Header Ads

কালাইনে সম্পন্ন হলো আর এস এসের পশ্চিম কাছাড় জেলার শিক্ষাবর্গ

কালাইনে সম্পন্ন হলো আরএসএসের পশ্চিম কাছাড় জেলার প্রাথমিক শিক্ষাবর্গ

বি.এম.শুক্লবৈদ্য, বিহাড়া, ২৭ মার্চঃ ভারতবর্ষের গৌরবময় ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ সে সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মকে ভালো করে অধ্যায়ন করার প্রয়োজন রয়েছে। এক সময় ভারতবর্ষ বিশ্বগুরুর আসনে অধিষ্ঠিত ছিলো। সভ্যতা সংস্কৃতি শিক্ষা সবকিছুতে এদেশের গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু একাংশ স্বার্থান্বেষীদের জন্য ভারত মাতাকে নিপীড়িতা ও লাঞ্চিতা হতে হয়েছে। টুকরো টুকরো করা হয়েছে দেশমাতাকে। এখনো কিছু সংখ্যক ধান্দাবাজ লোকের জন্য বিভিন্ন সময়ে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন  হচ্ছে। ফলে ভারতের হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনতে সকলকে একজোট হয়ে দেশমাতার হিতে কাজ করতে হবে। রবিবার বিকেলে কালাইন সরস্বতী বিদ্যানিকেতনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের পশ্চিম কাছাড় জেলা আয়োজিত সাত দিবসীয় প্রাথমিক শিক্ষাবর্গের দীক্ষান্ত সমারোপ অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেন সংগঠনের দক্ষিণ আসাম প্রান্ত বৈদ্ধিক প্রমুখ সুব্রত দাস। ভারতমাতা, সংঘ প্রতিষ্ঠাতা ডঃ কেশব বলিরাম হেডগেওর ও দ্বিতীয় সরসংঘচালক মাধব সদাশিব গোলওয়ালকরের প্রতিকৃতির সামনে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে দীক্ষান্ত সমারোপ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রান্ত বৈদ্ধিক প্রমুখ সুব্রত দাস, জেলা কার্যবাহ অভিজিৎ দাস ও বর্গের কার্যবাহ হরিশ চন্দ্র বৈষ্ণব। দীক্ষান্ত সমারোপ অনুষ্ঠানে সুব্রত দাস আরও বলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বিশ্বের সর্ববৃহৎ সেচ্ছাসেবী সংগঠন। এর কাজ শুধু ভারতবর্ষেই সীমাবদ্ধ নেই। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘের কাজ রয়েছে। রাষ্ট্রীয় স্বংয়সেবক সংঘ বা আরএসএসকে সকলেই চেনেন। যাহারা এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বা সংগঠনের হয়ে কাজ করছেন তারা ভাগ্যবান বলে উল্লেখ করেন তিনি। ১৯২৫ সালের বিজয়া দশমীর শুভদিনে ডঃ কেশব বলিরাম হেডগেওরের হাত ধরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের যাত্রা শুরু হয়েছিল। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে কয়েক লক্ষ স্বয়ংসেবক রয়েছেন। জন্ম লগ্ন থেকে দেশের হিতার্থে কাজ করে আসছে আরএসএস। দেশমাতাকে ফের বিশ্বগুরুর আসনে অধিষ্ঠিত করতে সকলকে একজোট হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। সাত দিবসীয় শিক্ষাবর্গে শিক্ষার্থীরা যাহা প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছেন তার উপযুক্ত ব্যবহার করার আহ্বান জানান প্রান্ত বৈদ্ধিক প্রমুখ সুব্রত দাস। ওই শিবিরে পশ্চিম কাছাড় জেলার গুমড়া, বিহাড়া, কাটিগড়া ও বড়খলা খন্ড সহ কালাইন নগরের বিভিন্ন এলাকার ৪১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। এতে বিভিন্ন ভাষাভাষী ও সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা ছিলেন। ওদের প্রশিক্ষণ দিতে ১০ জন শিক্ষক ও ১৩ জন প্রবন্ধক ও বর্গে উপস্থিত ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.