দামু কাকারা,গ্রাম বাংলাতে,বিনা পয়সার পালা করেন, আর দারিদ্রে ডুবে থাকেন
সায়ন গুপ্ত ,আন্দুলিয়া, কান্দি : আমাদের দামু কাকা। মুর্শিদাবাদের অজপাড়া গ্রাম এর গোয়ালা। সারাদিনে কেজি চারেক ছানা বিক্রি করে যা ইনকাম হয় তাই দিয়ে সংসার চলে দামু কাকার। দুটো গরু আর একটা মোষ চায়ের দোকান মিষ্টির দোকানে দুধ দিয়ে কিছু যা ইনকাম হয় বেশ চলে যায় তাই দিয়েই।ওয়াশিং মেশিন কিংবা ইন্ডাকশন ওভেন বাড়িতে কোন দিন ঢুকবে না দামু কাকার।খিড়কি থেকে সিংহ দুয়ার এতটাই পৃথিবী দামু কাকাদের। দামু কাকার দেশের রাষ্ট্রপ্রতির নাম জিজ্ঞেস করলে হলদে দাঁত বের করে হাসে।
এ তো গেল একটা সংসারী মানুষের কথা। গ্রাম বাংলার গ্রামের শেষ প্রান্তে যে গোয়ালা পাড়া সেই পাড়ার কোন এক গোয়ালার কথা।
দামু কাকা যাত্রা করতে ভালোবাসে, থিয়েটার করা থুড়ি থিয়েটার দেখাটাও কোনদিন দামু কাকার ভাগ্যে জোটেনি। জ্বলছে চিতা বাজছে সানাই, শ্রীকৃষ্ণের বাঁশির বিধবার সুরে, বেকারের জ্বালা ;ডঃ তাপস কুমার ,মহাদেব পাল ,অগ্রদূতের লেখা যাত্রাপালা গুলোতে অভিনয় করেছে দামু কাকা।
মুখে কৃষ্ণ পাউডার ঘষে, চৈকিকে মঞ্চ করে যে সংস্কৃতি গ্রাম বাংলার কোথাও কোথাও এখনও শিব রাত্রির শেষ সলতে হয়ে জ্বলছে সেই সংস্কৃতির একজন প্রতিনিধি দামু কাকা। দামু কাকা যাত্রা পালার মঞ্চে নিজের অজান্তেই হয়ে গেছে থিয়েটার আর্টিস্ট।
এভাবেই যাত্রা আলকাপ কবিগান সিনেমা নাটক থিয়েটার সবকিছু এক বিন্দুতে মিলে যায়। দাদুর আমলের মাটির গাঁথনির ঘরের নিচে বসে যারা এখনও নিজের উদ্যোগে পারদর্শিতায় যাত্রাকে চর্চা করে চলেছে তাদের সৈনিক সংগঠক দামু। দামু কাকারা বিপ্লব করছে নিজেদের অজান্তেই যা রাষ্ট্রের প্যারামিটার কোনদিন বুঝিয়ে দেবে না।
কোন মন্তব্য নেই