Header Ads

রাজা খুশি হবেন তাই যত পারো প্রদীপ দত্ত রায় কে আক্রমণ করে ক্ষত বিক্ষত কর

অমল গুপ্ত,গুয়াহাটি: রাজা খুশি হবেন যত  পারো প্রদীপ দত্ত রায় কে আক্রমণ করে ক্ষত  বিক্ষত কর। রাজাকে খুশি করতে বরাক ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার ছোট বড়  সব বিজেপি নেতা    একাংশ পেড নিউজ  চ্যানেলে লাগাতার  আপত্তিকর ,  মন্তব্য করে যাচ্ছেন।  লামডিঙের বিজেপি বিধায়ক   শিবু  মিশ্র  প্রদীপ  দত্ত রায়ের ডি এন এ টেস্ট করার দাবি জানালেন,হজাই বিজেপি বিধায়ক রাম কৃষ্ণ ঘোষ তো বরাক উপত্যকা কে ছেঁটে ফেলতে   চাইলেন।  কংগ্রেস এর প্রাক্তন মন্ত্রী নীল মনি সেন   ডে কা তো প্রদীপ দত্ত কে রাস্তার কুকুরের সঙ্গে তুলনা করলেন।এর আগে অসম সাহিত্য  সভার প্রাক্তন সভাপতি বরাক কে কেটে বাদ দিতে চেয়েছেন।একজন তো বরাককে ক্যান্সার এর সঙ্গে তুলনা  করলেন। বরাকের বাংলা সংবাদ পত্র গুলো তো   সরকার বিজ্ঞাপন বন্ধ  করে দেবে এই ভয়ে কাঁটা,  প্রদীপ কে  জোরালো ভাবে সমর্থন করছে  না। এটাই  বাস্তব।   বরাকের 14 জন ( 11-1-2  )তরতাজা  যুবক  মায়ের বাংলা  ভাষা রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিলেন  তাদের আজ পর্য্যন্ত  মর্য্যাদা দিল  না সরকার। শিলচর স্টেশনেকে ভাষা শহীদ স্টেশন করা হল না। মাত্র 30 কিলোমিটার রাস্তা র জন্যে  শিলচর সৌরাষ্ট্র   সড়ক  সম্পূর্ণ হল না, এই রাস্তা   নিয়ে  কংগ্রেস বিস্তর রাজনীতি করলো।  পাঁচগ্রাম পেপার মিলকে রুগ্ন দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হল। মাত্র 5 শতাংশ বড়ো ভাষী  কিন্তু 30 শতাংশ বাংলাভাষী কিন্তু রাজ্যের দ্বিতীয় সরকারি  ভাষা করা হল বড়ো ভাষা কে।না কোনও প্রশ্ন করবেন না।রাজাকে  কোনো প্রশ্ন করা যায় না।  বরাকের বিগত সরকারের কংগ্রেস মন্ত্রী রা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।তাদের  সম্পত্তি সারা  দেশে ছড়িয়ে  ছিটিয়ে আছে  ,।বর্তমান সময়ে কয়লা ,সুপারি ,ইউরিয়া   সিন্ডিকেট রমরমিয়ে চলছে।প্রশ্ন করবেন না। বরাকের সংবাদ মাধ্যম কংগ্রেস নেতা মন্ত্রীদের ফুলে ফেঁপে উঠতে সাহার্য্য করেছে।বর্তমান সংবাদ মাধ্যম ও   নেতাদেরও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।   বড়ো আন্দোলনের সঙ্গে  বরাকের ছাত্র সংগঠন আকসা  এক  সম্পর্ক গড়েছিল।সেই সম্পর্কের  জেরে আসাম  বিশ্ববিদ্যালয়   সম্ভব হয়েছিল  সে কথা অস্বীকার করা যাবে না। রাজার শত্রু প্রদীপ দত্ত রায় আকসার নেতা ছিলেন।    বরাকের  মুসলিম সমাজের একাংশ    বরাক  ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের    প্রধান প্রদীপ দত্ত র বিরোধিতায় নেমেছে। তারে দিসপুর খুশি। রাজাকে খুশি করতেই তা করা হচ্ছে । বরাক -ব্রহ্মপুত্রের  বাঙালী  হিন্দুদের লাখ দশেক নাম কাটা পড়েছে এন আর সি থেকে। আর উঠে দাঁড়াবার ক্ষমতা নেই।  বরাকের স্বাভিমান আজ বিভাজিত। হিন্দু মুসলিমের  মধ্যে এই প্রদীপ দত্ত রায় ইস্যু কে কেন্দ্র করে  বিভাজন তৈরি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার বাঙালি হিন্দুরা সিঁদুরে মেঘ দেখে ভয় পান ।  লাচিত সেনা যতই   বাংলা ভাষা বিরোধী আন্দোলন করুক  না কেন   চুপ করে থাকবে।ধলাতে এ যখন 5জন  বাঙালি কৃষি জীবীকে লাইন করে দাঁড়িয়ে  জঙ্গিরা গুলি করে  মারে তখন ও রাজ্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠেনি।   রাজ্যে বাঙালিদের মেরুদণ্ডে চিড় ধরে গেছে।রাজাকে প্রশ্ন করার সৎসাহস হারিয়ে ফেলেছে।বিজেপির সেখানেই সফলতা ,নির্বাচন এলেই ভয় দেখিয়ে ভোট আদায় করা যাবে।  বাংলাদেশি তকমা সেঁটে  দিলেই হল।শিলাদিত্য দেব এতদিন মুসলিম সমাজকে গালি গালাজ করে হাত পাকিয়েছেন এবার একটা হিন্দু নেতা পেয়ে গেছেন ,যতই গালি  পারবে রাজা  তত খুশি হবেন। তর তর করে প্রমোশন হবে।   বরাকের অধিকাংশ কংগ্রেস  নেতা দুর্নীতি থেকে বাঁচতে বিজেপি  কে  অবিভাবক বানিয়েছে ।উজ্জ্বল ব্যাতিক্রম  বিধায়ক কম লাখ্যা  দে  পুরাকাযস্থ  , তিনি  একা লড়ে যাচ্ছেন।- তাকে নানা ভাবে  অপমান করা হচ্ছে। পেইড চ্যানেল কে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে ।বরাকের  স্বাভিমান আজ    বিপন্ন, রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে।  এর মধ্যে বাঙালি -  অসমীয়া সম্পর্কে টানাপড়েন , বাংলাভাষী হিন্দু দের সঙ্গে বাংলাভাষী মুসলিমদের  সম্পর্কে  বিভেদের ছায়া ,   বিভাজন  যত বাড়বে বিজেপি র তত লাভ।   বাঙালি ভোটাররা মাথা নিচু করে, মান সম্মান খুইয়ে সেই বিজেপি দলকে দুহাত ভরে ভোট দেবে    শাসক দলকে আরো বহুদিন দিসপু রে র ক্ষমতায় থাকতে  সুবিধা  করে দেবে। রাজার মনো বাসনা পূর্ণ হবে।   জয় রাজার জয়। 
 

,
 
In

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.