Header Ads

আন্দুলিয়া গ্রামের গাঞ্জাখোর ডাবু একজন বড় দার্শনিক

 সায়ন গুপ্ত  , আন্দুলিয়া , কান্দি :আমাদের গ্রামের ডাবু গাঁজাল।অদ্ভুদ এক চরিত্র। প্রতিটা গ্রামে যেমন একটা মায়ের থান থাকে, পীর বাবার দরগা থাকে, খিরকি পুকুর  থাকে।ঠিক সেরকম সব কিছুই আছে আমাদের গ্রামে, তার সাথে আরও আছে ডাবু গাঁজাল,কাদা গোঁসাই, চাঁদু মা,ইদ্রিস চাচা।

এরা সব অদ্ভুদ চরিত্র। প্রথমেই বলি ডাবু গাঁজালের কথা।ওর ছোট একটা ঘাট জাল আছে সেই জাল দিয়ে ক্যাচক্যাছে চিমরি চামোট মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে ।বাড়ির ফেরার সময় গাঁজার পুরিয়া কিনে এনে মায়ের থানে বসে কয়েক কলকে গাঁজা ফুঁকে গান ধরে অদ্ভুদ সব
"ঐরে উড়ি গ্যালো তেতুঁল বিচি
চাঁদের গতরে লাইলগো টুকা 
সূর্য আমার বাপ
আমি তাইর চাঁদপানা খুঁকা "

"চোখ বুঁইজে এখুনি বিন্দাবন যাবু
আটকে দ্যাখা দেখি
আমি হলাম পেসেনজার
চোখ পেলেন গাড়ি"

ডাবু কাকার একটা সাইকেল আছে। অর্ধেক সময় সাইকেলের চেন পড়ে থাকে। ওই অবস্থায় পায়ে করে সাইকেল ঠেলতে ঠেলতে আছাড় খেতে খেতে বাড়ি ফেরে ডাবু কা।

 ডাবু কাকার অদ্ভুদ সব গাঁজার প্রলাপ গানের সুর,কথা    তার সাথে ডাবুর বুকে কফ বসা কাঠ কাশি যেন একটাই আলদায় ঘরানা তৈরি করে। হয়তো সেটা গান নয় কিংবা গানের মতো কিংবা গানের থেকে আদিম নয়তো বা প্রাচীন কিংবা মন্ত্র... হ্যাঁ মন্ত্র ,গ্রহ নক্ষত্রদের মত মানুষ হয়েও নিজের  কক্ষপথে চলার মন্ত্র। প্রতিটা গ্রহ-নক্ষত্রর সৃষ্টিতে যে যে প্রধান উপকরন, সেই  উপকরণ প্রতিটা মানুষের মধ্যে আছে প্রতিটা মানুষের মধ্যে একটা গ্রহ নক্ষত্র আছে। গ্রহের আলাদা আলাদা কক্ষপথ আছে ।ঠিক সেরকম প্রতিটা মানুষের আলাদা আলাদা কক্ষপথ 
কোন গ্রহ যেমন কোন গ্রহের সাথে সম্পূর্ন সাদৃশ্য হয়না । ঠিক সে রকম প্রতিটা মানুষের আলাদা কক্ষপথ আলাদা পরিধিচারণ প্রতিটা মানুষ আলাদা। স্বতন্ত্রতা এ জগতের মূল নিয়ম।

কাদা গোসাই চাদু মা ইদ্রিস চাচা এদেরও আলাদা আলাদা গল্প আছে যদি শুনতে চাও শোনাতে হবেই ।আজকে ডাবু কাকার গল্পটা থাক। আমাদের গ্রামের উৎসুবে ডাবু কাকার ছবিটাই থাক।

আর এই লেখাটার নামকরণ হোক "সব মানুষই দার্শনিক"

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.