Header Ads

সোনা ঝল মল কামাখ্যাধামে মহিষ বলির সাক্ষী

 অমল গুপ্ত ,গুয়াহাটি: দেশের তীর্থ চূড়া মনি বলে খ্যাত অসমের বিখ্যাত কামাখ্যা ধামে আজও  ছাগল , পায়রার সঙ্গে মহিষ বলি ও দেওয়া হয়ে থাকে। আজ  24 নভেম্বর  লাচিত দিবসে কামাখ্যা ধামে  মহিষ বলির  সাক্ষী হলাম। ছোট্ট  মাপের এক  মহিষ কে 5,6 জন মানুষ পা গুলি বেঁধে  গলাটি বলি কাঠে ঢুকিয়ে   দিতে দেখলাম   নিরীহ প্রাণীটির  প্রাণ বাঁচানোর চিৎকার ঢাকা পড়ে গেল ড্রিম ড্রিম ঢাকের আওয়াজে  ,এক কোপে কেটে ফেলার পর রক্তাক্ত মাথা টি  মা  কামাখ্যার  চরণে  দেবার জন্যে নিয়ে   যেতে দেখলাম। । এত রক্ত আগে দেখেনি। ।দেশের  পশুপ্রেমী  সংগঠন পিপল ফর   এনিম্যাল স এর রাজ্যিক  প্রাক্তন সভানেত্রী সংগীতা  গোস্বামী তার প্রতিক্রিয়া  ব্যক্ত করে বলেন  তারা মহিষ বলির বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল  কিন্তু  আদালত প্রাচীন প্রথা পরম্পরা হস্তক্ষেপ করা উচিত হবে না  বলে   রায় দিয়েছিলেন। আমরা বরাবর যে  কোনো বলির বিরোধী,মা তার সন্তানের রক্ত চান না।  বহুদিন বাদ কাম্যাখ্যা ধামে গেলাম।দেখলাম   দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি  মুখেশ আম্বানির দেওয়া 19 কেজি সোনার  তৈরি  মন্দিরের চূড়া ঝলমল করছে।  শিল্প পতি পত্নী  নিতা  আম্বানি  কামাখ্যা ধামে এসে দান করে গেছেন। অসমের  বড় ব্যবসায়ী অনুপম শর্মার দান করা সোনার চূড়া   মন্দিরের সব চূড়ার উজ্জ্বলতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।তার মধ্যে কলকাতার এক ব্যবসায়ীর দান করা মন্দিরের মাথায় সোনার কলসি ও শোভা পাচ্ছে। দেখলাম কোভিড প্রোটোকল মেনে  ভক্তপ্রাণ মানুষ মন্দিরে লাইন দিয়েছে।  কামাখ্যা ধাম আজ আধুনিকতার মোড়কে     ঢাকা পড়েছে। গ্রাম্য  সৌন্দর্য , গ্রামের মানুষের  ধুলো মাখা পা  কোথায় হারিয়ে গেছে স্থান করে নিয়েছে ইনভা,উবের  আর  আধুনিক সব রীতি নীতি কারবার। আন্তরিকতা  ভক্তি কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে বলে  মনে হল।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.