মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি র রেশম শিল্প আজ বাজার পাচ্ছে না
অমল গুপ্ত ,বহরমপুর :এক দিন বাংলা বিহারের রাজধানী মুর্শিদাবাদ শিল্প অর্থনীতিতে দেশকে টেক্কা দিত ,সিল্ক রেশম, কাঁসা,হাতির দাঁতের গহনা ,শোলা প্রভৃতি র জন্যে বিখ্যাত ছিল।আর মিষ্টি ছানা বড়া ও বিখ্যাত ,এখন প্রায় সবই আছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে।আর সেই সোনার দিন নেই।এই জেলার কান্দি মহকুমা মুড়ি ,ছানা অঢেল দুধ ছাড়াও খড়গ্রাম অঞ্চলের কান্দুরি গ্রামের প্রায় 500 প্রান্তিক হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্রমজীবী মানুষ তাদের বাড়িতেই পলু পোকা চাষ করে ডিম ফুটিয়ে বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে সিল্কের সুতো তৈরি করে প্রধানত রাঘুনাথগঞ্জের মির্জাপুরে বড় ব্যবসায়ীদের কাছে রপ্তানি করেন। বহু কষ্টকর এই সুতো তৈরির উচিত মূল্য পায় না।বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন। রেশম শিল্পের মূল উপকরণ হচ্ছে পলু পোকা যা বহু যত্নের সঙ্গে প্রতিপালন করতে হয়। মির্জাপুরে বৃহৎ পুঁজিপতি শ্রেণীর কিছু বড় ব্যবসায়ী গরিব মানুষের কাছ থেকে এই কাঁচা মাল কিনে বেনারস , গুজরাট ,কর্ণাটক প্রভৃতি রাজ্যে পাঠায় মুনাফা অর্জন করে।আর দিনরাত পরিশ্রম করে সিল্কের গুটি থেকে সুতো তৈরি করে ও প্রায় উপসী জীবন যাপন করতে বাধ্য হয় কান্দির খড়গ্রাম অঞ্চলের মানুষগুলোকে।অনেক কষ্টে ধরে রেখেছে এই ব্যবসাকে। না কেন্দ্রীয় সরকার না পশ্চিম বঙ্গ সরকার কারো কোনো মাথা ব্যাথা নেই। দিল্লির কোনো অভিজাত মহলে সিল্ক নিয়ে আলোচনা হলে সিল্কের কাপড় উপহার হিসেবে দেশ বিদেশে পাঠানোর প্রসঙ্গ উঠলেই মুর্শিদাবাদ জেলার মির্জাপুরের সিল্কের কথা বলা হয়। একচেটিয়া মুষ্টিমেয় বড় বড় ব্যবসায়ী মুনাফা লুটে থাকে আর অন্ধকারের থেকে যান কান্দুরি গ্রামের হতভাগ্য গরিব মানুষ গুলো। যারা দেশ বিদেশে মুর্শিদাবাদ জেলার মুখ উজ্জল করছে। দেশের মধ্যে সম্ভবত এক মাত্র মহকুমা শহর কান্দি তে রেল স্টেশন নেই। সদর বহরমপুর এর সঙ্গে যোগাযোগ থাকা এক মাত্র রণ গ্রাম সেতু 6,7 বছর থেকে ভেঙে পড়ে আছে। যাত্রী সাধারণের অশেষ দুর্গতি। কান্দির উৎপাদিত কোনো সামগ্রী বাইরে যেতে পারছে না। তাই কান্দির নিজস্ব উৎপাদিত ছানা, মুড়ি, অঢেল সবুজ শাক সবজি উৎপাদন করে কৃষক রা মার খাচ্ছে। পলু পোকা উৎপাদন করেও মার খাচ্ছে খড়গ্রাম অঞ্চলের গরিব মানুষ গুলো। তাদের জীবন জীবিকা নিয়ে ভাবনার কেউ নেই। সরকার সে তো বহু দূরে। (সায়ন এর সৌ জন্য্যে প্রাপ্ত তাাালিিকাা)
কোন মন্তব্য নেই