Header Ads

88 বছর বয়সে স্রেফ দু কোয়া রসুন,দু চামচ ছাতু খেয়ে কবিরাজ দিলীপ সেনগুপ্ত দিন শুরু করেন

 অমল গুপ্ত : বয়স 88 বছর তিন মাস,কান্দি জেল রোডের গুপ্ত পরিবারের  এক তলার 24 টি সিড়ির ধাপ   পায়ে হেঁটে উপরে উঠে  স্রেফ এক কাপ লাল চা  খেতে খেতে  জানালেন, প্রতিদিন   ভোরে উঠে দু    কো য়া  রসুন  আর দু চামচ     ছাতু   খেয়ে   কাজে বেরিয়ে  থাকি।  রাতে  স্রেফ এক কাপ  কফি    খাই, তাই রাতের ডিনার।  অন্য দিন রসুন ,ছাতু ছাড়া দুপুরে এক হা তা  সেদ্ধ ভাত। দিনে দু একটি  কলা বা আপেল আর রাতে এক কাপ কফি।  এই হচ্ছে মুর্শিদাবাদ তথা রাজ্যের বিশিষ্ট কবিরাজ কানাই পদ সেন গুপ্তর ছেলে  বিশিষ্ট কবিরাজ দিলীপ কুমার সেনগুপ্ত র  দৈনিক আহারের রুটিন। এক দশক পর  সেঞ্চুরি করবেন। কলকাতা ইন্টিগ্রড মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের  প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট ,   ধুতি  পাঞ্জাবি পরিহিত সৌম্য দর্শন দিলীপ সেনগুপ্তর অ মায়িক  এবং নির্লোভ ব্যবহার  রোগীদের বাড়তি পাওনা। তার   কোনো ভিজিট নেই।   কান্দি   লিচুতলায়   কানাই কবিরাজের  আয়ুর্বেদ কুঠির ই তার   ঠিকানা,সারা  রাজ্য থেকে প্রতিদিন  দের শো দুশো রুগী ভিড় জমান তার  চেমবারে  । বৈদ্য শাস্ত্রী  থেকে শুরু করে বহু উপাধি তিনি লাভ করেছেন।  জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে  তার ভদ্রতা,সুস্বাস্থ্য, সৌজ ন্য  লোভ হীন তা  তার  জীবনের অলঙ্কার। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে  জটিল  ব্যাধি গ্রস্ত রা  ভরসা নিয়ে তার   কাছে  আসেন। সাক্ষাৎকারে বলেন          এই চিকিৎসা বড় সাধনার জিনিস,ফাঁকি দেবার জো নেই।       করোনা উদ্ভুত  পরিস্থিতি সম্পর্কে  কবিরাজ দিলীপ সেনগুপ্ত বলেন মানুষের  সংযমের   বড় অভাব।  বলেন  নীয়ম নীতি না মানা,বিলাস বৈভব জীবন,রাত জাগা মানসিক উদ্বেগ টেনশন  সব রোগের অন্যতম কারণ।তিনি তুলসী,মধুর ব্যবহার কে জোর দিয়ে সব ধরনের রোগ নিরাময়ের  নানা  ঔষধের কথা উল্লেখ করেন। অম্বল  চূর্ণ , বাসক  কফ  সিরাপ,কানের ড্রপ, সহ বিভিন্ন ঔষধ প্রস্তুত করার কথা জানান।বলেন বাংলার শাক সবজি ফল মূলের মধ্যেই ঔষধি গুণ লুকিয়ে আছে।আজ কাল মানুষ গাছ গাছ রা থেকে সরে গিয়ে   কৃত্রিম সব   ঔষধের  চাক  চিক্য   ।প্যাকেজের উপর বেশি বিশ্বাস করেন। তার বাবা কানাই  পদ সেনগুপ্ত   স্বাধীনতা সংগ্রামী  ঘরানার উজ্জ্বল সন্তান।মুর্শিদাবাদ  তথা দেশের  এক বিশিষ্ট   কবিরাজ ছিলেন।   তারই সুযোগ্য সন্তান দিলীপ সেনগুপ্ত, বাবার   মহৎ পেশা কে ধরে রেখেছেন সন্তানদের ও  এই চিকিৎসায়  আনছেন। যাতে উজ্জ্বল  ধারা বাহিকতা ধরে রাখা যায়।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.