Header Ads

ঐতিহাসিক বন্ধনে লেখা বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বের ৫০ বছর স্মরণ

[বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ]

শাবান মাহমুদ -

নুতন দিল্লি: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তিতে ভারত সরকার দিবসটিকে স্মরণ করলো ঘটনাবহুল ৫০ বছরেরর পথচলার এক স্বর্ণযুগ হিসেবে। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় ২০ বীর যোদ্ধাকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সংবর্ধনাও দেয়া হয়।

চলতি বছর মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মশতবার্ষিকীতে গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় দুই দেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ-ভারতের ৫০ বছরের বন্ধুত্বের মৈত্রী দিবসকর্মসূচি যৌথভাবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়।

দিবসটি পালনের অংশ হিসেবে এবং বাংলাদেশ-ভারতের দীর্ঘ অর্ধশতাব্দীর পথ চলার দুই দেশের মধ্যকার সুসম্পর্ক ও দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়কে আরো শক্তিশালী ও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিচালিত থিংক ট্যাংক ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স (আইসিডব্লিউএ) এক আলোচনা সভারও আয়োজন করে।

আইসিডব্লিউএ-র হল মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ধারনকৃত প্রায় ৬ মিনিটের বক্তব্যে মূলত দুই দেশের বন্ধুত্বের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উঠে আসে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে মিলনায়তনে উপস্থিত ভারতীয় সিনিয়র নাগরিকরা এ সময়ে অনেকটা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।

এক ভিডিও বার্তায় পাঠানো বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মানুষের সম্পর্ক বন্ধুত্বের, এ সম্পর্ক ইতিহাসের আলোকে এক সোনালি অধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ভারত সরকার ও ভারতের সর্বস্তরের মানুষের ত্যাগের অবদানকে স্মরণ করে বলেন, এ সম্পর্ক অনেকটা রক্তের বন্ধনে লেখা। দুই দেশের মানুষের কূটনৈতিক সম্পর্কও বন্ধুত্বের। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ঐতিহাসিক অবদানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।


আইসিডব্লিউএ আয়োজিত প্যানেল আলোচনার প্রথম পর্বে আলোচনায় অংশ নেন - গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মুহাম্মদ ইমরান, আইসিডব্লিউএ-র মহাপরিচালক বিজয় ঠাকুর সিং ও ড. নিবেদিতা রায়।

দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় অংশ নেন - গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, এমপি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় সাবেক হাই কমিশনার রজিত মিতার, সব্যসাচী দত্ত ও সাংবাদিক দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী।

এদিকে বাংলাদেশ হাই কমিশন সন্ধ্যায় নগরীর কামানী অডোটোরিয়ামে দিবসটি উপলক্ষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জনপ্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাসহ দেশবরেণ্য শিল্পীদের কন্ঠে সঙ্গীত উপভোগ করেন মিলনায়তনে উপস্থিত দুই দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এ সময়ে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী ২০ জন ভারতীয় সেনাবাহিনীর বীর যোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

[লেখক বর্তমানে নুতন দিল্লিস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (প্রেস) হিসাবে কর্মরত ও ঢাকার একজন নামি সাংবাদিক।]

 

 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.