গ্রীনফিল্ড এয়ারপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী র আস্বাস বিশ্বাস করা যায় না :বি ডি এফ
গ্রীনফিল্ড এয়ারপোর্ট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মৌখিক আশ্বাস বিশ্বাসযোগ্য নয় - বিডিএফ
নয়া ঠাহর,,শিলচর-কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশিত সমস্ত নিয়মনীতিকে অগ্রাহ্য করে গ্রীনফিল্ড বিমানবন্দর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে প্রথম জমি অধিগ্রহণ হবে তারপর প্রস্তাব যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যে বরাকের মানুষ ভরসা রাখতে পারছে না বলে মন্তব্য করল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
এক প্রেস বার্তায় ফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে আমরা ধরেও নেই যে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রীর সাথে তাদের এই ব্যাপারে মৌখিক আলাপ হয়েছে তাও পরবর্তীতে এই প্রকল্প যে অনুমোদিত হবে তার নিশ্চয়তা কোথায় ? কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রীর সাংসদ সুস্মিতা দেবকে দেওয়া চিঠিতে এই আলোচনারও প্রসঙ্গ কিন্তু একবারও উল্লেখিত হয়নি। এছাড়া বর্তমান বিমানবন্দর থেকে এই প্রস্তাবিত বিমানবন্দরের দূরত্ব ২০ কিমি এরও কম এবং এটাও কেন্দ্রীয় নিয়মনীতির পরিপন্থী। এনভিরণমেন্ট প্রটেকশন এক্ট ,১৯৮৬ অনুযায়ী এই ধরণের প্রস্তাবের ক্ষেত্রে বন ,পরিবেশ,ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের সম্মতি একান্ত জরুরী। অনেক প্রকল্প অনুমোদিত হবার পরও এইসব কারণে বাতিল হয়েছে এমন ভুরিভুরি উদাহরণ রয়েছে।
প্রদীপ বাবু বলেন তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাস বিশ্বাসযোগ্য নয়। তিনি আরো বলেন যে বরাকের ক্ষেত্রে এর আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েও তিনি বাস্তবায়ন করেননি। বরাকের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর সব সরকারি পদ স্থানীয় প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে তিনি আইনি অসুবিধার দোহাই দিয়ে তা বাস্তবায়িত করেননি। একই ভাবে পাঁচ বছর আগে রাতাবাড়িতে মেডিক্যাল কলেজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আজও এটির বাস্তবায়ন করেননি এই মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরো বলেন যে যদিও বিজেপি দলের আভ্যন্তরীন ব্যাপার নিয়ে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই তবু প্রসঙ্গক্রমে মনে করিয়ে দিতে চাই যে গত নির্বাচনের পূর্বে এই মুখ্যমন্ত্রীই আসাম বিজেপির জন্মদাতা কবীন্দ্র পুরকায়স্থ এর বাড়িতে গিয়ে তার ছেলের প্রার্থীত্বের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু আমরা জানি বাস্তবে তাও পালিত হয়নি।
তাই আমরা দাবি করছি গ্রীনফিল্ড বিমানবন্দরের ব্যাপারে পরবর্তী কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক এবং পরিবেশ মন্ত্রকের লিখিত অনুমোদন জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে। নতুবা এই ইস্যুতে গনতান্ত্রিক আন্দোলন জারি থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে ও জয়দীপ ভট্টাচার্য।
কোন মন্তব্য নেই