Header Ads

মাত্র এক জন শিক্ষক ১৬৮জন ছাত্রকে পড়াচ্ছেন

মাত্র একজন শিক্ষক ১৬৮ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পাঠদান করছেন।
পিন্টু রায়, শোনিতপুর 24 নভেম্বর: সবকা সাথ সবকা বিকাশ, ডিজিটাল ইন্ডিয়া, ভারতের সুদিন শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার সব সমাবেশ বা সভা-সমাবেশে একই সংলাপ বারবার করে আসছে। কিন্তু এসব সংলাপ সত্যিকার অর্থে সাধারণ মানুষের বাস্তব জীবনে বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, তা এই সরকার কিছুই জানে না। শোনিতপুর জেলার অন্তর্গত ঢেকিয়াজুলি ব্লকের মিসামারি এলাকায় অবস্থিত রিকামারির প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এর একটি জীবন্ত উদাহরণ দেখা গেছে। উল্লেখ্য, ঢেকিয়াজুলী অংশের রিকামারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৬৪ সালে স্থাপিত হলেও সেই দিন থেকে আজ পর্যন্ত উক্ত বিদ্যালয়টির কোন মেরামত করা হয়নি। যার কারণে বিদ্যালয়ের অবস্থার অবনতি হয়েছে। শুধু তাই নয়, সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, বর্তমানে উক্ত বিদ্যালয়ে ১৬৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে এবং এই বিদ্যালয়টি শুধুমাত্র পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত, তবে এখানে মাত্র একজন শিক্ষক আছেন, যার নাম ডেনিস সুরোজ, যিনি পাঠ দিচ্ছেন। একটু ভেবে দেখুন, এটাকে কি ডিজিটাল ইন্ডিয়া বলে? এর মানে কি সবকা সাথ সবকা বিকাশ ...? শিক্ষক ডেনিস যখন প্রথম শ্রেণিতে পাঠ দিচ্ছেন তখন শিক্ষক ছাড়া অন্য সমস্ত শ্রেণির ছাত্ররা কী করবে তা কল্পনা করুন। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে এখন পর্যন্ত উক্ত বিদ্যালয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে শিক্ষক না থাকলে শ্রেণিকক্ষে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে সময় লাগবে না।প্রাপ্ত তথ্যমতে, উক্ত বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীতে ২৩ জন, দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৪০ জন, তৃতীয় শ্রেণীতে ৩২ জন, চতুর্থ শ্রেণীতে ৩৫ জন এবং পঞ্চম শ্রেণীতে ৩৮ জনসহ সর্ব মোট ১৬৮ জন শিক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করছে। শুধুমাত্র একজন শিক্ষকের কাছ থেকে । শিক্ষক ডেনিস সুরুজের পক্ষ থেকে একাধিকবার জেলা শিক্ষা বিভাগকে উক্ত বিদ্যালয়টির সমস্ত অসুবিধার বিষয়ে বহু বার অবগত করা হয়েছে যদিও জেলা শিক্ষা বিভাগ থেকে উক্ত বিদ্যালয়টির পক্ষে কোনো গুরুত্ব দেয়নি। অবশেষে বিদ্যার্থীদের অভিভাবক রাজ্য সরকার এবং বিশেষ করে শিক্ষা বিভাগকে যথা সম্ভব উক্ত বিদ্যালয়টির সমস্ত অসুবিধা দূর করে বিদ্যার্থীদের ভবিষৎ উজ্জ্বল করতে সহযোগ করার অনুরোধ করেছে ।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.