Header Ads

গুয়াহাটির ,দূষিত ভরলু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না কৃত্রিম বন্যা রোধ করার ক্ষমতা আছে কি ?

অমল গুপ্ত,গুয়াহাটি: রাজ্যের শক্তিশালী   মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা   বৃষ্টির কাছে  আত্ম সমর্পণ করেছেন।সেই সঙ্গে গুয়াহাটি  মহানগরকে গলায় মালার মত জড়িয়ে থাকা ভরলু আর বাহিনী র কাছে ও আত্ম সমর্পণ করেছেন। অসমের ৪৪টি নদী দূষিত,আর  ভরলু শুধু দূষিত নয়   দুর্গন্ধ নদী।    গুয়াহাটি মহানগরের হাজার হাজার ড্রেন আরো ছোট বাহিনী  নালার ৩৯টি  নর্দমা সব ভরলুর  সঙ্গে মিলেছে,হাজার হাজার ছোট  বড়,দোকান ,হোটেল গরুর খাটাল সবের  বর্জ্য  এই ভরলুতে, বেআইনি ঘর বাড়ি হোটেল সব ভরলুর পাড় দখল করেছে।  মেঘালয়ের খাসিয়া হিলস থেকে  আসা ৬,২০ কিলোমিটারের এই নদী সঙ্গের বাহিনী নালা যদি  ড্রেজিং করে , বেআইনি ঘর বাড়ি হোটেল বিদ্যালিয় ভেঙে ফেলার ক্ষমতা দেখাতে পারেন সরকার তবে গুয়াহাটির কৃত্রিম  বানের  কবলে পড়বে না। সব  রাস্তা ড্রেন প্লাসটিকের  কবলে,  মহানগরবাসী সব প্লাস্টিক   ডাস্ট বিনে নয়, ফেলে, নর্দমা তে   ন্যূনতম নাগরিক  অধিকার পালন করে না।  ভরলু ,বাহিনী নদী ঠিক মত  জল ধারা   বিশাল ব্রহ্মপুত্র  নদে পড়তো ,বাধা না পেত তবে মহানগর কে বিশ্বের চোখে বানভাসি কলঙ্ক মাথা পেতে নিতে হত না। পলিউশিন কন্ট্রোল বোর্ড বলছে ভরলু র মত দূষিত দুর্গন্ধ নদী দেশে নেই।যা গুয়াহাটির অলংকার হতে পারতো।  একটু ভাবুন না ,৬কিলোমিটার ভরলুর পাড়   বেঁধে,   গাছ গাছড়া  লাগিয়ে  ,পরিষ্কার নদীতে  ছোট ছোট   রাবার বোট ব্যবহার করে  সিটি বাসের মত পরিবহন ব্যবস্থা করা যেত ! গুয়াহাটিকে দেশের অন্যতম শহর হিসাবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করা বিজেপি সরকার কি পারবে  এক সুন্দর ছবি তুলে ধরতে?না প্রতি বছর নিয়ম করে ভাসবে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.