা সংঘের সদস্যরা    বিদ্যাসাগর মূর্তি থেকে শুরুকরে  এই ভয়ংকর  আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানিয়ে  শ্লোগান তোলেন।    সারা ভারতের  বাংলা ভাষা সমিতি সমূহেরর নেতৃত্বের উপস্থিতি তে   কলেজ স্কোয়ার অঞ্চল পরিক্রমার সময়    ঐতিহাসিক  কলিকাতা  ইউনিভার্সিটি ইনিস্টিটিউটের সামনে পথ সভায়  বক্তব্য রাখেন মঞ্চের সম্পাদক নীতীশ বিশ্বাস। তিনি বলেন,"সরকারের মদতে হিন্দিভাষা দেশের ২১টি ভাষার উপর মারণ আগ্রাসন নামিয়ে আনছে  সব মাতৃভাষা প্রেমী ভারত বাসীর চাই সমবেত প্রতিরোধ। কলেজ স্ট্রিট পাড়া পরিক্রমা শোভাযাত্রা শেষে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয়  সংহতি সংসদ হলে আগত বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিদের স্বাগত  অভিনন্দন জানানো হয়।   এই  অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন অমর বিশ্বাস, সমীর বরণ  দাস ও ডা.দুলাল কৃষ্ণ দাস ।সভা সঞ্চালনা করেন যূথিকা পান্ডে, ।  উদ্বোধন করেন প্রবীণ  জাতীয় শিক্ষক সূর্যাশু ভট্টাচার্য । উপস্থিত ছিলেন বহু কবিশিল্পী অ সাহিত্যিকেরা। ১৩৬ শব্দ ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.